Keshpur: প্রতিকূল মেদিনীপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে কেশপুর ব্রিগেডের কৌশলী অভিযান
মেদিনীপুর: গত বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছে মেদিনীপুর বিধানসভার শহরাঞ্চলগুলিতে তৃণমূলকে খুব একটা ভোট দেয়নি শহুরে ভোটাররা। গত লোকসভা নির্বাচনের হিসেবেও খানিকটা একই চিত্র দেখা গিয়েছে। শহুরে ভোট দিয়েছে বিজেপির দিকে। তবে সব থেকে ভালো ফল হয়েছে তৃণমূলের গ্রামাঞ্চলে। তাই এবার বিধানসভা উপনির্বাচনে একাধিক তৃণমূলী কৌশলের মাঝে অন্যতম কৌশল তৃণমূলের কেশপুর ব্রিগেডের কৌশলী প্রচার।
মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকার বিভিন্ন অঞ্চল তৃণমূলের বিভিন্ন নেতৃত্বদের মধ্যে ইতিমধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে প্রচারের জন্য। সেই দায়িত্ব পাওয়া একটি বড় অংশে রয়েছে কেশপুর ব্লকের সুদক্ষ নেতৃত্বরা। যারা কেশপুর জুড়ে বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থীকে নিশ্চিত জয়ী করে থাকে। কেশপুর ব্লকের সেই বিশেষ টিমকেই গত তিনদিন ধরে মেদিনীপুর পৌর এলাকার প্রচারে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সেই টিমে রয়েছে, কেশপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি প্রদ্যুৎ পাঁজা, প্রাক্তন সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠী, ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি আশিক ইকবাল দের মত নেতাকর্মীরা। বড় একটি টিম তৈরি করে এই সমস্ত নেতৃত্বরা মেদিনীপুর শহরের প্রান্ত এলাকা গুলিতে ঘুরে প্রচার করছেন তিনদিন ধরে। পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে নিজেরা অপরিচিত হলেও সুজয় হাজরাকে পরিচিত করার চেষ্টা করছেন।
উত্তমানন্দ ত্রিপাঠী বলেন-” কেশপুর ব্রিগেড কখনো তৃণমূল প্রার্থীকে হারায়নি গত ১৩ বছরে। কোন পদ্ধতিতে প্রচার করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে সেগুলো আমাদের জানা আছে। আমাদের বিশ্বস্ত কর্মীদের নিয়ে তাই তিন বেলা পালা করে প্রচার করা চলছে। আমরা নিশ্চিত আমরা সফল হব।”
কেশপুরের এই বিশেষ তৃণমূলের টিমে তিনটি ভাগে ভাগ করে কর্মীদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কেশপুর থেকে একদল কর্মীরা সকালে এসে প্রচার করে দলীয় পতাকা ব্যানার টাঙ্গাচ্ছেন। দুপুরের মধ্যে তারা বাড়ি ফিরলে কেশপুরের অপর একটি টিম এসে প্রচারের কাজ শুরু করছেন। সন্ধ্যের আiগে তারা কেশপুর ফিরছেন, ততক্ষণে কেশপুরের আরো একটি টিম এসে ওয়ার্ডে ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন।