June Malia :জঙ্গলমহলের গ্রামে দিনভর জুন মালিয়া, ঢু-মারলেন পঞ্চায়েত অফিস,রেশন দোকান,স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
মেদিনীপুর: জনসংযোগ
কর্মসূচীতে মেদিনীপুর সদরের মনিদহ এলাকায় রবিবার উপস্থিত হন বিধায়ক জুন মালিয়া।
এলাকার একটি রেশন দোকান পরিদর্শনে যান। বিধায়ককে কাছে পেয়ে উপস্থিত সাধারণ
মানুষজনকে বলতে শোনা গিয়েছে, “দিদি রেশন দেওয়া বন্ধ
হবে না তো?” রবিবার দিনভর জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল মেদিনীপুর
বিধানসভার বিধায়কের। সকালে শালবনীর গোদাপিয়াশাল এলাকার একটি রাস্তার উদ্বোধন
করেন। দুপুর একটার পরে গুড়গুড়িপাল থানার এনায়েতপুরে হাতিধরা মন্দিরে পুজো দেন।
সেখান থেকে বেরিয়ে যান মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে।
জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজকর্ম নিয়ে অভিযোগ ছিল বিধায়কের কাছে।
পঞ্চায়েতগুলিতে ঠিকমতো বৈঠক হয়নি বলেও অভিযোগ। তার খোঁজখবর নিতে এদিন পঞ্চায়েত
প্রধান ও সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত
সদস্যরা তার নিজ এলাকায় বৈঠক এবং কাজের পরিকল্পনা ঠিকমতো করেনি বলে অভিযোগ জমা
পড়েছিল বিধায়কের কাছে। সেই মতো মণিদহতে এসে ঢুকে পড়ের পঞ্চায়েত অফিসে, সাংবাদিক
ও বাইরের লোকজনদের বের করে অফিসে থাকা লোকজনদের কাছে বিষয়টি জানতে
চাইলেন এদিন। মনিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অঞ্জলি সরেন বলেন, “পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে কথা হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের নিজ এলাকায় বৈঠক
নিয়েও উনি বলেছেন।”
সেখান থেকে পলাশিয়া এলাকায় থাকা
একটি রেশন দোকানে যান। রেশন দ্রব্য ও গোডাউন দেখেন। কথা বলেন উপস্থিত স্থানীয়দের
সঙ্গে। সেই সময় স্থানীয়রা তাঁর কাছে জানতে চান “রেশন দেওয়া বন্ধ হবে না তো? মাথা নেড়ে না জানিয়েছেন বিধায়ক জুন মালিয়া। তিনি জানিয়েছেন, দিদির উপর ভরসা রাখতে। স্থানীয়রা জানান, –বালি
খাদানের শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সংসার চলে অধিকাংশ মানুষজনের। বহুদিন খাদান বন্ধ।
তারউপর রেশন বন্ধ হয়ে গেলে দিনযাপন করা দুঃসহ হয়ে পড়বে।
জুন মালিয়া এরপরে যান-
উল্ট্যা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ছুটির দিনেও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মীরা।
শিশুদের বিশেষ নজর দেওয়ার জন্যও বলেন স্বাস্থ্য কর্মীদের। দুপুরে উল্ট্যা গ্রামে
দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন সারেন। পরে গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মী
বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে পানীয় জল সহ এলাকার রাস্তাঘাটের সমস্যা তুলে ধরেন কর্মীরা।
প্রধান অঞ্জলি সরেন বলেন, “বেশকিছু কাজের টেন্ডার হয়ে
গিয়েছে। যেগুলোর আর্থিক পরিমাণ বেশি তার জন্য জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েত
ভোটের আগে সমস্ত কাজ শেষ হয়ে যাবে।” বৈঠকে পঞ্চায়েত ভোটের আগে কর্মীদের
একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন জুন মালিয়া।
বিকেল চারটা নাগাদ বেড়াপালে দিদির দূত কর্মসূচীর সভা করেন বিধায়ক। বক্তব্যে তিনি বলেন, “কেউ বলতে পারবেন না এমপি সাহেব একটাও উন্নয়নের কাজ করেছেন এই এলাকায়।
কোভিডের সময়ও তাঁর দেখা পাওয়া যায় নি। লোকসভায় যে ভুল করেছেন সেই ভুলটা করবেন
না। দিদির বিকল্প নেই পশ্চিমবঙ্গে, কারণ উনি কাজ করেন। ভরসা
রাখুন দিদির উপর।” কর্মীদের তিনি প্রতিটি মানুষের বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন।
তাদের অভাব অভিযোগ শোনে লিখে জমা দিতেও বলেন।