মেদিনীপুর: কুড়ি কেজির সোনার গহনায় সজ্জিত জগদ্ধাত্রী প্রতিমা দেখা গিয়েছিল মেদিনীপুর শহরের ক্ষুদিরামনগর এলাকার একটি মন্ডপে। তারপরেই শহরের নান্নুরচক এলাকায় আরো একটি জগদ্ধাত্রী পূজার মণ্ডপ উদ্বোধন হয়েছে, যেখানে চল্লিশ কেজি সোনার গহনাতে প্রতিমাকে সাজানো হয়েছে। আর সুসজ্জিত সেই প্রতিমাকে রক্ষা করতে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী যেমন রয়েছে, সেই গহনা কোম্পানির নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন রয়েছে মন্ডপে। তারপরেও রয়েছে সিসিটিভির সক্রিয় নজরদারি।
৪০ কেজির সোনায় সজ্জিত প্রতিমাটি দেখা যাচ্ছে মেদিনীপুর শহরের নান্নুরচক এলাকায় একতা সংঘ ক্লাবের আয়োজনে। নান্নুরএলাকায় এবারকার ওই ক্লাবের আয়োজিত মন্ডপটি কেদারনাথের মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবারই বড় কিছু আয়োজন হয়, এবারও হয়েছে। ২৫ বছর পড়েছে এবারকার আয়োজন। তাই ক্লাবের পক্ষ থেকে একটু বিরল আয়োজন এর চেষ্টা হয়েছিল।
তাই একটি নামী সোনার গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে সেখান থেকে চল্লিশ কেজি সোনার গহনা ভাড়ায় নেওয়া হয়েছে প্রতিমা সাজানোর জন্য। যেখানে মন্ডপটি তৈরি হয়েছে তার উল্টোদিকেই সেই গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থার শোরুম। শোরুমের উল্টো দিকেই থাকা সেই প্রতিমাকে সাজিয়েছে তাই গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থাই।
পুজো কমিটির পক্ষ থেকে রামমোহন ব্যানার্জী জানিয়েছেন- “এই বিশাল পরিমাণ সোনার গহনা দিয়ে সাজাতে অনেক কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। গহনা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যেমন চুক্তি করতে হয়েছে, তেমনি প্রশাসনের কাছে অনুমতি নিয়ে তাদের পুলিশের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন সব সময় থাকছে এখানে। তারপরেও গহনা ব্যবসায়ীদের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষে থাকছে এখানে। এরপরেও সিসিটিভির নজরদারিতে রাখা হয়েছে পুরো মন্ডপ চত্বর। এরপরেও রয়েছে পুজো কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী।”
মেদিনীপুর শহরে সোনার বিপুল পরিমাণ গহনা দিয়ে প্রতিমা সাজানোর ধূম আগে কখনো দেখা যায়নি। কলকাতায় দেখা যেত বিভিন্ন বড় বড় আয়োজনের মন্ডপগুলিতে। এই প্রথম এক সঙ্গে মেদিনীপুর শহরে জগদ্ধাত্রী পুজোতে ৫০০ মিটারের দূরত্বে থাকা দুটি মন্ডপে একটি জায়গায় কুড়ি কেজি সোনার গহনায় সাজানো প্রতিমা, অন্যটিতে ৪০ কেজি সোনার গহনায় সাজানো প্রতিমা। আর তা দেখতে দুই প্রান্তে প্রচুর ভিড় জমছে এখন দর্শনার্থীদের। এর জেরে ওই দুই এলাকাতে চরম যানজট পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে প্রতিদিনই সন্ধ্যা সাতটা থেকে। যা সামাল দিতে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি পুলিশদের।