Congress : “১৫ হাজার ৫৫০ ভোটে জিতছি মেদিনীপুরে”-বললেন কংগ্রেস প্রার্থী,জল্পনা

মেদিনীপুর: মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে বলে দাবি করেছেন অনেকে, অনেকে বলেছেন ভোট একতরফা তৃণমূলের দিকে গিয়েছে ৷ অনেকেই বলছেন ভোটেররা অনেকেই ভোট দিতে আসেন নি। ফলে ভোটের ফল কোন দিকে যাচ্ছে তো বোঝা যাবেনা । এরমাঝেই প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল কুমার ঘোষের দাবি করলেন – “আমি মানুষের যে সাড়া পেয়েছি তাতে আমি হিসেব করেছি আমি মেদিনীপুর থেকে ১৫৫৫০ ভোটে জিতছি”। এতে তৃণমূল নেতা মানস ভুঞার কটাক্ষ “আমাকে ১০ টা তুলসী পাতা দিস কেউ”৷
সারাদিন নানাভাবে ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পরে বিভিন্ন মোড়ে , চায়ের দোকানে নানারকম বিশ্লেষন শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ কার দিকে ভোট গিয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন রকমের মন্তব্য উঠে আসছে ৷ সেসব জল্পনাকে সরিয়ে কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি অন্য রকম হল৷ তিনি যা বলেছেন তাতে অনেকেই অনেকরকম ভাবে দেখতে শুরু করেছে ৷
ভোটপর্বের শেষ পর্বে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন- “ভোট সেভাবে হচ্ছে না, মানুষ ভোট দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না। পুরো বিধানসভা এলাকা জুড়ে কয়েকদিন ধরে ঘুরে যা তথ্য পেয়েছি তাতে বোঝা গিয়েছে আসল দলের লোকেরা প্রতিটি বাড়িতে হুমকি-ধমকি দিয়ে এসেছে। লক্ষী ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া সহ বাড়ি থেকে বের হতে না দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মানুষ চাইছে না নতুন করে তিলোত্তমা ঘটুক এই হুমকির পর। ভয়ে ভোট দিতে আসছে না অনেকেই। শাসকের যে দুটো দল আছে এই মুহূর্তে , এরা কয়েনের এপিঠ ও ওপিঠ। এদের দলের দুটো নাম আলাদা হলেও এদের নীতি ও আদর্শ এক। তাই রাহুল গান্ধী বারবার বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারতবর্ষকে একমাত্র নিরাপত্তা দিতে পারে কংগ্রেস। লক্ষী ভান্ডারের ওই ৫০০ টাকা ১০০০ টাকায় হবে না, কংগ্রেস দলই পারে আপনাদেরকে ৬০০০ টাকা করে নিতে। কেন নেবেন না সেটা? এখানে ১০০ দিনের কাজ, ইন্দিরা আবাস যোজনা কংগ্রেস সরকার চালু করেছিল, কোথায় সেগুলো? আজ এরা ঢপের চপ করছে। তাহলেও যা বুঝতে পেরেছি, জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে আমি নিশ্চিত ভাবে জয়ী হচ্ছি। ১৫ হাজার পাঁচশো পঞ্চাশ ভোটে জয়ী হব”।
মেদিনীপুরের মিশন গার্লস স্কুলের ভোটকেন্দ্রে এক ভোটার ভোট দিতে এসে দেখেছিলেন তার ভোট আগেই কেউ বা কারা দিয়ে দিয়েছে। তিনি টেন্ডার ভোট দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে শ্যামল কুমার ঘোষ বলেন-“শুধু ভোট লুট কেন, এই ভোটকেন্দ্রের পেছনে আমার পুরনো বাড়ি ছিল। সেই বাড়ি কেউ তৎকালীন তৃণমূলের জেলা সভাপতি যিনি বর্তমানে তৃণমূলের চেয়ারম্যান তিনি ও তার লোকজন লুট করে দখল করেছেন। তাহলে ভোট কি ধরনের লুট হতে পারে সেটা আপনারা বুঝতেই পারছেন। মানুষের ভাত গয়না গাটি জামাকাপড় পর্যন্ত এরা লুট করে নেয়, বিজেপির ও কাজ দেশ বেচা,”
তৃণমূলের প্রার্থীর ছবি দেওয়া বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার ব্যানার লাগানো প্রসঙ্গে শ্যামল ঘোষ বলেন -” এরা যেভাবে এদের ফেসিয়াল করা মুখগুলোকে আমাদের বাথরুম রান্নাঘর বাড়ির দরজাতে লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে এগুলোতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। এত প্রচার কিসের? এত ফেসিয়াল করা মুখ কেন মানুষের কাছে যাবে? মানুষ তো উন্নয়ন ও ব্যবহারে ভোট দেবে। মনে রাখবেন সাগরদীঘিতে উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে যেভাবে মানুষ আশীর্বাদ করেছিলেন, এখানেও সেই ঘটনা ঘটতে চলেছে। তেইশে নভেম্বর বেলা দুটোর পর সেই বিষয় বুঝতে পারবেন।”