Ghatal: ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ অংশ প্লাবিত। শিলাবতীর জলস্তর নামতে শুরু করেছে শনিবার থেকে। তাহলেও জলবন্দী অবস্থায় রয়েছে বহু গ্রাম। এমনই এক প্লাবিত ও জলবন্দি গ্রামে(flooded village) হঠাৎ করে এক গৃহবধূ (Housewife) অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। শনিবার দুপুরের পর চরম শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গিয়েছিল তার।বাড়ির লোকেরা প্রবল বন্যার জলের স্রোট টপকে কোনোভাবেই হাসাপাতাল মুখী হতেই পারছিলেন না ৷ কোনভাবে খবর পুলিশের(Police) কাছে পৌঁছোতেই দ্রুত স্পিডবোটে অক্সিজেন সিলিন্ডার (cylinder ) তুলে দৌড়ে গেল ঘাটাল পুলিশ। প্রায় ১০ কিলোমিটার জলপথে (waterway) বন্যার উপরে দ্রুত গিয়ে গৃহবধূকে অক্সিজেন দিয়ে তুলে আনল হাসপাতালে। সময়ে অক্সিজেন পেয়ে পরিস্থিতি স্থিতিশীল বলে জানালএন চিকিত্সকেরা ৷
শনিবার এই চিত্রটি পাওয়া গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার অন্তর্গত মনশুকা এলাকায়। ঘাটাল (Ghatal) থানার ওসি শঙ্খ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন- ” আমরা খবর পাওয়ার পরেই অক্সিজেন সিলিন্ডার স্পিডবোটে চাপিয়ে সেখানে হাজির হয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছানোটা সহজ ছিল না। বিভিন্ন জলপথ ঘুরে ১০ কিলোমিটার অতিক্রম করে ওই গৃহবধুর বাড়িতে পৌঁছেছিলাম। ততক্ষণে অনেকটাই কষ্ট বেড়ে গিয়েছিল তার। দ্রুত অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে সেখান থেকে স্পিডবোটে করে তুলে আনা হয়েছে শুকনো সড়কপথে। পরে সেখান থেকে আমাদের রাখা অ্যাম্বুলেন্সে করে ভর্তি করা হয়েছে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনশুকা এলাকার বাসিন্দা সুমি সাঁতরা (৩০), বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যায় চিকিৎসার পর ঘাটাল হাসপাতাল থেকে দুদিন আগেই ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফিরে ছিলেন। তারপরে সেখানে জলবন্দী বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। বাড়িতে থাকাকালীন শনিবার ফের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে যায়। দুপুরের পর শ্বাসকষ্ট চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। পরিবারের পক্ষ থেকে যেকোনো ভাবে কন্ট্রোলরুম ও পুলিশকে ফোন করে জানানো হয়। তারপরে ঘাটাল থানার পুলিশ স্পিডবোট নিয়ে সেখানে অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ হাজির হয়।
পুলিশ ছাড়াও সঙ্গে ছিলেন বিপর্যয় মোকাবেলা দপ্তরের কর্মীরা৷ তাঁরা জানাচ্ছেন-” যে পথে যাওয়া হয়েছিল সেখানে যথেষ্ট গভীর জল ও স্রোত ছিল। অনেক জায়গায় জল ছিল না। সেখানে বোট ও সিলিন্ডার কাঁধে করে তুলে নিয়ে পার হয়ে আবার জলপথে যেতে হয়েছে। নদীপথে পাঁচ কিলোমিটার দূরত্ব থাকলেও সেই পথে যাওয়া বিপদ সংকুল ছিল। তবে যেকোন ভাবে আমরা পৌঁছে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।”
ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন-” এমন অনেককেই উদ্ধার করা হয়েছে। সকলকে কন্ট্রোল রুমের নম্বর দেওয়া রয়েছে। অসুবিধে হলেই ফোন করতে অনুরোধ করেছি।”