Ghatal : বন্যায় ধুয়ে নিয়ে যাওয়া বাড়ির গৃহহীন বৃদ্ধ দম্পতি আজও বিদ্যালয়েই,আশঙ্কা ! বিদ্যালয় খুললে কি হবে ?

ঘাটাল : বন্যায় সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত মাটির বসতবাড়ি, নেই মাথা গোঁজার ঠাঁই। অগত্যা স্কুল ঘরেই চলছে স্বামী-স্ত্রীর জীবন যাপন। স্কুল খুললে যাবে কোথায়? জানে না তারা। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখেই চোখের জল দুক্ষিরাম ও শক্তির। তাদের দাবি আমরা চাই একটু বাড়ি, জানিনা কবে মিলবে সরকারি সাহায্য।একবছর আগে শুনেছিলেন মিলবে আবাস যোজনার বাড়ি, তালিকাতে ছিল নাম, তবুও মেলেনি বাড়ি। বৃদ্ধ দম্পতির চোখ থেকে বেরিয়ে আসল জল। তারা চাইছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক প্রশাসন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভান্ডারিয়া গ্রামের ঘটনা। ভান্ডারিয়া গ্রামে বাসিন্দা দুক্ষিরাম মন্ডল, স্ত্রী ও ছেলে বৌমাকে নিয়ে ছোট্ট মাটির বাড়িতে সুখেই দিন কাটছিল। হঠাৎ করে কিছুদিন আগে বন্যার জলে প্লাবিত হয় এলাকা, সেই বন্যার জলে সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুক্ষিরামের একমাত্র মাটির বসত বাড়ি। তারপরেই দুক্ষিরামের স্থায় হয় এলাকার ভান্ডারিয়া জুনিয়র হাই স্কুলের একটি ঘরে। একমাত্র ছেলে দিনমজুরের কাজ করেন বাইরে, পুত্রবধূও এহেন অবস্থায় চলে গিয়েছে তার বাপের বাড়ি। পরে বন্যার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে ৷ কিন্তু তাদের মাটির বাড়ির আর কোনো অস্তিত্ব নেই সেই পুরনো স্থানে ৷ ফলে নিরুপায় হয়ে সেই বৃদ্ধ দম্পতি স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ে যেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন সেখানেই আজও পড়ে রয়েছে ৷ বন্যা কমে গেলেও তাঁরা গৃহহীন হওয়াতে স্কুলই ভরোসা ৷ হঠাৎ বন্যায় দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের এমন সর্বনাশ হবে ভাবতে পারিনি তারা। আশঙ্কা তৈরী হয়েছে ছুটি থাকা বিদ্যালয় চালু হয়ে গেলে তাঁরা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবেন তা নিয়ে ?
এলাকাবাসীও চাইছেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রুত অসহায় পরিবার পাক মাথা গোঁজার ঠাঁই।এই বিষয়ে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের জানানো হলেও দুক্ষিরামের পাশে দাঁড়ায়নি কেউ। অপরদিকে জাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান উমা শঙ্কর চৌধুরী জানান- “সব ধরনের সাহায্য করা হবে ওই পরিবারটিকে। কেন্দ্র আবাস যোজনা টাকা দেয়নি, রাজ্য সরকার গৃহহীনদের বাড়ি দেবার চেষ্টা করছে, ওই পরিবারটিকে সব ধরনের সাহায্য করা হবে”৷ তবে বিদ্যালয় খোলার আগে তেমন কিছু না হলে তাঁদের চলে যেতে হবে খোলা আকাশের তলায় ৷