Heavy Rain: দুদিনের বর্ষণেই প্রভাব ঘাটালে, ১২ ঘণ্টার মধ্যেই নদীর উপরে থাকা ৭টি সেতু ভেঙে নষ্ট, জল ঢুকলো বিভিন্ন বাড়িতে ও হাসপাতালে

ঘাটাল: গত দুদিন ধরে বর্ষন শুরু
হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে। তাতেই বিভিন্ন প্রভাব দেখা দিল জেলার বিভিন্ন
প্রান্তে। ঘাটালে ঝুমি ও শিলাবতী নদীর উপরে থাকা যোগাযোগের বিভিন্ন সেতু ভেঙে নষ্ট
হয়ে গেল কচুরিপানা ও জলের চাপে। যোগাযোগ সমস্যা তৈরি হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও
হুগলির মধ্যে। রাতের অতি বর্ষণে ঘাটাল হাসপাতালের ভেতরেও জল থৈ থৈ অবস্থা। জল
ঢুকেছে চন্দ্রকোনা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে।

 

 

বুধবার ভোর থেকে দুপুরের মধ্যেই
ঘাটালের মনশুকা চাতাল সহ বিভিন্ন স্থানে থাকা ঝুমী নদীর ওপরে
বাঁশের সেতুগুলি এক এক করে ভেঙে ভেসে যায় জল ও কচুরিপানার চাপে। অতি বর্ষণ শুরু
হতেই জলস্ফীতি হয় ঝুমি নদীতে। তখনই নদীতে থাকা কচুরিপানা এসে বিভিন্ন বাঁশের সে
তুগুলিতে ধাক্কা দিয়েছে। তার চাপেই ঘাটাল এলাকার ঝুমি নদীর ওপরে থাকা ৮টি
সেতুর
টি সেতু ভেঙে ভেসে গিয়েছে বুধবার দুপুরের মধ্যে।
পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির যোগাযোগ বহু স্থানে এর ফলে ছিন্ন হয়েছে। অনেকগুলি
জায়গাতে নৌকো করে পারাপার শুরু হয়েছে।

 

 

চন্দ্রকোনা টাউন থানা এলাকার
রাইলা গ্রামে বহু গ্রামবাসীর বাড়িতে জল ঢুকে গিয়েছে খালের জল বেড়ে। চরম
ভোগান্তি গ্রামবাসীদের মধ্যে।বুধবার রাতভর বর্ষণের কারণে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের
ভেতরে বিভিন্ন নালা থেকে জল প্রবেশ করে যায়।
হাসপাতালের ওয়ার্ডের
বাসিন্দাদের মধ্যে একটা ভোগান্তি তৈরি হয়। রোগীরা জানান-হাসপাতালের ভেতরেই
চিকিৎসা পরিষেবা থেকে যাতায়াত সমস্যা তৈরি হয়েছে।

 

কেশপুরের ধন্যাগেড়িয়া এলাকায়
অতি বর্ষণের জলে চাষের মাঠ ডুবে গিয়েছে। জল থৈ থৈ অবস্থা চারদিকে। অনেক স্থানে
যাতায়াতের গ্রামীন রাস্তাতেও জল উঠে সমস্যা তৈরি হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page