Medinipur Live: স্বামী কর্মসূত্রের বাইরে, দেওয়ার ও বৌদির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বাড়ির ভেতর থেকে, চাঞ্চল্য মেদিনীপুরে !
মেদিনীপুর: সাত সকালে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন ফড়িংডাঙ্গা এলাকায় অস্বাভাবিক দেহ উদ্ধারের ঘটনা। এসবেস্ট ছাউনি দেওয়া একটি বাড়ির ভেতর থেকে নিজের বৌদির সঙ্গে দেওরের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার । ঘটনায় চাঞ্চল্য। খবর পেয়ে সেখানে আসে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ ভেতর থেকে বন্ধ থাকা রুমের সিমেন্টের জানালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে পরপর দেহগুলি উদ্ধার করেছে। তবে নিখোঁজ ওই মহিলার চার বছরের সন্তান। খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে অনুমান-দুজনের মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল হয়তো। তার পরিণতি দিতে এই ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে থাকা ফড়িংডাঙ্গা এলাকায়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গুরুবারি হেমব্রম বলেন-” মৃতেরা সম্পর্কে দেওর বৌদি। দেওরের নাম সমর মান্ডি, মহিলার নাম নিহতি মন্দির। ওই মহিলার স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। তাদের চার বছরের একটি সন্তান রয়েছে। সমর বেকার যুবক। তেমন কোন কাজকর্ম করত না। আজ সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর শুনে এসে দেখি তাদের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গিয়েছে বাড়ির ভেতর থেকে। সম্ভবত তাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিল। তবে বাচ্চাটিকে পাওয়া যাচ্ছে না খোঁজ চলছে।”
এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মেদিনীপুর শহরের ফড়িংডাঙ্গা এলাকাতে। পরিবারের অন্য সদস্য সূত্রে জানতে পেরে স্থানীয়রা সেখানে হাজির হয়েছিল। দেখা যায় অ্যাসবেস্ট ছাউনি দেওয়া বাড়ির ভেতরে ভেতর থেকে দরজা খিল দিয়ে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। ফলে সাহস করে পুলিশের অনুপস্থিতিতে পরিবার সহ অন্যান্য লোকেরা সহ স্থানীয়রা কেউই ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি। খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে ওই রুমের সিমেন্টের জানালা ভেঙে ভিতরে লোক প্রবেশ করায়। এরপর ভেতর থেকে দরজা খুলে পুলিশ সহ স্থানীয় লোকজন ভেতরে প্রবেশ করে। এক এক করে ঝুলন্ত দেহ নামানো হয়।
স্থানীয়রা মনে করছেন-স্বামীর অনুপস্থিতিতে ওই গৃহবধুর সঙ্গে তার দেওরের অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। তা থেকেই হয়তো পরিস্থিতি জটিল হওয়ার সম্ভাবনা আশঙ্কা থেকে যুগলে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এই বিষয়টি ঘুনাক্ষরে ও পরিবারের লোকেরা বুঝতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন। ঘটনার পর কেঁদেই চলেছেন পরিবারের বয়স্কা মা। আপাতত পুলিশ তাদের দেহ উদ্ধার করেছে।