Robbery : গভীর রাতে কোল্ড স্টোরে কর্মীদের বেঁধে ফেলে রেখে অবাধে ডাকাতি ডাকাত দলের

চন্দ্রকোনা: গভীর রাতে কোল্ড স্টোরে হানা ডাকাত দলের। সেখানে পাহারা দেওয়া দুই কর্মীকে অতর্কিত ঢুকে বেঁধে ফেলে ডাকাতের দল। বেঁধে বসিয়ে রেখে স্টোরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারি চুরি করে নিয়ে গেল ডাকাতরা। অনেক রাত পর্যন্ত এই কাণ্ডকারখানা চলল দুই কর্মীকে বেঁধে ফেলে রেখেই। ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতে।তদন্তে নেমেছে চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ ৷



পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা কো-অপারেটিভ কোল্ড স্টোরেজ সোসাইটি লিমিটেডের এই কোল্ড স্টোরটি বেশ কিছুদিন ধরে বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। বিভিন্ন কারণে বন্ধ থাকা এই হিমঘরে বেতন না পেয়েও ১০ জন কর্মী কাজ জারি রেখেছেন বলে দাবি কর্মীদের। ভবিষ্যতে চালু হবে এমন আশাতে ওই কর্মীরা দিনরাত পাহারা দিয়ে জিনিসগুলি আগলে রাখেন। তাদেরই দুজন ওই হিম ঘরের মেশিনারির ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন শুক্রবার গভীর রাতে। তখনই ডাকাত দলের হানা হয়।



কর্মীদের মধ্য থেকে রঞ্জন অধিকারী বলেন-” গভীর রাতে আমরা দুজন কর্মী হিমঘরের ভেতরে একটি রুমে ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম দুজন কোন শব্দ না করেই কিভাবে প্রবেশ করে যায়। আমি উঠেই কে বলে চেঁচাতেই হঠাৎ চার পাঁচজন হাজির হয়ে যায়। তাদের প্রত্যেকের হাতেই লোহার রড ছিল। আমাদেরকে ভয় দেখিয়ে একপাশে বসে যেতে বলে। আমরা দাঁড়াতেই তারা আমাদের হাতে-পায়ে বেঁধে ফেলে। আমাদের মোবাইলগুলি নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘরের মধ্যে বসিয়ে রেখে দুজনকে নজরদারিতে রাখে। এরপরে তারা আলো জেলে মেশিনারির ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। একের পর এক মেশিনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে নেয় তারা।”



জানা গিয়েছে এই ঘটনায়, কোল্ড স্টোরের ওই জেনারেটর ও বৈদ্যুতিক সরবরাহের রুমের গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র গুলি ডাকাতের দল খুলে নিয়ে গিয়েছে। যা ওই স্টোরের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই স্থানীয়রা। ঘটনার পর খবর জয় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশের কাছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চন্দ্রকোনা টাউন থানার পুলিশ।

ঘটনার পরে পরিস্থিতি দেখাচ্ছেন কর্মীরা

এর আগেও কয়েক মাস আগে চন্দ্রকোনা এলাকায় একটি বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে হানা দিয়েছিল ডাকাতের দল। লরি নিয়ে ভেতরে ঢুকে ট্রান্সফরমার সহ গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লরিতে করে চাপিয়ে পালাতে গিয়ে ফেঁসে গিয়েছিল। লরির চাকা কাদায় গাড়া হয়ে যাওয়াতে লরি ফেলে পালিয়ে গিয়েছিল ডাকাতের দল। সেই লরি ধরে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এবারও একইভাবে বিদ্যুতের সরঞ্জাম চুরির লক্ষ্যে ডাকাতি পুনরায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page