Nabanna: কৃষকদের জন্য সুখবর! সম্ভাব্য ক্ষতির কথা ভেবে শস্য বীমার সময়সীমা ঘোষণা হলো নতুন করে
মেদিনীপুর: বন্যা পরিস্থিতি থেকে ওঠার পর স্বাভাবিক হওয়ার আগেই নতুন করে আরো এক বিপদ কৃষকদের কাছে! দানা ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির ফলে ফসলে আরো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সে কথা মাথায় রেখেই মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার নবান্ন থেকে বাংলার শস্য বীমার দিনক্ষণ আরো বাড়িয়ে দিলেন। তিনি ঘোষণা করেছেন-শস্য বীমার আবেদনের সময়সীমা যেটা ৩১ শে অক্টোবর পর্যন্ত ছিল সেটা বাড়িয়ে করে দেওয়া হল ৩০ শে নভেম্বর।
ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশ সহ বন্যায় প্লাবিত থেকে চরমভাবে কৃষিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার চাষীদের ফসলের ক্ষতিপূরণ বীমার মাধ্যমে দেওয়ার জন্য বন্যা পরিস্থিতিতেও বাংলার শস্য বীমার সুবিধা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কৃষি দপ্তর সেই পরিষেবা দিয়ে গিয়েছে কয়েকদিন ধরে। এরপর ফের নতুন করে সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হলো এই দানা ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখে।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলির সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে কয়েকশো কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে শুধুমাত্র চাষের ক্ষেত্রেই। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ঘাটাল মহকুমা ও মেদিনীপুর সদর মহাকুমা এলাকাতে। সেই ক্ষতিই হিসেবে ইতিমধ্যে শেষ করেছে প্রশাসন। তারপরে নতুন করে ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হল দানা ঝড় ও বৃষ্টিতে। তবে তার মধ্যে স্বস্তি মুখ্যমন্ত্রীর নতুন ঘোষণা।