![]() |
দাসপুরের সামাটে বিক্ষোভ |
Ghatal : ৮১
হাজারের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ ছিহ্ন করতে হয়েছিল প্লাবিত হয়ে যাওয়ার কারণে।
সেই প্লাবনের জল কমতে শুরু করেছে। তার সাথে তীব্র হয়েছে পানীয় জলসঙ্কট। যোগাযোগ
করার মোবাইলে পর্যন্ত চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ
ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি প্লাবিত এলাকার লোকজনের। তাদের দাবি-পরিস্থিতি অনেকটাই
স্বাভাবিক থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক নেই। তাই অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ
স্বাভাবিক করার দাবি করে দাসপুরের সামাট এলাকায় চার ঘন্টার বেশি রাজ্য সড়ক অবরোধ
করে রাখলেন প্লাবিত এলাকার লোকজন। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের সঙ্গেও তর্ক শুরু
হয় বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের। অনেক বুঝিয়ে সাড়ে দশটা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক
করতে পেরেছে পুলিশ। জেলাশাসক জানালেন-৮৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া
হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাকিটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
পশ্চিম
মেদিনীপুরের ১২ লক্ষের বেশি মানুষ প্লাবিত হয়েছিলেন। বন্যার জলের সীমা গত ১৫
বছরের বন্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। চরম সংকট পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর
ডেবরা ছাড়াও ঘাটাল এলাকার জন্য। প্লাবিত এলাকার লোকজনের খাবার জোগাতে ইতিমধ্যেই
৫৫টি কমিউনিটি কিচেন চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি পানীয় জলের পাউচ
তৈরি করে বিলি করা হচ্ছে। ত্রাণ বিলি অব্যাহত রয়েছে। ত্রিশটির বেশি ভ্রাম্যমান
মেডিকেল টিম চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেছে। এরপরেও প্লাবিত এলাকার জল নামতেই
ওই এলাকার জন্য হ্যালোজেন ট্যাবলেট, অ্যান্টি ভেনাম, বিভিন্ন ওষুধ ও
জিনিসপত্র সরবরাহের তালিকা রাজ্যে পাঠালেন জেলা শাসক খুরশেদ আলী কাদরী।
তবে এর
মাঝেই তীব্র পানীয় জল সংকট তৈরি হয়েছে প্লাবিত এলাকায়। বন্যার জলে ডুবে থাকা
পাম্প ও বিভিন্ন টিউবওয়েল এর কারণে পানীয় জল তোলা যাচ্ছে না। অনেক স্থানে পাম্প
গুলি জল কমে গেল বিদ্যুৎ না থাকাতে চালু করা যাচ্ছে। যোগাযোগ করার মোবাইলে পর্যন্ত
চার্জ দেওয়ার যাচ্ছে না টানা এক সপ্তাহের বেশি বিদ্যুৎ না থাকায়। এই পরিস্থিতিতে
সোমবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে দশটা পর্যন্ত রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন
প্লাবিত এলাকার লোকজন। তাদের দাবি অবিলম্বে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না করলে চরম
সংকট তৈরি হয়েছে এলাকায়। বিদ্যুৎ দপ্তর গতি বাড়াচ্ছে না বলেই দাবি তাদের। চার
ঘণ্টার বেশি অবরোধে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে। পরিস্থিতি
সামাল দিতে দাসপুর থানার পুলিশ সেখানে হাজির হলে তাদের সঙ্গে দীর্ঘ তর্কবচসা শুরু
করে দেন প্লাবিত এলাকার লোকজন। অনেক চেষ্টা করে বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে
পেরেছে পুলিশ।
তবে
জেলাশাসক ফোনে জানিয়েছেন-“ইতিমধ্যেই ৮৫ শতাংশ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা
হয়েছে যেখানে জল নেমেছিল। বিদ্যুৎ দপ্তরে প্রচুর পরিমাণে কর্মীকে কাজে লাগানো
হয়েছে। আশা করছি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ৯৫
শতাংশ কমপ্লিট করে নিতে পারব বাকি ২৪ ঘন্টার মধ্যে। যেখানে প্লাবিত পরিস্থিতি
স্বাভাবিক হয়েছে সেখানে বিভিন্ন ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে সরবরাহ
করা হচ্ছে। একাধিক জিনিসপত্র নতুন করে চাওয়া হয়েছে বিভাগীয় দপ্তরে।”
daspur flood,Ghatal dev, agitation, dev, paschim medinipur, medinipur, daspur polce,Medinipurlive,