Ghatal :
প্রায় দু সপ্তাহ ধরে প্লাবিত রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ
অংশ। সেই প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এবার একটু অন্যরকম সুযোগ দেখা গেল ঘাটাল
পৌর এলাকাতে। সকাল থেকেই ঢালাই রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা জলে, লম্বা লাইন জাল হাতে বাসিন্দাদের। তারা
জানাচ্ছেন-“সকাল থেকেই প্রচুর মাছ পড়ছে জালে(fishing)। সেই সুযোগ লুটতেই সকাল থেকেই
দাঁড়িয়ে রয়েছেন বহু বাসিন্দা জাল নিয়ে।”
সকাল থেকেই
জালে পড়ছে রুই, কাতলা সহ বিভিন্ন ধরনের মাছ। বন্যার
জলের মাছ ধরার হুড়োহুড়ি স্থানীয়দের । বিষয়টি শুরু হয়েছে ঘাটাল পৌরসভার
রামচন্দ্রপুর এলাকায় ।ধীরগতিতে কমছে ঘাটালের প্লাবিত এলাকা থেকে বন্যার জল
।বন্যার জল(flood water) কিছুটা কমতেই ঘাটাল পৌরসভা এলাকার পৌর ঢালাই রাস্তার উপরেই মাছ ধরার
হুড়োহুড়ি স্থানীয়দের। ঘাটাল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড রামচন্দ্রপুর এলাকায় এত
বিপুল পরিমাণে মাছ পড়তে দেখে অনেকেই চমকে গিয়েছেন। রামচন্দ্রপুর এলাকা থেকে
মনসুকা যাওয়ার ঢালাই রাস্তার উপর সহ রাস্তার ধারে বিভিন্ন ধরনের জাল নিয়ে মাছ
ধরতে হুড়োহুড়ি স্থানীয়দের। জালে ধরা দিচ্ছে রুই, কাতলা সহ বিভিন্ন ধরনের কেজি কেজি মাছ ।এমনটাই জানাচ্ছে স্থানীয়রা।
গত দুই
সপ্তাহ ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার (Medinipur-Ghatal) কয়েক লক্ষ মানুষ প্লাবিত। এখনো জল
দাঁড়িয়ে রয়েছে বহু জায়গাতে। যাতায়াত করতে হচ্ছে পিচ রাস্তার ওপরেও নৌকো
দিয়ে। গত ১৫ বছরের সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছেন এবারের বন্যায়। সাপের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। ফসল ক্ষতি হয়েছে বহু
কোটি টাকার। ঘর বাড়িও প্রচুর নষ্ট হয়েছে। এতসব নেতিবাচক দিকের মধ্য থেকে একটা
ছোট্ট ভালো খবর পৌর এলাকার বাসিন্দাদের জন্য। মঙ্গলবার সকাল থেকেই মাছ ধরার ভিড়
শুরু হয়েছে রোজকার যাওয়ার ঢালাই রাস্তার ওপরে। যার ওপর দিয়ে এই মুহূর্তে জলের
স্রোত যাচ্ছে। মাছ ধরায় ব্যস্ত স্থানীয় বাসিন্দা শেখর মানিক বলেন-” সকাল
থেকেই জালে বড় বড় মাছ ধরা দিচ্ছে। সমস্ত রকমের মাছ পড়ছে এখানে। দেখাদেখি অনেকেই
সেই মাছ ধরার জন্য ভিড় করেছেন। সকলেই কমবেশি মাছ পাচ্ছে।” একই রকম বক্তব্য
আরও অন্যান্যদের।
স্থানীয়
সূত্রে জানা গিয়েছে-২০০৯ সালের পর সর্ববৃহৎ পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছিল বিভিন্ন
জলাধার থেকে। ফলে বৃহৎ আকারের বন্যা (Ghatal flood) পরিস্থিতি এবার ঘাটাল মহকুমা জুড়ে। বহু মাছ
চাষের পুকুর খাল সব ডুবে গিয়েছিল। ফলে সেই সমস্ত পুকুরের মাছ ও নদীর মাছ প্লাবনের
জলে প্লাবিত এলাকাগুলিতে ঢুকে পড়েছে। ফলে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার মাছ অনেক
বেশি পড়তে শুরু করেছে মৎস্য শিকারীদের জালে। প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা এতদিন
খারাপ প্রভাবে প্রভাবিত ছিল। এবার ভালো দিকটির সুযোগ নিতে সকাল থেকেই জাল নিয়ে
লম্বা লাইন ঘাটালের পৌর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।