Ghatal :বন্যা কবলিত ঘাটালের আইসিডিএস।বেরোচ্ছে সাত ফুটের কোবরা। দুবছর বাচ্চাদের পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকরা
ঘাটাল: সাত
বছর আগে তৈরি আই সি ডি এস সেন্টার বাইরে থেকে দেখে মনেই হবে না এই সেন্টারের ভেতরে
বেহাল দশা। বন্যা কবলিত এলাকার আইসিডিএস তথা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে নেই পানীয়
জলের ব্যবস্থা। সেন্টারের ভেতর প্রায়শই দেখা মেলে বিষধর সাপের। আতঙ্কে দু‘বছর বন্ধ পঠন পাঠন। তবে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়
৮০ জন খুদে পড়ুয়া ও গর্ভবতী মায়েদের। সম্প্রতি সেখান থেকেই উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে ছ ফুটের গোখরো খরিস। অভিভাবকেরা
জানালেন-” খাবার সংগ্রহ করছি ঠিক আছে। কোন ভরসায় শিশুদের পাঠাবো?”(Ghatal)
ঘটনা পশ্চিম
মেদিনীপুর জেলার (Chandrakona) চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৫ নম্বর
রাধাসাগর পুড়শুড়ি আই সি ডি এস সেন্টারের। এমনই বেহাল দশা ঐ অঙ্গনওয়াড়ি
কেন্দ্রের। এক বছরেরও বেশি সময় আগে পানীয় জলের জন্য বসানো হয়েছিল সাবমারসিবল।
অভিযোগ- এখনো পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ না হওয়ায় তা চালু হয়নি। সেন্টারের মেঝে বসে
গিয়েছে। ভিতরে বড় বড় ফাটল । বন্যার জলে প্রায়শই ওই এলাকা প্লাবিত(Ghatal flood) হয়ে যায়।
তখন বিষাক্ত সাপ(snake) ও বিছের আশ্রয়স্থল হয় ওই কেন্দ্র। ভয়ে নিজের বাচ্চাদের প্রায়
দু বছর ধরে ওই সেন্টারে পাঠাচ্ছেন না পাশাপাশি অভিভাবকেরা। কয়েকদিন আগেই হঠাৎ
রান্না ঘরের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসে বিষধর
হরিশ সাপ। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে গিয়েছেন রাধুনীরা। বনদপ্তরের কর্মী এসে উদ্ধার
করে। ভয়ে ভয়ে পুষ্টিকর খাবার রান্না করতে
হয় বলে জানাচ্ছেন সেন্টাদের(ICDS) রাধুনী আর শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন।
সিডিপিও থেকে ব্লক প্রশাসন পঞ্চায়েত প্রধান
সকলকে জানিয়েও কোন কাজ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। বাচ্চাদের সুরক্ষার কথা ভেবেই
বন্ধ রাখা হয়েছে পঠন পাঠন।
তিন নম্বর
মাগুরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শান্তনু মুখার্জি স্বীকার করে নিয়েছেন
আইসিডিএস সেন্টারের বেহাল দশার কথা। তিনি জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক
করার চেষ্টা করছি।