Elephant : রাতে হাতির পালকে সরাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত বনদপ্তরের কর্মী

Elephant : রাতে হাতির পালকে সরাতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে আক্রান্ত বনদপ্তরের কর্মী

Chandra: হাতি তাড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বনদফতরের অস্থায়ী কর্মী ৷ তারপরেও নিজের কাজ করে এসে পুলিশের দ্বারস্থ্য হলেন তিনি ৷ ঘটনায় বনদফতরের সক্রিয় ভূমিকা থাকছেনা বলেও অভিযোগ দফতরেরই একদল কর্মীর ৷ তবে গ্রামবাসীরা লাগাতার হাতির আক্রমনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ক্ষোভের আগুন ঝরাচ্ছে বলেও মনে করছেন অনেকে ৷ তাহলেও পুলিশের দ্বারস্থ্য হয়েছেন আক্রান্ত কর্মীরা ৷



এবার কৃষি জমি থেকে হাতির পালকে সরাতে গিয়ে আক্রান্ত বনদপ্তরের অস্থায়ী কর্মী। ওই কর্মীর নাম খোকন মাহাত। ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাতে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়ার এল্লাবনী এলাকায়। বনদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে চাঁদড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে আশ্রয় নেয় একাধিক হাতির পাল। এরই মধ্যে ৩০টি হাতির একটি পাল সন্ধ্যা নাগাদ জঙ্গল ছেড়ে বেলিয়া এলাকায় কৃষি জমিতে নেমে পড়ে। সেখান থেকে এল্লাবনী হয়ে কংসাবতী নদীর উদ্দেশ্যে যায়। জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষতি আটকাতে এবং কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেই দিক লক্ষ্য রেখে হাতির পিছু নেই বনকর্মীরা। এল্লাবনী এলাকায় হাতি রাস্তা পেরোতেই এক যুবক এসে আগুনের মশাল নিয়ে বনকর্মীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। তাতে খোকন মাহাত নামে এক অস্থায়ী বনকর্মী আঘাত পান।



 রাতেই হাতির পালটি কংসাবতী নদী পেরিয়ে কলাইকুন্ডার জঙ্গলে চলে যায়। বিষয়টি গুড়গুড়িপাল থানায় জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেঞ্জার সৈকত বিশ্বাস। ঘটনায় বনদপ্তরের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে মশাল টিমের সদস্যরা। তাদের দাবি, বনদপ্তর কড়া পদক্ষেপ না নেওয়ায় বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে।



হাতির পালকে সরাতে গিয়ে বারবার আক্রান্ত হচ্ছে মশাল টিমের সদস্য এবং অস্থায়ী বনকর্মীরা। কোনো কড়া পদক্ষেপ নেয়নি তাদের বিরুদ্ধে বনাধিকারিকরা। কোথাও আবার রাজনৈতিক দলের নেতারা অভিযুক্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। যার ফলে মারধর করার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে উত্তরোত্তর। বনদপ্তরের আধিকারিকরাও কার্যত অসহায় বোধ করে নিজেদের গুটিয়ে ফেলছেন। ঝাড়গ্রাম থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর সর্বত্রই এই চিত্র উঠে এসেছে একাধিকবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page