Flood : বিপদ সীমায় ঘাটালে নদীর জল! বাড়ি ছাড়তে শুরু করলেন প্লাবিতরা

 

ঘাটাল: টানা
তিন দিনের বর্ষণের পর ঘাটাল মহকুমা এবার ভয়ংকর প্লাবনের মুখোমুখি। অনেকেই বাড়ি
ঘর ছেড়ে প্লাবিত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে ফেলেছেন। চূড়ান্ত মোকাবিলায়
প্রস্তুতি হল ঘাটাল মহকুমা শাসকের অফিসে মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের
উপস্থিতিতে। বিকেলেই ঘাটালে হাজির হলেন সাংসদ দেব।

 

 


ইতিমধ্যেই
ঘাটালের শিলাবতী ঝুমি ও চন্দ্রকোনার কেঠিয়া নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছে ঘাটাল
পৌর এলাকা চন্দ্রকোনা সহ মহাকুমার বিভিন্ন এলাকা। জলে ডুবেছে রাজ্য সড়ক থেকে শুরু
করে গ্রামীণ বিস্তীর্ণ এলাকা। বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি
র ওপরে জলের প্রবল স্রোত ৷ তার ওপর দিয়ে জল পেরিয়ে নৌকা ও
ডিঙ্গি করে চলছে যাতায়াত
সমস্যায় ঘাটাল
মহকুমার বানভাসি এলাকার মানুষজন।
পরিস্থিতি বিপজ্জনক
বুঝে ঘাটাল মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস
, দাসপুর ও চন্দ্রকোনার বিধায়িকা, মহকুমার পাঁচটি ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি, জনপ্রতিনিধি সহ প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে ঘাটালের বন্যার
জরুরী ভিত্তিক বৈঠকে
বসলেন পশ্চিম
মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক খুর
শেদ আলী কাদরী
, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ জেলা প্রশাসনের
আধিকারিক। বৈঠক শেষে ঘাটালের আজবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রথীপুর এলাকায় বন্যা
পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক খুরশিদ আলী কাদরী ও জেলা
পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ প্রশাসনের আধিকারিকরা।
পরে আরও একদফায় বৈঠক করেন রাজ্যের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঞা ও আধিকারিকদের নিয়ে

 

জেলা শাসক জানিয়েছেন-
“ বেশ কয়েকটি নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে ৷ বর্ষনে পরিস্থিতি দেখে প্রচুর ত্রিপল
বিলি করা হয়েছিল ৷ এবার বিপদ থেকে উদ্ধার করতে লোকজনকে উদ্ধার করা শুরু হয়েছে ৷ কন্ট্রোল
রুম চালু রেখে উদ্ধার করে বিভিন্ন কেন্দ্রে রাখা হচ্ছে লোকজনকে ৷ ওষুধ থেকে সবটাই মজুদ
রাখা হয়েছে ৷ ”  উপস্থিত পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন- “পরিস্থিতি বিবেচনা করে চারটি এসডিআরএফ টিম
চাওয়া হয়েছে৷ আসছে সেগুলি ৷ ফ্লড সেন্টারগুলি প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৷আমাদের কাছে মজুদ
সামগ্রী নিয়ে বৈঠক হয়েছে ৷ সব দিক থেকে আমরা প্রস্তুত ৷”

 

বৈঠকের পরে মন্ত্রী
মানস রঞ্জন ভুঞা বলেন- “  আমরা পরিস্থিতি দেখে
১১ টি উদ্ধার কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি ৷ ৫ টা বিশেষ রান্নার স্থান তৈরী করেছি ৷ ২২৮
জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ ফসলের ক্ষতির জন্য প্রসতুত হতে বলেছি বিভাগীয় দফতরকে ৷ সব
দিক থেকে মোকাবিলার জন্য আমরা রেডি ৷ ”

 

অন্যদিকে বিকেলে কেশপুরের
কলাগ্রাম সহ বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখেন ঘাটালের সাংসদ দেব ৷ তিনি বলেন- “ প্রায় ৪০
হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে নতুন করে ৷ ফলে বিপদ তৈরী হয়েছে একটা ৷ প্রশাসনিক বৈঠক
হয়েছে ৷ মানুষের পাশে রয়েছি ৷ ”


Flood, Paschim Medinipur flood, Ghatal, Ghatal flood, Manas Bhunia, Daspur, Flood water, Kangsaboti river, Shilabati river, Medinipur, Medinipurlive, Heavy rain, weather update, Weather, 


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page