ডুবে থাকা ঘাটালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান |
ঘাটাল: যে
বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীরা থাকতো ৬ ঘন্টা, সেখানে সপরিবারে থাকে ২৪ ঘন্টা। কিন্তু পঠন পাঠন এখন জলে
ভেসে গিয়েছে। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে-ঘাটালের তিনটি ব্লকেই বেশিরভাগ ডুবে রয়েছে
৩৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেখানে এখন ত্রাণ শিবির। যেখানে হয়তো শিক্ষার্থীরাই
সপরিবারে ত্রাণ শিবিরের হিসেবে রয়েছে। কবে স্বাভাবিক হবে তার কোন ঠিক নেই।
স্কুল
বিল্ডিং ডুবেছে জলে, ডুবেছে আই সি ডি এস
সেন্টার,
হেলথ সেন্টার, ডুবেছে বহু ঘর বাড়ি । তাই পরিবারের সাথে অনেক পড়ুয়া আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ
শিবিরে,
কোথাও আবার স্কুলের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া ছোট পড়ুয়ারা
পড়ছে বই। কবে স্কুল খুলবে তা জানে না কেউ। এমনই ছবি ঘাটাল ব্লক ও পৌর এলাকা
জুড়ে।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত
এলাকা এখনো জলের তলায়। এছাড়াও ঘাটাল পৌরসভার ১৩ টি ওয়ার্ড এখনো প্লাবিত। বন্যা
প্লাবিত ঘাটালে প্রাইমারি স্কুল মোট ২৩০ তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ১৫০ টি।হাইস্কুল
মোট ৫৬ তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ২১।অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মোট ৩৩৯ টি। তার মধ্যে জলে
ডুবে আছে ২১৫ টি।
![]() |
প্লাবিত ডেবরা-র ভয়ঙ্কর ছবি |
স্বাস্থ্যকেন্দ্র
মোট ৪৫ টি। তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ১৪টি।এছাড়াও ঘাটাল পৌর এলাকার ১৩ টি ওয়ার্ডের
সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয়, আই সি ডি এস
সেন্টার,
হেল্থ সেন্টার ডুবে রয়েছে জলে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের
উদ্যোগে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে এলাকায় এলাকায় চলছে
স্বাস্থ্য শিবির। আর কতদিন পর জল নামবে বিদ্যালয় গুলি থেকে, কবে বাড়ি ফিরবেন,কবে স্কুল
খুলবে তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকের।ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির
সহ সভাপতি বিকাশ কর বলেন-“ আমরা খুবই খারাপ পরিস্থিতির
মধ্যে রয়েছি ৷ জল নামছে ঠিকই, কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি এখনও ৷ আমরা বিদ্যালয়গুলি
ডোবা অবস্থা থেকে ফিরলেই সেগুলি পরিচ্ছন্ন করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেবো ৷ তবে কবে সাট
হবে তার ঠিক নেই ৷”