মেদিনীপুর: শুক্রবার সাত সকালেই শহরের রাস্তায় ভিড় তৈরি হওয়ার আগেই নামই শপিংমলে ফায়ার এলার্ম চিৎকার করে উঠলো। আগুনের আতঙ্কে ওই শপিংমলের উপরিভাগ এর ফ্ল্যাট গুলিতে থাকা পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়লেন। আগুন নেভাতে ছুটে এলো দমকলের ইঞ্জিন। হাজির হলেন কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্তারা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদের উল্টোদিকে থাকা শপিংমল টিতে। বিশাল আয়তনের এই শপিংমলের নিচের তিনটি ফ্লোরে শপিংমল রয়েছে। উপরের অংশগুলিতে ৩০টির বেশি ফ্ল্যাটে রয়েছেন শতাধিক মানুষ। এদিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ওই শপিংমল খোলার আগেই বন্ধ থাকা অবস্থায় ভেতর থেকে প্রচন্ড জোরে ফায়ার এলার্ম বেজে ওঠে। ভেতরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা যেমন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন, সেই সাথে ওই শপিংমলের উপরিভাগে থাকা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পাশাপাশি দোকানদার ও রাস্তা দিয়ে যাওয়া লোকজনও ভয় পেয়ে যায়। দ্রুত খবর যায় দমকল বিভাগে ও কোতোয়ালি থানাতে। মুহূর্তে সেখানে হাজির হয়ে যায় সকলে। কারণ ওই শপিংমলে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন রকমের নামিদামি কাপড়চোপড়ে ভর্তি। আগুন লাগলে বৃহৎ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে।
দমকল হাজির হয়েও আধিকারিকরা দেখেন-ফায়ার এলার্ম বেজে চলেছে। দ্রুত শার্টার খুলে ভেতরে প্রবেশ করে সকালে দেখেন কোন আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি। কোনভাবে ওই ফায়ার অ্যালার্মের সার্কিটে সমস্যা থেকে এই আওয়াজ তৈরি হয়েছিল। সবটা ভালো করে খটিয়ে রেখে স্বস্তি ফেলে সকলের। মেদিনীপুর দমকল বিভাগের স্টেশন অফিসার মুজিবুর রহমান সমস্ত খতিয়ে দেখার পর বলেন-” কোন আগুন লাগার ঘটনা ঘটেনি, মেকানিক্যাল কিছু ত্রুটি থেকে হয়তো ফায়ার এলার্ম বেজে উঠেছিল। আমরা এসেও দেখেছিলাম সেই অ্যালার্ম বেজে চলেছে। তবে পরিস্থিতির স্বাভাবিক। তবুও খতিয়ে দেখে নেয়া হয়েছে অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা।”