Chandra : খাবারের স্বাদ বদল করতে চেয়ে জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়েছিল হাতি ৷ রাতের অন্ধকারে পরপর হানা দিল একের পর এক বাড়িতে। ভেঙে তছনছ করে দিল মাটির বাড়ির দেওয়াল। কেউ বুঝতে পেরে আগেই সতর্ক ছিলেন, কেউ আবার কোনরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে দৌড় দিলেন অন্য বাড়িতে। রাতভর ঘুমহীন চোখেই আতঙ্কে কাটালেন জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা। রবিবার গভীর রাতে ঘটেছে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া এলাকাতে ৷
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার গভীর রাতে একটি দলছুট হাতি জঙ্গল ছেড়ে গ্রামে প্রবেশ করে। খাবারের খোঁজে একের পর এক বাড়িতে হানা দেয়।মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে ফেলে। পরে গ্রামবাসীরা আগুন জ্বালিয়ে হাতিটিকে পুনরায় জঙ্গলে ফেরত পাঠায়।ঘটনাটি রবিবার রাতে মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া রেঞ্জ এলাকায়। ওই রেঞ্জের শিরসী ও চাঁদাবিলা দুটি গ্রামে চারটি বাড়ি ভেঙে ফেলে দলছুট দাঁতাল।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, দলছুট হাতিটি ওই এলাকার জঙ্গলে ছিল। রাত বারোটা নাগাদ জঙ্গল ছেড়ে খাবারের খোঁজে শিরসী গ্রামে প্রবেশ করে। সেখানে হীরালাল মাহাত এবং অশোক মাহাত-র বাড়ি ভেঙে ফেলে। কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন হীরালাল বাবু। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গরমের জন্য বারান্দার একটি রুমে ঘুমিয়েছিলেন হীরালাল। হাতিটি এসে দেওয়াল ভাঙতে শুরু করে। দেওয়ালের মাটি বিছানার উপর পড়তেই ঘুম ভেঙে যায়। বুঝতে পেরে ওই বাড়ি ছেড়ে রাস্তার দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
চিৎকার করে গ্রামবাসীদের জোড়ো করেন। পরে গ্রামবাসীরা হাতিটিকে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। ওই বাড়িতে হাতির কোনো খাবার ছিল না, কেন হাতিটি ভাঙলো তা বুঝে উঠতে পারছেন না স্থানীয়রা। হাতিটি ওখান থেকে বেরিয়ে অশোক মাহাত নামে আরেকজনের বাড়ি ভেঙে ফেলে। সেখান থেকে তাড়া দিলে চাঁদাবিলা এলাকায় গিয়ে আরও দুটি বাড়ি ভেঙে ফেলে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
চাঁদড়া রেঞ্জ আধিকারিক লক্ষীকান্ত মাহাত বলেন, “একটি দলছুট হাতি ছিল। চারটি বাড়ি কমবেশি ক্ষতি হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হবে। হাতিটিকে অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”