Elephant terror: মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ,জঙ্গল রাস্তায় হুটার বাজিয়ে ছুটল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের এসকট গাড়ি
মেদিনীপুর: জলপাইগুড়ির গাজলডোবা
এলাকাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেই এক পরীক্ষার্থী হাতির হামলায় মৃত্যু
হয়েছে। মর্মান্তিক ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশে হাতি উপদ্রুত এলাকায়
আপাতত স্বস্তি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। পরিবহন দপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায়
ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন বাহনে তুলে পৌঁছানো শুরু হলো পরীক্ষা কেন্দ্রে। তাকে এসকট
করল বনদপ্তরের ঐরাবত ও বন কর্মীরা।
পশ্চিম মেদিনীপুরে হাতি উপদ্রুত
এলাকা মেদিনীপুর সদর, শালবনী ,গড়বেতা
গোয়ালতোড়, কেশিয়াড়ি। ওই এলাকাগুলির জন্য বৃহস্পতিবার
সন্ধ্যাতেই বিশেষ ছক করে পরিবহন দপ্তর ও বনদপ্তর। পরিবহন দফতর বাস ও অন্যান্য
গাড়ির ব্যবস্থা করে । বনদপ্তরের ঠিক করে দেওয়া হাতির রুট গুলিতে কোথায় কতগুলি
গাড়ি লাগবে তা নির্ধারণ হয়।
জেলার পরিবহন দপ্তরের আধিকারিক অমিত দত্ত জানান
-” শুক্রবার সকাল থেকে জঙ্গলমহলের রুটে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন পিকআপ
পয়েন্টে আমাদের গাড়ি যায় এবং সেখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের তুলে নিয়ে রওয়ানা
দেয় পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির উদ্দেশ্যে। বনদপ্তরের ঠিক করে দেওয়া রুটে ওই গাড়িগুলির
সামনে ছিল বনদপ্তরের এসকট ঐরাবত গাড়ি। পরিবহন ব্যাবস্থার
প্রথম দিনে সমস্ত মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রী এই সুবিধা গ্রহণ না করলেও পরবর্তী দিনে
আশা রাখছি সকলেই এই গাড়িতে উঠে যাবে জঙ্গলের রাস্তায়।”
পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া, পিড়াকাটা, গোয়ালতোড়, কেশিয়াড়ি
এলাকাতে নির্দিষ্ট পয়েন্টে গাড়ি ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসার কাজ করে তারা। এর মাঝেও অনেকেই বাইক বা
অন্যভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার চেষ্টা করলে জঙ্গলের রাস্তায় থাকা বনকর্তা ও
বনকর্মীরা তাদের আটকে পরবর্তীকালে পরিবহন দপ্তরের দেওয়া গাড়ি গুলিতে যাতায়াতের
জন্য পরামর্শ দেয়। সেই সঙ্গে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন বাজার গুলিতে মাইকিং করে বনদপ্তর
জানিয়ে দেয় পরিবহন দপ্তর ও বনদপ্তর এর পরিবহন সুবিধার কথা।
শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সকলেই
জানায় -এই ব্যবস্থায় আর্থিক ও পথ নিরাপত্তা দু দিক থেকে সুবিধা হল মাধ্যমিকের
ছাত্র-ছাত্রীদের। তবে মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনের এই আয়োজন ছিল খানিকটা
ভিভিআইপিদের মত। এক প্রকার আপ্যায়ন করে বাসে ছাত্র-ছাত্রীদের তোলা, সেইসঙ্গে বাসের সামনে ঐরাবত গাড়ির হুটার বাজিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া স্বস্তি এনে দিয়েছে
অভিভাবকদের জন্যও।