Home Blog elephant clash: তিনদিনে মেদিনীপুর সদরে হাতির হানায় ক্ষতি ১০০ বিঘার ধান, হাতির...

elephant clash: তিনদিনে মেদিনীপুর সদরে হাতির হানায় ক্ষতি ১০০ বিঘার ধান, হাতির পালকে সরাতে গিয়ে গভীর রাতে হেনস্থার শিকার হুলা টিম

27
0

 

চাঁদড়া:  গত তিনদিন আগে মেদিনীপুর সদর
ব্লকে প্রবেশ করে
50 টি হাতির একটি পাল। কলাইকুন্ডা থেকে আগত
হাতির পাল তিন দিনেই ১০০ বিঘার বেশি পাকা ধানের জমিতে ক্ষতি করেছে। শুক্রবার রাতে
হাতির পাল ধান জমির দিকে এগোলেই সরাতে গিয়েছিল হুলা টিম। ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুব্ধ
গ্রামবাসীদের একাংশ হুলা টিমের সদস্যদের ঘিরে ধরে ছাড়িয়ে নেই সামগ্রী। ঘটনাটি
মেদিনীপুর সদরের মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরিদচক এলাকায়। একই এলাকায় একাধিকবার
হেনস্থার ঘটনায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে হুলা টিমের সদস্যদেরও। পরবর্তী দিনে কাজে
যেতেও অনীহা!

 

বন দফতর থেকে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রাম ও খড়্গপুর থেকে 40 টির
বেশি হাতি প্রবেশ করেছিল মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া এলাকায়। তারপর তিনদিন আগে
আরও
50 টি হাতি প্রবেশ করে। এই মুহূর্তে চাঁদড়া সহ
বিস্তীর্ণ এলাকায় জমিতে ধান পেকে গিয়েছে। পাকা ধানের জমিতে ধান খাওয়া ছাড়াও
সেই জমির উপর দিয়ে বিশাল হাতির পালের যাতায়াতে নষ্ট হয়েছে বহু। কৃষকদের দাবি
ক্ষতির পরিমাণ ১০০ বিঘারও বেশি। এই পরিস্থিতিতে হাতি সরাতে ময়দানে নামে হুলা টিমের
সদস্যরা। বৃহস্পতিবার রাতে
40 টি হাতির পাল শুকনাখালির জঙ্গল
থেকে পলাশিয়ার মাঠে নামতেই তৈরি থাকা হুলা টিম তাদের সরানোর কাজ শুরু করে।
কংসাবতী নদী পার করার লক্ষ্যে ফরিদচক এলাকায় পৌঁছলেই উল্টো দিকের থাকা গ্রামের
বাসিন্দারা তাদের ঘিরে ধরে। তাদের ধানের জমির উপর দিয়ে হাতি গেলে ব্যাপক পরিমাণে
চাষ নষ্ট হবে এই দাবি করে হাতি তাড়ানো বন্ধ করে দেয়। ছাড়িয়ে নেওয়া হয় হুলা
টিমের সদস্যদের কাছে থাকা বিভিন্ন সামগ্রী। তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয় ফরিদচক
এলাকায়।

 শেষ পর্যন্ত হাতির পালকে কংসাবতী নদী পার করে
কলাইকুন্ডার জঙ্গলে পাঠাতে সক্ষম হয়। একটি পাল গেলেও এখনও
50 টি হাতি রয়ে গিয়েছে চাঁদড়ার জঙ্গলে। নতুন করে ক্ষতির আশংকা। চাঁদড়ার
হুলা টিমের নেতা অমিত মাহাত বলেন
, “জঙ্গল থেকে 40
টি হাতির একটি পাল পলাশিয়ার ধান জমিতে নেমে গেলে হাতিগুলিকে আমরা
সরাতে যায়। সেই সময় ফরিদচক এলাকার কিছু মানুষজন আমাদের হুলা ছাড়িয়ে হেনস্তা
করে। এর আগেও ওই এলাকায় আমাদের হুলা টিমের সদস্যদের মারধর ও হেনস্থা করেছে।
পুনরায় এদিন রাতে আবার হেনস্থা করে মারধরের হুমকি দিয়েছে। দিনরাত এক করে কাজ করতে
গিয়ে এই ভাবে প্রতিদিন মারধরের সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের। এরপর লোকালয় থেকে হাতি
সরানোর কাজে গেলে বন দফতরে নিরাপত্তার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি
হেনস্থার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছি।”



Previous articleRation Corruption: রেশনের আটা ঘুর পথে আড়তদারের গোডাউনে, প্যাকেট কেটে হচ্ছে ফ্রেস প্যাকিং
Next articlewater crisis: পানীয় জলের দাবিতে জলের পাত্র নিয়ে চারঘন্টা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here