Elephant attack : হাতি তাড়াতে হুলাপার্টিদের পাল্টাচ্ছে অস্ত্র, সঙ্গে বডি ক্যামেরা! হাতি সমস্যা উঠছে এবার সংসদে।
Medinipur :
ঝাড়গ্রামে(Jhargram) পরপর হাতির হামলায়
(elephant attack) মৃত্যু হয়েছে গ্রামবাসীদের। হুলাপার্টির
(Hulaparty) হামলাতে শলাকা বৃদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে হাতির। যা এখন
দেশ জুড়ে ভাইরাল (viral) হয়ে সমালোচনার ঝড়। গ্রেপ্তার
হয়েছে (Arrest) হুলা পার্টির ২ সদস্য। এবার সেটা নিয়েই
জরুরি বৈঠক হলো পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim medinipur)।
একাধিক নতুন পদক্ষেপ হাতি সমস্যা মেটাতে। এমনকি এই সমস্যা নিয়ে কেন্দ্রীয়
মন্ত্রক (Central ministry) ও সংসদেও (parliament) ওঠানো হচ্ছে বলে বৈঠকে উপস্থিত সাংসদ জুন মালিয়া
(June malia) জানিয়েছেন মেদিনীপুরে (Medinipur)।
মেদিনীপুর
শহরের (Midnapur Town) জেলাশাসকের দপ্তরে
(DM office) এই বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল বৃহস্পতিবার বিকেলে। যেখানে
উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক (District
Magistrate) খুরশেদ আলী কাদরী, মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের বনদপ্তর(Forest
depertment) এর তিনটি ডিভিশনের ডি এফ ও,(DFO) বনদপ্তরের জেলার বিভিন্ন প্রান্তের রেঞ্জার, হুলা পার্টির বিভিন্ন নেতৃত্বরা। এই বৈঠকে পশ্চিম
মেদিনীপুরের বর্তমান হাতির অবস্থান পরিস্থিতি, প্রতিকূলতা, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার বর্তমান
পরিস্থিতিটা নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে একগুচ্ছ।
বৈঠকের পর
সংসদ জুন মালিয়া জানান-” পশ্চিম মেদিনীপুর ও সংলগ্ন এলাকাতে এই মুহূর্তে
দুশোর মত হাতি রয়েছে। যা ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুর বাঁকুড়া সংলগ্ন এলাকা
দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ঝাড়খন্ড ও উড়িষ্যা (Jharkhand and
Orrissa) থেকে হাতিগুলি পশ্চিমবঙ্গে(West Bengal) প্রবেশ করার পর এখান থেকে আর যেতে চাইছে না। কারণ ওড়িশা খাল কেটে আলাদা
করে নিয়েছে হাতির রাস্তা। ঝাড়খন্ডে (Jharkhand) ঘন ঘন মাইন
বিস্ফোরণ (Mine blust) এর আওয়াজ হাতিরা আতঙ্কিত
(Panicked) হচ্ছে।। তাই এরাজ্যে থেকে হাতিরা তাদের স্বাভাবিক বিচরণ
ক্ষেত্র তৈরি করে নিয়েছে। সেই হাতিদের সঙ্গে প্রায়শয় গ্রামবাসী(villagers) ও হুলা পার্টির সদস্যদের (Hoolaparty Member) সংঘাত
ঘটছে। তাতে যা হয়েছে-নৃশংস ও নিন্দনীয় ঘটনা হাতি মারা যাওয়া। ক্ষতি হয়েছে বহু
মানুষের মৃত্যু হয়ে। তাই এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে-যে সমস্ত হুলাপার্টি হাতি
তাড়ানোর কাজে লাগবেন তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, তাদের নির্দিষ্ট পোশাক দেওয়া হবে, প্রত্যেকের বুকে লাগানো থাকবে বডি ক্যামেরা (Body camera), হাতি তাড়ানোর জন্য
যে মশাল (Moshal) তারা ব্যবহার করেন তা কখনোই বর্ষার
মতো বা সূচালো বা ধারালো হবেনা। জাত থেকে হাতির বা কোন প্রাণীর ক্ষতি হতে পারে।
ফসল ক্ষতি ও বিভিন্ন ক্ষতি গুলির ক্ষেত্রে যে ক্ষতি হচ্ছে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণের
(compensation) পদক্ষেপ আরো নিতে হবে। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের হাতি
এলেই ছবি তোলার জন্য যে উত্ত্যক্তকরণ সে ক্ষেত্রেও আইনের কড়া ব্যবস্থা নেওয়া
হচ্ছে। হুলাপার্টির সদস্যদের জন্য যে নিয়ম তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে তা না মানলে
তারা তাদের সাম্মানিক পাবেন না। সর্বোপরি এই বিষয়টা তিনটে রাজ্যের সঙ্গে জড়িত।
তাই স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দিল্লিতে (Delhi) বিষয়টি
আলোচনা করব। সমাধানের জন্য সংসদে (Perliament) তোলা হচ্ছে এই
হাতি সমস্যা (Elephant problem)।”