Elephant attack :সন্ধায় আগুন লাগিয়েছিল জঙ্গলে, রাতে জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে বাড়ি ভাঙলো হাতি
মেদিনীপুর: সোমবার সন্ধায় মেদিনীপুর সদর ব্লকের
পলাশিয়ার জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়েছিলেন ৷ রাত ৮ টার পরেও সেই ভয়াবহ আগুন জ্বলতে
দেখা গিয়েছিল ৷ এরপর গভীর রাতে পলাশিয়া জঙ্গলের পাশে পলাশিয়া গ্রামে প্রবেশ হাতির ৷
গ্রামে প্রবেশ করেই স্থানীয় বাসিন্দা অরুন দোলই এর পাকা বাড়ি ভাঙলো হাতি ৷ খাবারের
খোঁজে ঢুঁ মেরেছে অন্যত্রও ৷
বনদফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর সদরের
চাঁদড়া এলাকার পাশাপাশি জঙ্গলে রয়েছে ১০ টির বেশি হাতি ৷ সেই হাতি গুলির একটি প্রবেশ
করেছিল পলাশিয়াতে ৷ খাবারের খোঁজে ঢুকলেও স্থানীয়দের দাবি-জঙ্গলে আগুন লাগালে খাবারের
খোঁজ অন্যত্র করবেই হাতি ৷ স্থানীয় বাসিন্দারা
জানাচ্ছেন- গত একমাসে পলাশিয়ার জঙ্গলে রাস্তা থেকে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়েছে এই নিয়ে
দুবার ৷ সেই আগুনে প্রথম বারেই জঙ্গলের বড় অংশ পুড়ে গিয়েছে ৷ মাটিতে থাকা গাছ , বড়ো
গাছের নিচু অংশের ডালপালাও বহু পুড়ে গিয়েছে ৷ এর ফলে হাতিদের খাবারের মতো সবুজ অংশ
অনেকটাই নষ্ট হয়েছে ৷ তারই ফল স্বরুপ মঙ্গলবার রাত একটা নাগাদ একটি দাঁতাল হাতি প্রবেশ
করে পলাশিয়ার জঙ্গলের পাশে থাকা পলাশিয়া গ্রামে ৷ খাবারের খোঁজে অরুন দোলই এই পাকার
দেওয়াল ভাঙে হাতি ৷ বাড়ির ভেতরে খাবারের সন্ধান চালিয়েছে হাতি ৷ তবে এই হামলাতে প্রানে
রক্ষা পেয়েছেন অরুন দোলই এর পরিবার ৷
এমনিতেই বিপুল সংখ্যাতে হাতির খাদ্য সংস্থান
পশ্চিম মেদিনীপুরের কোনো জঙ্গলে তেমন নেই বলে জানিয়েছিল বনদফতর ৷ তারপর বিভিন্ন জঙ্গলে
যেভাবে বারবার আগুন লাগানো হচ্ছে তাতে হাতি খাবারের উপযুক্ত পরিবেশ আরও হারিয়েছে ৷
স্বভাবতই হাতির দল প্রায়শই বিকল্প খাবারের খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ করছে ৷ পলাশিয়ার ঘটনাও
তার অন্যতম উদাহারন ৷ তবে মঙ্গলবার বনকর্তারা
জানিয়েছে- মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হয়েছে, বিশেষ করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন
যাতে কোনোভাবে জঙ্গলে আগুন লাগিয়ে হাতিকে বিরক্ত না করা হয় তার জন্য বারবার অনুরোধ
করা হচ্ছে ৷