Elephant attack: আগেই সাবধানি মেদিনীপুর বনবিভাগ সকাল থেকে জঙ্গলরাস্তা পাহারায়,গাজল়ডোবাতে হাতি মারলো মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে
মেদিনীপুর: আশঙ্কা আগেই করেছিল মেদিনীপুর বনবিভাগ,তাই মাধমিক
পরীক্ষার্থীদের জঙ্গলের রাস্তায় রক্ষা করতে প্রহরী হয়ে দাঁড়িয়েছিল সকাল থেকেই ৷
ফলে মেদিনীপুর ও শালবনী, গোয়ালতোড়ে এলাকাতে কোনো ছাত্রছাত্রীকে হাতির হামলাতে
পড়তে হয় নি ৷ তবে দুর্ঘটনা হল জলপাইগুড়ির গাজলডোবাতে ৷ মৃত্যু হল ছাত্রের ৷
দুপুরের পরেই তাই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে আরও প্রস্তুত হল পশ্চিম মেদিনীপুর
বনবিভাগ ৷
২০২২ এর তুলনায় ২০১৩ সালে পরীক্ষার্থী কমেছে ২১ হাজার ২৭৫ জন। একই
হারে কমেছে পরীক্ষা কেন্দ্র। তবে বেড়েছে তৎপরতা। করোনা পর্বের পর পরীক্ষা গ্রহণ
পদ্ধতি মসৃণ রাখতে পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগকে তৎপর থাকতে হয়েছে সর্বত্র। পশ্চিম
মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের রাস্তা গুলিতে বেশি তৎপর বনদপ্তরের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার
সকাল থেকেই মেদনীপুর সদরের বেশ কিছু জঙ্গলর রাস্তায় বিভিন্ন বাহন নিয়ে প্রস্তুত
ছিল বনকর্মীরা। দিনভর চলছে পাহারা।
২০২২ এ পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৫৭ টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা
দিয়েছিল ৫৯ হাজার ৫৫১ জন ছাত্রছাত্রী। ২০২৩এ এবারে ১৩১টি পরীক্ষা কেন্দ্রে
পরীক্ষা দিচ্ছে ৩৮২৭৬ জন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত রাস্তা, যানজট মুক্ত রাখতে কড়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ রাখা
হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে হেল্প লাইন চালু রেখে টোটো ও অন্যান্য পরিষেবাও সক্রিয়
রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে মেদিনীপুর সদরের জঙ্গলের বেশ কয়েকটি রাস্তার পাশাপাশি
হাতি উপস্থিত থাকায় সকাল থেকে বনদপ্তরে কর্মীরা রাস্তা পাহারা শুরু করেছে।
ভাদুলিয়ার জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যাওয়া রাস্তায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উপর যাতে
কোন হামলার ঘটনা না ঘটে। জঙ্গলমহলের নয়াগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের এক
ছাত্রের অভিভাবক জানান- “হাতির হামলার কারণে আশঙ্কায় ছিলাম, তবে বনদপ্তরের এই তত্পরতায় যথেষ্ট স্বস্তি।
উল্লেখ্য, পশ্চিম
মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ,সালবনি এলাকায় প্রায় পঞ্চাশটি
হাতি রয়েছে ছড়িয়ে। তাই চাঁদড়া,ধেড়ুয়া, পিড়াকাটা, ভাদুতলা, মৌপাল
এলাকায় মেদিনীপুর বন বিভাগের পক্ষ থেকে তৎপরতা শুরু হয়েছে । সব জায়গাতেই
জঙ্গলের রাস্তা গুলিতে পাহারা বসানো হয়েছে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে। বনকর্তারা
জানান- শুক্রবার সকাল থেকেই এই তত্পরতা বাড়বে ৷ বিভিন্ন এলাকাতেই মাধ্যমিক
পরীক্ষার্থীদের মাইকিং করে সতর্ক করা হবে ৷ প্রয়োজনে হাতি উপদ্রুত এলাকাতে তাদের
গাড়িতে করে তুলে ছেড়ে দেওয়া হবে পরীক্ষা কেন্দ্রে ৷