শালবনি: বাজি কারখানাতে বারবার
বিস্ফোরণ ও মৃত্যুর ঘটনার পর এবার অন্য পন্থা অবলম্বন করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
বেআইনিভাবে লুকিয়ে চলা বাজি কারখানা তুলে দিয়ে সরকারি উদ্যোগে বাজি কারখানা
খোলার উদ্যোগ। যেখানে নিরাপত্তা বিষয়টি বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। অন্যতম
লক্ষ্য,
কয়েক লক্ষ বাজি শ্রমিকদের কর্মসংস্থান। কমিটি তৈরি করে আগামী ২ মাস
ধরে তার পর্যবেক্ষণ পর্ব শুরু করেছে সরকার। শনিবার শালবনীতে জানালেন মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও গত
কয়েক বছরে বহুবার বাজি কারখানাতে বিস্ফোরণ এবং তা থেকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সব
থেকে ভয়াবহ ঘটনা ছিল পিংলার ব্রাহ্মণ বাড়। যেখানে একত্রে তেরো জনের মৃত্যুর ঘটনা
ঘটেছিল। সম্প্রতি এগরা বিস্ফোরণ কাণ্ডে একই রকম ভয়াবহতা সামনে এসেছে। শনিবার
সেখানে মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। আর্থিক সহযোগিতা সহ চাকরি
দেওয়া হয়েছে পরিবারগুলিকে। এই ঘটনায় নিজেদের অদূরদর্শিতার জন্য ক্ষমা চেয়ে
নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই শালবনিতে এসে জনপ্রতিনিধি ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে
বার্তা দিলেন এই বিষয়ে।
শালবনীতে নব জোয়ার যাত্রার
অধিবেশন মঞ্চে তিনি বলেন-” পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্তে রয়েছে উড়িষ্যা।
সীমান্তের দাঁতন এলাকার বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধানকে অনুরোধ করবো তিনি সীমান্ত
এলাকায় যে সমস্ত অবৈধ বাজি কারখানা রয়েছে সে বিষয়ে তথ্য তুলে আমাকে ও জেলা
প্রশাসনকে দেবেন। আমরা অবৈধ ইটভাটা ও বাজি কারখানা নিয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।
বহুস্থানে ইটভাটার কারণে নদীর জল দূষিত হচ্ছে। সেই কারখানা বন্ধ করতে পারছি না
কারণ এখানে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। তাদের কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে অন্য
পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। একইভাবে যে সমস্ত বাজি কারখানাগুলো রয়েছে অবৈধভাবে ,সেখানেও
লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কাজ করে। তাদের কর্মসংস্থানের কথা মাথায় রেখে ওই সমস্ত এলাকায়
সরকারি উদ্যোগে বাজি কারখানা তৈরি করা হবে। আর চাকরি দেওয়া হবে বাজি শ্রমের ওপর
নির্ভরশীল লোকজনদের। সেখানে এই বিস্ফোরণ যাতে না ঘটে নিরাপত্তার বিষয়টিতে বেশি
জোর দেওয়া হবে। আগামী দু মাস ধরে এ বিষয়ে তথ্য তুলতে পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে।
কমিটি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগকে সফল করতে।”
#nabajoaryatra #AbhishekBanerjee #Jangalmahal, #midnapurr,#Medinipurr,#midnapurtown, #Salboni, #Egrablast,#crackersfactory, #Illeagalcrackersfactory,#MamataBanerjee