বেলদা:
দুর্নীতির তদন্তে নেমে এই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুরে অতর্কিত অভিযান এনফোর্সমেন্ট
ডিরেক্টরেটর (E D)। জেলার বেলদা থানার অন্তর্গত ধনেশ্বরপুরে এক চাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে হাজির
হয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সকাল ১১ টার পর হাজির হয়ে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত
নানান জিজ্ঞাসাবাদ চালালেন একটি পরিবারের সদস্যদের। রেশন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার সকাল থেকেই
একাধিক জায়গায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর আধিকারিকরা অভিযান শুরু করেছিল রাজ্য
জুড়ে। কলকাতা মেদিনীপুর ছাড়াও কল্যাণী, জয়নগর এর মত মোট সাতটি জায়গায় দিনভর অভিযান চালিয়েছে তারা।
বেলা ১১:৩০
টার পর শুক্রবার হাজির হয়েছিলেন জন পাঁচেক ই ডি অফিসারের সঙ্গে অন্যান্য আধিকারিক
ও নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে প্রায় ১৫ জন। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিবৃত হয়ে বিশাল এই
দল হাজির হয়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের এক প্রান্তে থাকা বেলদা থানার অন্তর্গত
ধনেশ্বর পুর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা স্বদেশ কান্তি বেরা-র বাড়িতে ঢুকে দিনভর
জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব সারলেন তারা। তবে কিসের জন্য হাজির হয়েছিলেন, কেন এই আগমন তা তারা অন্যরকম প্রতিক্রিয়া জানাননি। জানা
গিয়েছে খাদ্য দপ্তরের কোন দুর্নীতির খোঁজখবর নিতে হাজির হয়েছিলেন তারা।।
স্থানীয়
বাসিন্দা তথা স্বদেশ কান্তি বেরার মামা সীতানাথ প্রধান বলেন-” স্বদেশ আমার
ভাগনা হয়। আগে ও হাস্কিং মেশিনের চাল তৈরি করে বিভিন্ন মিলে বিক্রি করতো। এখন তা
করে না। তাহলেও এই তদন্তকারীরা কেন এলো বুঝতে পারছি না।” স্থানীয় সূত্রে
জানা গিয়েছে-স্বদেশ কান্তি বেরা বর্তমানে চাল তৈরি করে বিক্রির ব্যবসা না করলেও, চাল ব্যবসায়ী মিডিলম্যান এর কাজ করতো। বিভিন্ন মিলে চাল
বিক্রি করতো এক জায়গা থেকে কিনে অন্যত্র। সেক্ষেত্রে সেই ব্যবসার কোন সূত্র ধরেই
খাদ্য দপ্তরের দুর্নীতির তদন্তে হাজির হয়েছিলেন এই তদন্তকারী আধিকারিকরা। যা
দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন স্বদেশ বাবুকে। সারাদিনের তদন্ত প্রক্রিয়ায়
জিজ্ঞাসাবাদ সেরে আধিকারিকরা যখন বেরিয়ে যান-সংবাদ মাধ্যম তাদের কারণ জানতে
চাইলেও তারা কোন উত্তর দিতে চাননি। এরপরে স্বদেশ কান্তি বেরার সঙ্গে সাংবাদিকরা
কথা বলতে গেলে তিনিও কোন মন্তব্য করেননি সংবাদ মাধ্যমের সামনে।
ED, CBI, ED raid,Belda,Paschim Medinipur, Medinipur, Midnapore town, food depertment investigation, Enforcment Directorate,