Durgapujo : ৫ হাজার আয়রন ঝুড়ি দিয়ে বিশাল মন্ডপ, মূর্তি ৫ হাজার মাটির ভাঁড় দিয়ে

মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহর এলাকার বড় ও আকর্ষণীয় পূজা মন্ডপ গুলির মধ্যে অন্যতম রাঙ্গামাটি সার্বজনীন দুর্গোৎসব। এবার এই পুজোর মন্ডপ এক বিশেষ নজর কারা থিমে ঢালা হয়েছে। থিমের নাম রয়েছে-“আলোক স্পর্শে দেবী দশাভূজা”। এই থিম কে সফল করতে দশ হাজার এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে। পুরো মণ্ডপ সাজানো হয়েছে পাঁচ হাজার আয়রন ঝুড়ি ফাইবারের কাপ প্লেট দিয়ে। আর ভেতরে প্রতিমা সাজানো হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মাটির ভাঁড় দিয়ে। যা সাধারণত চায়ের কাপ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুসারে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে মেঘ কালো হয়ে সেই পরিবেশ তৈরিও করে ফেলেছিল। কিন্তু বৃষ্টি হওয়ার আগেই পুজো দেখার সুযোগ কোনোভাবেই হারায়নি মেদিনীপুর বাসি। পঞ্চমীর বিকেল থেকেই রাঙ্গামাটির মন্ডপেই ব্যাপক ভিড় দেখতে পেলেন আয়োজকরা। প্রতিবছরের মতো এবছরও রাঙ্গামাটি আকর্ষণের কিছু করবে এমন আঁচ করেই এই ভিড় দেখা গিয়েছিল। নিরাপত্তায় থাকা কর্মীদের হিমসিম খেতে হয়েছে। মণ্ডপের ভেতরে এবং বাইরে নজর কাড়া এলইডি আলোর শয্যা ছিল।।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে সুশান্ত ঘোষ জানিয়েছেন-” দুমাস ধরে ২১ জন শ্রমিক লাগাতার কাজ করে গিয়েছেন এই মন্ডপটিকে বিশেষ রূপ দেওয়ার জন্য। মন্ডপ কি সাজানো হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি আয়রন ঝুড়ি দিয়ে। তারপরেও রয়েছে ফাইবারের কাপ প্লেট সহ বিভিন্ন সামগ্রী গৃহস্থালির। বাড়ির মহিলারা যে সমস্ত জিনিসপত্র ব্যবহার করেন সেই সমস্ত সামগ্রী মন্ডপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে।। তারপরেও দশ হাজারের বেশি এলইডি লাইট ব্যবহার করা হয়েছে এ মন্ডপটিকে প্রতিটি ঝুড়িতে আলো দিয়ে সাজাতে।”
দেখুন ভিডিও-

এই পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সোমনাথ রায় বলেন-” মণ্ডপটিকে আলাদা করে দেখানোর সাথে সাথে ভেতরে প্রতিমা টিকেও বিশেষ রূপ দেওয়া হয়েছে মাটির কারুকার্য দিয়ে। হারিয়ে যাওয়া মৃত শিল্পীদের মাটির তৈরি চা এর ভাঁড় প্রায় ৫ হাজার ব্যবহার করা হয়েছে। সেটা দিয়েই প্রতিমার সমস্ত সজ্জা রয়েছে এখানে। এক অনবদ্য রূপ দেওয়া হয়েছে মাতৃ প্রতিমাকে মাটির মা হিসেবে।”