Dolphin: জোয়ারের জলে দাসপুরে এসে আটকে গিয়েছিল প্রায় সাত ফুট লম্বা ডলফিন,বন্দীদশা ঘোঁচালো বনদফতর

 

দাসপুর: গত চার দিন আগে শিলাবতী নদীর জোয়ারের জলে এসেছিল বিশাল এক ডলফিন। জল কমে গেল শিলাবতিতে রঘুনাথপুর এলাকায় আটকেছিল ওই ডলফিনটি। সেটি পরের জোয়ারে চলে যাবে বলে মনে করলেও চার দিন ধরে যেতে পারেনি। অবশেষে মহাকুমা শাসকের উদ্যোগে বনদপ্তর ও দমকল বিভাগের যৌথ প্রচেষ্টায় গ্রামবাসীদের নিয়ে উদ্ধার করা হলো ডলফিন টিকে। বিশেষ গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হল কোলাঘাটের উদ্দেশ্যে।

স্থানীয়দের দাবি প্রায় চার দিন ধরে ওই ডলফিনটি শিলাবতীর অল্প জলে ঘোরাফেরা করছিল। তা দেখে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। সেটি ডলফিন না অন্য কিছু কৌতুহল তৈরি হয়েছিল। বনদপ্তরসহ প্রশাসন পরে বুঝতে পেরেছিল সেটি ডলফিন। তারা ভেবেছিলেন পরবর্তী জোয়ারে হয়তো সেটি চলে যাবে। কিন্তু দাসপুরের রঘুনাথপুর এলাকায় সেটি আটকে থেকে যাচ্ছিল। এরপর প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয় শুক্রবার।

  শুক্রবার প্রায় ঘন্টা তিনেকের চেষ্টায় দাসপুরের রঘুনাথপুর সীতাকুণ্ডু এলাকার শিলাবতীর নদীতে গ্রামবাসীদের নিয়ে ডলফিনটিকে জালে ধরা হয় । প্রায় ৭ ফুট এবং ৬০ কেজি ওজনের বৃহদাকার ডলফিনটি গ্রামবাসীদের নিয়ে উদ্ধার করে বনদপ্তর। ঘাটাল ফরেস্ট রেঞ্জার অসিত বরন মুখোপাধ্যায়,বন্য প্রাণী রেসকিউ টিমের তরফে মলয় ঘোষ পাশাপাশি বনদপ্তরের আরও একাধিক কর্মী সাথে প্রায় ৩০ জন গ্রামবাসী এই ডলফিন ধরতে শিলাবতীর জলে নামে। দীর্ঘ চেষ্টার পর তাকে ধরা যায়। 

পরে ঘাটাল ফায়ার ব্রিগেডের  তরফে বিশেষ জল ভর্তি গাড়ি আনা হয় রঘুনাথপুর এলাকায়। সেই গাড়িতে ওই দীর্ঘ প্রানীটিকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় কোলাঘাটে।সেখানেই রূপনারায়ন নদীতে ছাড়া হবে এই প্রাণীটিকে। 

ঘাটাল ফরেস্ট রেঞ্জার অসীত মুখোপাধ্যায়  জানান -“আমরা চেয়েছিলাম ওই ডলফিনটি যেভাবে জোয়ারের জলে নদীর মধ্যে এসে পড়েছিল, সেভাবেই আবার জোয়ারের জলে নদীর গভীরে ফিরে যাক। কিন্তু প্রায় ৪ দিন ধরে ডলফিনটি একই জায়গায় থাকার ফলে তাঁদের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণীটিকে উদ্ধার করে দূরে নিয়ে যেতে হচ্ছে।”

 অন্যদিকে এদিনের এই ডলফিন উদ্ধার দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাজির ছিলেন ঘাটাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী পাশাপাশি দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page