Dilip Ghosh: ব্যাট করছেন দিলীপ ঘোষ, কিপিং করছেন সিপিআইএমের তন্ময় ভট্টাচার্য। শুরু হলো জল্পনা
ঘাটাল: একই মঞ্চে সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের হরিরামপুরে একটি ক্লাবের ক্রিকেট খেলার উদ্বোধনে একই মঞ্চে দেখা গেল তন্ময় ভট্টাচার্য ও দিলীপ ঘোষকে। এদিন ক্রিকেট খেলার উদ্বোধনে কখনো দিলীপ ঘোষ ব্যাট করছেন, তন্ময় ভট্টাচার্য কিপিং করছেন, আবার কখনো তন্ময় ভট্টাচার্য ব্যাট করছে দিলীপ ঘোষ কিপিং করছে। শাসকের বিরুদ্ধে থাকা দুই দলের দুই শীর্ষ নেতা একত্রে এক মঞ্চে যেভাবে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলেন, তাতে আরো এক দফায় সিপিআইএম বিজেপির আঘাতের অভিযোগ জোরালো হল শাসক দলের পক্ষ থেকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দুইজন নেতাকে একই মঞ্চে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তারাও তাদের প্রতিক্রিয়া দেন। তবে এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন-” তন্ময় দা পুরনো রাজনীতিবিদ, বিধায়ক হিসেবে পুরনো বন্ধু। আজকে ক্রিকেট খেলার উদ্বোধনে আয়োজকরা ডেকেছিল। একসঙ্গে দেখা হয়ে ভালো লাগলো। দুজনেই খেললাম।”। এরপরেও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ফের শাসক দলকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন- ” পশ্চিমবাংলাকে পশ্চিম বাংলাদেশ করার চেষ্টা চলছে, যেকোনো ধর্মানুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মুসলিমদের বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশ সেক্ষেত্রে রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছে।এই রাজ্যে এখনো হয়নি। এটার জবাব দেওয়া হবে।” এক কথায় বিভিন্নভাবে শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন তিনি।
অন্যদিকে সিপিআইএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যও নিজে এই দুজনের একত্রে উপস্থিতি নিয়ে রাজনীতি নেই বলেই দাবি করেছেন। তার দাবি একটি ক্রিকেট খেলার অনুষ্ঠানে উভয়টাই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পুরনো সম্পর্কে থাকায় বেশ কিছুটা ভালো সময় কাটানো গেল।
তবে তা হলেও রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ এই মঞ্চে সিপিআইএম ও বিজেপি যারা শাসক দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী একত্রে থাকলেও, ছিলেন না শাসকদলের কোন নেতা কর্মী। স্বভাবতই শাসক দলের বিরুদ্ধে সিপিআইএম বিজেপির এই জোট নিয়ে আরো তর্জা শুরু হয়েছে। কারণ এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত জেলার মকরামপুর এলাকায় এক বিজেপি মহিলা কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিপিআইএম বিজেপি থেকে বেশি সরব হয়েছিল। এই ইস্যুতে বিজেপি নিজের দলের কর্মীর হয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে দুদিন আন্দোলন করলেও, সিপিআইএমের পক্ষ থেকে প্রায় চার দিন আন্দোলন ও মিছিল করা হয়েছে। ফলে সিপিআইএমের সঙ্গে বিজেপির আঁতাত অনেক বেশি জোরালো হলো বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।
তবে যে খেলার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল, আয়োজক ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়- এই অনুষ্ঠানে তারা সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কিন্তু তৃণমূলের কেউই আসেননি।