![]() |
মেদিনীপুর দলীয় কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষ |
মেদিনীপুর:
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এবার রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী সহ ঘাটালের সাংসদ দেব কে
বিভিন্নভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরে
বিজেপির একটি সদস্য সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তুতি বৈঠক করতে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে এমন বিবৃতি দিয়েছেন।
দিলীপ ঘোষ
এদিন বলেন-” অন্যান্য স্থানের মত ডিভিসি কেউ জল তো ছাড়তেই হবে। নেপাল থেকে
জল এখানে আসে, আমাদের এখান থেকে বাংলাদেশে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী তো বাংলাদেশের মতো কথা বলছেন। উনি বন্যার সামলাতে পারছেন না। নিজস্ব
প্ল্যানিং নেই। ১৩ বছর ধরে মিথ্যা কথা বলে চালিয়ে দিলেন। উনি বন্যা নিয়ন্ত্রণে
কি করেছেন ? ডিভিসি জল বেঁধে রাখে। তা থেকে
বিদ্যুৎ তৈরি করে। সেই বিদ্যুতে পশ্চিমবঙ্গ চলছে। আর যখন বন্যা হবে তিনি ডিভিসি কে
গালাগালি করবেন। এখানকার লক্ষ লক্ষ এই ডিভিসির ওপরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এখানে
সরকারের অনেক লোক রয়েছে। তাদের সাজেশন অনুযায়ী কাজ হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে
কোন এক্সপার্ট যদি সাজেশন দেয় তিনি তো তা মানেন না। তাই জল এলে বন্যা হয়। আর উনি
গোড়ালি ডুবিয়ে ফটো তুলে কেন্দ্র ও ঝাড়খন্ডকে গালাগালি করতে থাকেন। আর মানুষ
জলেই থেকে যান। “
বন্যা
পরিস্থিতি ও ত্রাণ বিলি প্রসঙ্গে আরো সুর ছড়িয়ে দিলীপ ঘোষ শাসক দলকে কটাক্ষ করে
বলেন-” প্রতি বছর পূজো খারাপ হয় এই শাসকদলের কারণে। মমতার কি কোনো দায়িত্ব
নেই! খালি ত্রাণ বিলি করা ও ত্রাণ লুট করার জন্য বন্যাকে ব্যবহার করে উনারা। বন্যা
বন্ধ হলে লুটপাট হবে না। বন্যা হলেই কেন্দ্র সরকারের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকার
আর্জির জন্য চলে যাবেন। বন্যাটা বার্ষিক ইনকামের একটা রাস্তা হয়ে গেছে তৃণমূলের
জন্য। সেজন্য ইচ্ছা করে বন্যা বন্ধ করতে চাইছে না ।কারণ তাতে তো ওদের লাভ।”
ঘাটালের
সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন-” দেব বলেছেন
দিদি আমাকে কথা দিয়েছেন এরপর না হলে দলের প্রচারে যাব না।-এই সমস্ত বাচ্চাদের মত
কথা বলছেন। মানুষ তিনবার ওনাকে জিতিয়েছেন মুখ দেখার জন্য নাকি? উনি ভাবছেন আমি হিরো, মুখ দেখালাম লোক খুশি হয়ে গেল। গলা জলে থেকে বোধহয় হাত তালি দেবে। ওটা হতে
পারে না। মানুষ কি ভুল করেছে ওনাকে ভোট দিয়ে? ঘাটালের জন্য কিছু করেননি। কেন্দ্র সরকার অফার দিয়েছিল তো ঘাটাল মাস্টার
প্ল্যানের জন্য। তাতেও করেনি ওরা। মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। যে প্রশাসনটা ছিল সেটাও
ভেঙে পড়েছে। লুটপাট কোন ধর্ষণ ফ্যাশন হয়ে গেছে। নিজেরা প্রশাসন চালাতে পারেনা
লোককে দোষ দিয়ে শেষ করে। মমতা ও তার সাংসদ ছবি তুলতে আসেন ছবি তোলার রাজনীতি বন্ধ
হওয়া উচিত।”