Accident : ঘন কুয়াশা! রাস্তা দেখতে না পেয়ে কনটেনারে ধাক্কা অ্যাম্বুলেন্সের, প্রাণ হারালো চালক, গুরুতর আহত আরো চারজন।
Dantan: পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে চিকিৎসার জন্য রোগীকে ওড়িশার এইমস নিয়ে যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্স। ভোরের বেলায় বেরিয়েছিল রোগী সহ অ্যাম্বুলেন্স। অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে ছিলেন চালকসহ পাঁচজন। রাজ্যের সীমান্ত দাঁতন এলাকায় দৃশ্যমানতার অভাবে অ্যাম্বুলেন্সটি সামনে থাকা একটি কন্টেনারকে প্রচন্ড গতিতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অ্যাম্বুলেন্স চালকের। অ্যাম্বুলেন্স এর ভিতরে থাকার রোগী সহ মোট চারজন গুরুতর আহত হন। তাদের সকলকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে মৃত চালকের নাম ঈশ্বর চন্দ্র সর্দার (৪০)। তার বাড়ি বাঁকুড়া জেলার কোতুলপুর এলাকায়। সোমবার অনেক ভোরেই রোগী নিয়ে উড়িষ্যার এইমস এর উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল অ্যাম্বুলেন্সটি। চন্দ্রকোনা টাউন এর তাতারপুর এলাকা থেকে রোগীকে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওয়ানা দিয়েছিল তারা। লক্ষ্য ছিল ভুবনেশ্বরের এইমস। তারা রাস্তায় বের হতেই ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে কুয়াশার সমস্যা দেখতে পান। ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির গতি যথেষ্ট কমই রেখেছিলেন বলে আহতদের দাবি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভুবনেশ্বর পৌঁছানোর জন্য দাঁতন এলাকায় কিছুটা গতি বাড়িয়েছিলেন অ্যাম্বুলেন্স চালক। তখনই বিপত্তি ঘটে।
জানা গিয়েছে দাঁতন থানার অন্তর্গত বামনপুকুর এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি প্রচন্ড গতিতে একটি কন্টেইনারকে ওভারটেক করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘন কুয়াশার কারণে কন্টেইনারের আলোর পরের প্রান্ত ঠিক করে বুঝতে পারেননি অ্যাম্বুলেন্সের চালক। ফলে ব্যাক লাইট লক্ষ্য করে সোজা গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি ওই কন্টেইনারের পেছনের বাড়তি অংশে সজোরে ধাক্কা মারেন। এতে জাতীয় সড়কের ওপরে গতিতে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটিতে প্রচন্ডভাবে সংঘর্ষ হয়। ঘটনার স্থলে দুমড়ে যায় অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অ্যাম্বুলেন্স চালকের। ভেতরে ছিলেন রোগী সহ বাকিরা। এতে আহত হন অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে থাকা প্রিয়ব্রত রায়, সুব্রত রায়, অবিনাশ রায় ও অজয় মণ্ডল। এদের প্রত্যেকের বাড়ি চন্দ্রকোনা টাউন থানার অন্তর্গত তাতারপুর এলাকায়।
স্থানীয়রা পুলিশের সহযোগিতায় দ্রুত তাদের সেখানে উদ্ধার করে। প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় দাঁতন গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি বিবেচনা করে তাদের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেই সাথে দুর্ঘটনা গ্রস্ত গাড়িকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছে দাঁতন থানার পুলিশ।
উল্লেখ করা যায়, গত তিন সপ্তাহ আগেও একইভাবে মেদিনীপুর শহর থেকে উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে চিকিৎসা করতে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেবারও সেই অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে থাকা দুজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই মর্মান্তিক ঘটনার রেস এখনও কাটেনি। একইভাবে একই জায়গায় যাওয়ার সময় ফের আরো এক অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনা। এবার মৃত্যু হল চালকেরই। তবে এই ঘটনার পেছনে ঘন কুয়াশাকে দায়ী করেছেন অনেকে।
সোমবার গভীর রাত থেকেই এই কুয়াশার দাপট দেখা গিয়েছে। ঘন কুয়াশা জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকায় থাকার কারণে বহু যানবাহন তার গতি কমিয়ে দিয়েছিল। এমনকি অনেক যানবাহনকেই শালবনী মেদিনীপুর সংলগ্ন এলাকায় জাতীয় সড়কে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। তবে তা হলেও মর্মান্তিক দুর্ঘটনা খুব একটা এড়ানো গেল না।
#ambulence accident,#Road accident, #Highway accident, #Orissya,