Dengue : শীতের শুরুতে মেদিনীপুরে ফের মাথা চাড়া ডেঙ্গির, ঝাঁপালেন কর্মীরা

মেদিনীপুর: শীতের শুরুতে ফের মেদিনীপুর পৌর এলাকাতে মাথাচাড়া দিল ডেঙ্গু। মেদিনীপুরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ২ নম্বর ওয়ার্ডে ফের ডেঙ্গুতে সাতজন আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এজন্য শুক্রবার থেকেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে পৌরসভা। শনিবার সকাল থেকেই ডেঙ্গু নাশক কেমিক্যাল স্প্রে করতে দেখা গিয়েছে, পৌরসভার কর্মীদের ওই সমস্ত ওয়ার গুলিতে। পৌরসভার দাবি- শনিবার পর্যন্ত মেদিনীপুর পৌর এলাকাতে চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হল ৯০ জন। তবে কত বছর এই সময় পর্যন্ত ছিল সেটা ৫৬৮ জন।



মেদিনীপুর পৌর এলাকার ১৯  নম্বর ওয়ার্ডে, পাটনা বাজার এলাকাতে পাশাপাশি থাকা কয়েকটি পরিবারে মোট ছয় জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। গত এক সপ্তাহে সেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সূত্র খুঁজতে গিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলার বিশ্বনাথ পাণ্ডব জানিয়েছিলেন-” ওই এলাকায় একটি কমন পুকুর রয়েছে। যা অব্যবহারিত এবং পরিত্যক্ত আবর্জনাতে পরিপূর্ণ। আমরা বারবার সেটিকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য পুকুর মালিক কে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোন পদক্ষেপ তিনি নেননি। আমরা মনে করছি সেখান থেকেই এই ডেঙ্গুর বাড় বাড়ন্ত। তাই সেখানে পৌরসভার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গুর সংক্রমণ যাতে এলাকায় না ছাড়ায় তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়ে গেছে।”



মেদিনীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে ওই এলাকাতে প্রতিদিন দুবেলা কেমিক্যাল স্প্রে করা সহ ডেঙ্গু অভিযানে থাকা পৌরকর্মীদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। বাঙ্গুর লার্ভা সম্ভাব্য আর কোথায় থাকতে পারে সেগুলোও দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ওয়ার্ডগুলিতে ও নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার কর্মীরা।

পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান জানিয়েছেন-“যে সময় এই ডেঙ্গুর সংক্রমণ সবথেকে বেশি হয় বর্ষার সময়টাতে, সেই সময়ের আগে থেকেই আমরা বহু পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। প্রায় ৪০০ কর্মীকে কাজে লাগিয়েছিলাম ডেঙ্গুনিধনে। ফল মিলেছে। গত বছর এই সময় পর্যন্ত মেদিনীপুর পৌর এলাকাতে যেখানে ৫৬৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত ছিল এ বছর সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৯০ জন। তাও হতো না, কিছু লোকের উদাসীনতার কারণে এই সমস্যা হয়েছে। সেগুলো আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে দিয়েছি অনেক আগে থেকেই। তবে সকলেই চিকিৎসার পর কমবেশি সুস্থ রয়েছেন।”



স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে আধিকারিকরা জানিয়েছেন-জেলা জুড়ে ডেঙ্গুর পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মৃত্যুর হার একেবারেই কম। যারা আক্রান্ত হয়েছিলেন বেশিরভাগই চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ। অনেকেই রয়েছেন যারা বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে মেদিনীপুরে প্রবেশ করে অসুস্থ হয়েছিলেন। তাদের জন্য যে বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন সেগুলিও নেওয়া হয়েছে। শীত পড়তে শুরু করেছে, এই শীত বাড়ার সাথে সাথে এই ডেঙ্গুর সংক্রমণ আরো কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আধিকারিকরা। তাহলেও মানুষকে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page