Dengue: ডেঙ্গু আক্রান্তে মৃত্যু মেদিনীপুর শহরে, সতর্ক স্বাস্থ্য দফতর

মেদিনীপুর : পশ্চিম মেদিনীপুরে বাড়ছিল ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন জেলা শাসক খুরশীদ আলি কাদেরি। পরিস্থিতি নিয়ে তৎপরতা বৃদ্ধি হলেও শনিবার ডেঙ্গুতে জেলাতে মৃত্যু হল এক মহিলার। মেদিনীপুর শহরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটতেই শহর জুড়ে পদক্ষেপে নামলেন প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ডেঙ্গি নিধনে থাকা কর্মীদের নিয়ে বৈঠক মেদিনীপুর পৌরসভার। 


স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরে মৃত ওই বৃদ্ধার নাম উষা রাণী (৭৩)। মেদিনীপুর শহরের চিড়িমারসাই এলাকার বাসিন্দা। তিনি কয়েকদিন আগে খড়্গপুর গ্রামীণে নিজের মেয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে ফিরেছিলেন। তারপর জ্বরের কারণে পরীক্ষা করে জানা গিয়েছিল ডেঙ্গুতে আক্রান্ত তিনি। তাঁকে মেদিনীপুর শহরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মারা যান শনিবার ভোরে। এরপরই স্বাস্থ্য কর্তাদের জানান ওই নার্সিংহোমের কর্তারা।

দুপুর থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন, “জেলাতে শুক্রবার সন্ধা পর্যন্ত ৩৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে জেলায়। তৎপরতা আগেও ছিল, ফের নতুন করে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। জেলা শাসক খুরশীদ আলি কাদেরি বলেন, “গত বছর এই সময় ডেঙ্গু সংক্রমণের হার ছিল ১.২ শতাংশ, এবছর সেই সময়ে সংক্রমণের হার ২ শতাংশ। ফলে সংখ্যাটা বাড়তে পারে সেই আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷ তাই সকলকে সচেতন করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি লোকজনকে নিজে থেকে সতর্ক হতে হবে।” মেদিনীপুর শহরে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই নড়ে বসলো মেদিনীপুর পৌরসভা। এই কাজে থাকা কর্মীদের নিয়ে দ্রুত বৈঠকে বসেন পৌরসভার আধিকারিকরা। ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়ে যায় মৃতার এলাকায়। পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “সকলকে সচেতন হতে অনুরোধ করা হয়েছে। আমরাও বিভিন্ন ভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page