Home Ghatal Live Cyclone: ‘ডানা’র ঝাপটায় ফের প্লাবন চন্দ্রকোনা ও আনন্দপুরে, জলমগ্ন রাজ্য সড়ক।

Cyclone: ‘ডানা’র ঝাপটায় ফের প্লাবন চন্দ্রকোনা ও আনন্দপুরে, জলমগ্ন রাজ্য সড়ক।

78
0

চন্দ্রকোনা: ডানা ঘূর্ণিঝড়ের যে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করেছিল প্রশাসন সেই প্রভাব না দেখা গেলেও ঘূর্ণিঝড়ের যে বৃষ্টি তাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলো পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ও আনন্দপুর থানার বিস্তীর্ণ এলাকাতে। ঝড়ে যতখানি ক্ষতি হয়েছে, তার অনেক গুণ বেশি ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কৃষকদের মধ্যে এই প্লাবিত জলে। সদ্য বন্যা থেকে বেরিয়ে আসা কৃষকেরা ফসল পুরোপুরি মেরামত করার আগেই ফের জলের তলাতে। কৃষকদের দাবি-” আর বোধহয় উদ্ধার হওয়ার কোন আশা নেই।”



ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে দুদিন ধরে রাত ভর লাগাতার বৃষ্টি।এই বৃষ্টির প্রভাবেই এলাকা যেন সমুদ্র। যার ভুক্তভোগী আনন্দপুর ও চন্দ্রকোনা এলাকার মানুষজন। চন্দ্রকোনা থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কে উঠেছে জল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার, আনন্দপুর থানার কুড়ুরিয়া, আসকান্দা, বসন্তপুর পাঁচখুরি। চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুর, মহোবনি বদরা এলাকা প্লাবিত ।


এছাড়াও রয়েছে পাশাপাশি বিস্তীর্ণ এলাকা। চন্দ্রকোনা মেদিনীপুর গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য সড়কের কড়ুরিয়া এলাকায় জল ওঠায় চরম যাতায়াতের সমস্যায় পড়েছেন পথ চলতি মানুষজন। বিঘের পর বিষে কৃষি জমি জলের তলায়।




কৃষকদের দাবি, সম্প্রতি বন্যা থেকে উঠে এসেছিল ঘাটাল চন্দ্রকোনা কেশপুর সহ বিভিন্ন এলাকা। ফলে সেখানে উঁচু জায়গা থেকে জল নামলেও খাল বিলে জল অব্যাহত। এই দুদিনের বর্ষণে সেই জলের সঙ্গে যোগ হয়েছে বর্ষণের জল। সহজেই প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই আবহাওয়ার উন্নতি হলেও এই জল যে দ্রুত নেমে যাবে তার কোন আশা দেখা যাচ্ছে না।

আনন্দপুরের গ্রামের জল ঢুকলো শনিবার সকাল থেকে

তবে চাষীদের ক্ষেত্রে স্বস্তির খবর এটুকুই-এই প্রতিকূল আবহাওয়া ও বন্যা পরিস্থিতি বুঝে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বাংলার শস্য বীমার ফর্ম পূরণের সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই সেই ঘোষণা করা হয়েছে নবান্ন থেকে।

Previous articleNabanna: কৃষকদের জন্য সুখবর! সম্ভাব্য ক্ষতির কথা ভেবে শস্য বীমার সময়সীমা ঘোষণা হলো নতুন করে
Next articleFlood: ১৯৯৮ এর পর সব থেকে বড় বন্যা এবার কেশপুরে, বাঁধ ভেঙে গেল চার জায়গাতে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here