Cyclone DANA : ঘূর্ণিঝড় “ডানা” আসছে, জেলাতে ২৫ হাজার মানুষকে সরানো হচ্ছে জেলাতে !

Cyclone DANA : ঘূর্ণিঝড় “ডানা” আসছে, জেলাতে ২৫ হাজার মানুষকে সরানো হচ্ছে জেলাতে !

মেদিনীপুর: ঘূর্ণিঝড় ডানার প্রভাবে চরম ক্ষতির আশঙ্কা। যে কারণে উড়িষ্যার পর পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুরের সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরেও ব্যাপক প্রস্তুতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্ভাব্য ছটি স্পর্শকাতর এলাকা থেকে ২৫হাজার মানুষকে সরানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন মঙ্গলবার দুপুর থেকেই। বুধবার দুপুরের মধ্যে ২৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে ফেলার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।



ঘূর্ণিঝড় ডানা প্রচন্ড বেগে উড়িষ্যা উপকূলের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রভাব পড়বে এবং চরমভাবে ক্ষতি হতে পারে সেই আশঙ্কা করে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক তৎপরতা শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাঁতন এলাকাতে পৌঁছে গিয়ে জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বৈঠক করে সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন ওই এলাকার জন্য। উড়িষ্যা উপকূল সংলগ্ন মোহনপুর, দাঁতন ১ ব্লক, দাঁতন ২ ব্লক, সহ কেশিয়াড়ি নারায়ণগড় ও মেদিনীপুর এলাকাতে এই ঝড়ের প্রভাব সব থেকে বেশি পড়বে বলে প্রশাসন জানতে পেরেছে।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার মেদিনীপুর শহরে সাংবাদিক সম্মেলন করে জেলার বাসিন্দাদের সতর্ক করে জানিয়েছেন বিস্তারিত। জেলাশাসক জানিয়েছেন-” জেলার ছটি এলাকার সবথেকে বেশি স্পর্শকাতর ধরে সেখান থেকে মানুষকে সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরের ছুটি বাতিল করে আধিকারিকদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিভিল ডিফেন্স টিম তৈরি করে কন্ট্রোল রুম খুলে দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ আলাদা করে কন্ট্রোল রুম খুলেছে। পর্যাপ্ত রিলিফ সামগ্রী দিয়ে ১০০০ এর বেশি ক্যাম্প প্রস্তুত করা হয়েছে। বুধবার বিকেল চারটের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলতে সক্ষম হব আমরা। ২৩ অক্টোবর হালকা বৃষ্টি শুরু হলেও, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবরে প্রবল ঝড় বৃষ্টি হবে। তাই জেলাবাসিকে অনুরোধ করব এই দু তিন দিন বাড়ি থেকে খুব একটা যাতে কেউ না বের হন।”



পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন-“পুলিশের জেলা স্তরের ছাড়াও মহকুমা স্তরের কন্ট্রোল রুম রয়েছে। আমি নিজে ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও বিভিন্ন থানার আই সিওসি সকলেই প্রস্তুত। বিভিন্ন ভ্যান আলো ও  ত্রান সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত থাকছে। NDRF এর টিম আসছে, থাকছে SDRF চারটি টিম। প্রতিটি থানাতেই উদ্ধারকারী টিম থাকছে। প্রচুর রুরাল এলাকায় কিচেন তৈরি করা হয়েছে। মানুষ উদ্ধার কেন্দ্রে এসে থেকে সেখানে খাওয়া-দাওয়া করতে পারবে।”

YouTube player

অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরেও এই ঝড়ের প্রভাব প্রচন্ড থাকবে এমন ধরে নিয়েই-মাইকিং শুরু করা হয়েছে শহরজুড়ে। শহরে বিভিন্ন স্থানে পুজোর হোডিং তোরন যা রয়েছে মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে খুলে ফেলতে বলে দেওয়া হয়েছে সকলকে। ত্রাণ শিবির তৈরি করে কংসাবতী নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজনকে সরে চলে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ ছিহ্ন হলে জেনারেটর ও বিভিন্ন পানীয় সরবরাহ কেন্দ্র গুলির ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌর প্রধান সৌমেন খান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page