Crops damage:বাজারে লঙ্কার দাম নেই, বিঘের পর বিঘে লঙ্কাচাষের জমিতে ট্রাক্টর চালিয়ে বিকল্পের পথে ঘাটালের কৃষকরা
ঘাটাল: বাজারে অন্যান্য ফসলের দাম মোটামুটি থাকলেও লঙ্কার দাম একেবারে তলানিতে। তাই পূর্ণরূপে ফসল তোলার আগেই বিঘের পর বিঘে লঙ্কা জমি মাড়িয়ে নষ্ট করল ঘাটালের কৃষকেরা। কৃষকদের দাবি -” লঙ্কার পূর্ণরূপে ফসল আরো সময় থাকলেও ইতিমধ্যেই লোকসান শুরু হয়েছে ,তাই দ্রুত মাঠ থেকে সরিয়ে অন্য ফসলের ভাবনা শুরু করতে হবে।”
ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় । জানাযায়, ঘাটাল ব্লকের খাসবাড়,বালিডাঙ্গা,মনসুকা সহ, দাসপুরের বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা এই সময় লঙ্কার চাষে করেন, এক কথায় বিঘের পর বিঘে লঙ্কা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। অন্যান্য বছরের মতো এই বৎসরও লঙ্কা চাষ করেছিলেন। ফসল ভালো হলেও লঙ্কার দাম না থাকায় চরম বিপাকে কৃষকেরা। তাই মাঠের ফসল মাঠে ট্রাকটার দিয়ে নষ্ট করছে কৃষকেরা । সময়ের আগেই লঙ্কার জমি নষ্ট করে বিকল্প চাষের দিকে এগোতে শুরু করেছেন তারা।
কৃষকদের দাবি -এক বিঘে লঙ্কা চাষ করতে, ওষুধ থেকে মজুরি, এমনকি জমির মাটি তৈরি করতে বিঘে পিছু খরচ ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা । সেই চাষ করে ফসল হলেও বর্তমানে লঙ্কার দাম বাজারে ১০ থেকে ১২ টাকা কিলো। ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত চার দফায় লঙ্কা তোলা হয় প্রতিটি জমি থেকে। প্রথম দফায় লঙ্কা তোলার পরই দেখা গিয়েছে লোকসান করে লঙ্কা বিক্রি করতে হচ্ছে।লঙ্কার দাম না থাকায় কৃষকরা বুঝতে পারেন বাকি তিন দফাতে লঙ্কা তুললে আরও লোকশান হবে। অগত্যা আরো লোকসান এড়াতে সেই জমিতে ফসল চাষ করে ও যত্ন না নিয়ে মাঠের ফসল মাঠেই ট্র্যাক্টর দিয়ে নষ্ট করে দিচ্ছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় এক কৃষক দেবাশীষ মিশ্র বলেন-” কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যে কৃষক বন্ধুর টাকা দেয় সেই টাকা না দিয়ে আমাদের ফসলের ন্যায্য দাম তৈরি করার ব্যবস্থা করুক। তাতে আমাদের লোকসান কম হবে, উপকৃত হব। এখন ৩ কেজি লঙ্কা বিক্রি করলে ১ কেজি সার পাই, কিভাবে চলবে! “
কৃষক রাজীব মিশ্র বলেন -” পুরো ফসলটাতে চরম লোকসান। সরকার সামান্য অর্থ সাহায্য না করে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করলে কৃষকরা বেঁচে যেত। এখন অতিরিক্ত লোকসান এড়াতে এই লঙ্কা চাষ বন্ধ করে অন্য বিকল্প চাষের জন্য আমাদের জমি তৈরি করতে হচ্ছে।”