নারায়ণগড়: গত রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের মকরামপুরে তৃণমূলের কার্যালয় বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় ওই মহিলাকে ভর্তি করা হয়েছিল মেদিনীপুর হাসপাতালে। সেদিন থেকেই তীব্র প্রতিবাদ শুরু করেছিল বিজেপি। রবিবার পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে অভিযোগ নিতে চাপ দেয় বিজেপি। সোমবার সেই ইস্যুতে বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপি কর্মীরা জেলা শাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায়, প্রতিবাদ করে। এরপর সেই বিজেপি মহিলা কর্মীকে ধর্ষণের প্রতিবাদ করে নারায়ণগড় থানা ঘেরাও করলো সিপিআইএম। দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় তারা। বিজেপির হয়ে সিপিআইএম মাঠা নামতেই পাল্টা জবাবী মিছিল শুরু করল তৃণমূল।
সিপিআইএম এর পক্ষ থেকে নারায়ণগড় থানা ঘেরাও করে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ করা হয়। তাদের দাবি ওই মহিলা বিজেপি কর্মীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। অবিলম্বে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করতে হবে। অন্যথায় আন্দোলন বৃহত্তর ভাবে করা হবে।-এই দাবিকে সামনে রেখে নারায়ণগড় থানার সামনে দীর্ঘ কর্ম দেখায় সিপিআইএমের মহিলা ও পুরুষ কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পর্যন্ত হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন সিপিআইএমের নেত্রী রুমা পাল ও সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস সিনহা নিজেও।
অন্যদিকে এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির হয়ে সিপিএম মাঠে নেমেছে দেখে পাল্টা প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে নারায়ণগড় এলাকায় তৃণমূলও। তৃণমূলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট ও যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তীর নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয় নারায়ন কড়ে। ধিক্কার জানানো হয় সিপিআইএম ও বিজেপির এই যৌথ কর্মসূচির প্রতিবাদ করে।
এদিন তৃণমূলের এই মিছিলে নেতৃত্বে থাকা স্থানীয় বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা সূর্যকান্ত অট্ট বলেন-” যে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির ওই মহিলা কর্মী এর আগে বহুবার এই একই অভিযোগ করেছে। রাজনৈতিক স্বার্থে ওই মহিলাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই মহিলা বহুবার দফায় দফায় এরকম অভিযোগ আগেও তুলেছে যার প্রমাণ হয়নি। এবারেও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে ধর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে ভিত্তিহীন অভিযোগ। একটা নোংরামি শুরু করেছে বিজেপি ও সিপিআইএম। এরই প্রতিবাদে আমাদের মিছিল।”