খড়গপুর: শুক্রবার হোলির দিনে খড়গপুর শহরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। সকালেই রোজকার মতো হাঁটতে বেরিয়ে খড়্গপুরের বগদা এলাকায় চায়ের আসরে কর্মীদের সঙ্গে মেতে ছিলেন। বেশ কিছুক্ষণ হলিও খেলেছেন কর্মীদের সঙ্গে। তারপরে সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।
“রাজনীতিতে অনেক রকম মন্তব্য আছে বিভিন্ন কারণে। আমার মনে হয় সাধারণ মানুষের সব কিছু সতর্কভাবে দেখা উচিত। অনেকে অনেক কিছু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীও অনেক উল্টোপাল্টা কথা বলেন। কোনটাতে গুরুত্ব দেওয়া উচিত না উচিত সাধারণ মানুষের ভাবা উচিত। বিনা কারণে এত টেনশন করার দরকার নেই।”
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি কোন কিছু বললেই বহু সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। বিরোধী দলনেতা এমন একটা মন্তব্য করেছে তারপরেও বিজেপি চুপ! -এই মন্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন-” আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এসব শিখেছি। উনার রাজনীতি ওনার মন্তব্য , তারই প্রতিফলন এগুলো। উনি মুসলিম তোষণ করে সেখান থেকে লাভ পেয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। অন্যরা যদি সেখানে তাকে দেখে প্রতিক্রিয়া দেয় বা তাকে অনুকরণ করে , তাতে এত চিন্তা করছেন কেন। ওনার দলের লোকেদের বলুন যেন টেনশন না বাড়ান।”
সম্প্রতি বিধায়ক হুমায়ুন কোবীর বলেছেন , আমাদের দল নিয়ে কোন মন্তব্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন-“উনি আর দল করছেন কেন তাহলে, এসব ছেড়ে মৌলবী হয়ে যান তাহলে। ববি হাকিমের মত ধর্ম প্রচার করুন। রাজনীতি কেন করতে এসেছেন তাহলে, রাজনীতি করতে এলে সংবিধান মেনে করতে হবে। বাকি তার বাইরে কিছু করলে সরকার আছে কোর্ট আছে তারা দেখবে। এবং উনি যে ঠিক বলেননি-সেটাতে তার পার্টি তাকে শোকজ করেছে। তাকে সাসপেন্ড করা উচিত বহিষ্কারও করা উচিত।”
যাদবপুর প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন-“যাদবপুর একটা ঐতিহ্যশালী পড়ার স্থান। সেখানে রাজনীতি করা বা দাঙ্গা করার জায়গা নয়। অফিসার মন্ত্রী সাংবাদিক সকালেই হেনস্থা হবে সেখানে, এটা আমরা আশা করি না। কমপক্ষে জে এন ইউ দেখে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিখুক। দম থাকলে সরকার শিক্ষাঙ্গনকে শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করুক।”
শান্তিনিকেতন প্রসঙ্গে বলেন-” এই ধরনের পাগলামো যাদের মাথায় আসে তারা রাজনীতি ছেড়ে দিন। ভারতবর্ষে দীর্ঘদিন ধরে এই দল বা হোলি একটা বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেটাতে বিভিন্ন কারণে যারা ডিস্টার্ব করতে আসছে সমাজ তাকে মেনে নেবে না। যাই হোক আমি কালকে শুনলাম ব্যানার নাকি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এটা সরিয়ে নিন না হলে আপনাদেরকে রাজনীতি থেকেই সরিয়ে দেওয়া হবে।”