মেদিনীপুর : সম্প্রতি হয়ে যাওয়া লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভার নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক হিরণ চ্যাটার্জী ৷ কিন্তু বিপুল পরিমান ব্যাবধানে টিএমসি প্রার্থী দেব এর কাছে হেরেছিলেন ৷ কিন্তু ভোটের দিন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্কৃয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ৷ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপিকে হারিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন ৷ এবার মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের সময় বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে মেদিনীপুর শহরে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় সরকারকেই কাঠগড়ায় তুললেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চ্যাটার্জী ৷ সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে তিনি বলেন- “লোকসভায় তো কেন্দ্রীয় সরকার দাঁড় করিয়ে করিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকার দুইয়ে মিলে লোকসভাতে হারিয়েছিল বিজেপিকে। সেই একই ঘটনা যদি আবার এখানে হয় তাহলে কিছু করার নেই। ” যা নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনা তুঙ্গে ৷
মেদিনীপুর শহরে বিজেপি প্রার্থী শুভজিত রায়ের সমর্থনে প্রচারে হাজির হয়েছিলেন খড়্গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা কাউন্সিলার হিরণ চ্যাটার্জী ৷ হিরণ দুপুর থেকে মেদিনীপুর শহরের অলিগলিতে ঘুরে বাসিন্দাদের হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছেন ৷ সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল লোকসভা থেকে বিপুল ভোটে হেরে যাওয় এই প্রার্থী সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে সংবাদ মাধ্যম জিজ্ঞাসা করতেই হিরণের গলা থেকে বেরিয়ে এল ক্ষোভের আগুন৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনতো ছিলোই, সাথে কেন্দ্রীয় সরকারকেও পক্ষপাতমুলক বলে দাবি করে বসলেন তার হারার জন্য ৷
এদিন তিনি বলেন- “ভারতীয় জনতা পার্টিকে জেতাতে হবে। মানুষ আমাদের সঙ্গে আছেন। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার যদি ঠিকঠাক করে ভোটটা করিয়ে নেন , তাহলে এই ভোটে জিততে পারবো। তা না হলে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের উপর ভরসা করলে এই ভোট জেতা যাবে না। লোকসভায় তো কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিক করে ভোট করায় নি। লোকসভায়তো কেন্দ্রীয় সরকার দাঁড় করিয়ে করিয়ে তৃণমূলকে জিতিয়েছে। সেন্ট্রাল ফোর্স, সিআরপিএফ, আপনারা সবাই দেখেছেন , সেন্ট্রাল ফোর্স দাঁড়িয়ে থাকতো, আর ওরা আমাদের বুথ দখল করে কি করছিল। আমরা হাইকোর্টে পর্যন্ত গেছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন বলেছে ফরেনশিক করার জন্য আমরা কোন ক্যামেরা পাঠাতে পারবো না। এটাতে পরিষ্কার দেখা যায় , নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকার দুইয়ে মিলে লোকসভাতে হারিয়েছিল বিজেপিকে। সেই একই ঘটনা যদি আবার এখানে হয় তাহলে কিছু করার নেই। মানুষ অসহায়। আমরা বিজেপির কার্যকর্তারা অসহায়। মানুষ ভোট দিতে চাইছে ভোট দিতে পারছে না”৷
অনেকেই মনে করছেন দল বিরোধী কথা বার্তা বলছেন হিরণ চ্যাটার্জী কোনো অজ্ঞাত কারনে ৷ অনেকেই মনে করেছেন বিভিন্ন কারনে হিরণ হয়তো দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ৷ তবে এই প্রসঙ্গে বিজেপির কোনো নেতা অবশ্য কোনো মন্তব্য করতে চায়নি ৷