CBI : RGkar এর সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার, মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকেও বহিষ্কার এক অনুগামী
Medinipur :
জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভের কারণে অবশেষে মেদিনীপুর মেডিকেল (Medinipur Medical) থেকে বের করে দেওয়া
হল মোস্তাফিজুর রহমানকে (Mostafijur Rahaman)। এই কলেজেরই ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) একজন নেতা ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জুনিয়ার ডাক্তারদের (junior doctor) হুমকি দেওয়ার ও রেগিং (Student ragging) এর
অভিযোগ তুলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারদের একটা অংশ। কয়েকদিন ধরে সেই ইস্যুতে
মোস্তাফিজুরকে বের করার দাবিতে বিক্ষোভ চলছিল মেদিনীপুর মেডিকেলে। অবশেষে সোমবার
মেদিনীপুর (Midnapur) মেডিকেল কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে পাকাপাকিভাবে মোস্তাফিজুর
রহমানকে মেদিনীপুর মেডিকেল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন কলেজের
প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী। এতে নৈতিক জয় দেখছে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা (Junior doctor’s movement)। ফলে সোমবার সন্ধায় একদিকে যখন আরজিকর এর প্রাক্তন প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করা হল,
তখনই অপরদিকে তাঁরই এক অনুগামীকে কলেজ থেকে টার্মিনেট করলো মেডিক্যাল কলেজ কর্তারা
৷
মেদিনীপুর
মেডিকেলের পড়ুয়া ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান।, বেশ কয়েকটি বিষয়ে ফেল করে এই কলেজেই থাকছিলেন। মেদিনীপুর মেডিকেলে তৃণমূল
ছাত্র পরিষদের নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলেও দাবি। এই মোস্তাফিজুর রহমান
আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের এক সময়কার ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সম্প্রতি এই
মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মেদিনীপুর মেডিকেলের একদল জুনিয়র ডাক্তার অভিযোগ
করেন-” মোস্তাফিজুর জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর নানান অত্যাচার করেছে বিভিন্ন
সময়। র্যাগিং থেকে হুমকি সবেতেই তার ভূমিকা রয়েছে। কলেজ থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ
এই মোস্তাফিজুরকে অবিলম্বে তাই বের করতে হবে। ”
গত
বৃহস্পতিবার এই দাবি করে জুনিয়র ডাক্তারদের একটা অংশ মেদিনীপুর মেডিকেলের
প্রিন্সিপাল ও অন্যান্য অধ্যাপকদের আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। বিক্ষোভের চাপে
রাতেই নোটিশ জারি করে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল-” মোস্তাফিজুরকে
আপাতত মেডিকেল কলেজে প্রবেশ করতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।” পরদিনই
মোস্তাফিজুরের অনুগামী অন্যান্য অপর একদল ছাত্রছাত্রী পাল্টা প্রিন্সিপাল ও
অন্যান্য অধ্যাপকদের সামনে বিক্ষোভ দেখান। তারা দাবি করেছিলেন মোস্তাফিজুর এখনো
হাউস স্টাফ হিসাবে কাজ করছে। কলেজের মেয়াদ উত্তীর্ণ ছাত্র সে নয়। এরপরে
শুক্রবারই ফের পুরনো নোটিশ বাতিল করে দেয় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এতে
পাল্টা আন্দোলন শুরু করে আরেকদল জুনিয়র ডাক্তার। রবিবার সোমবার দুদিন ধরেই
মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ও অধ্যাপকদের ঘিরে বোর্ডরুমে বিক্ষোভ দেখায়।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে পুনরায় সোমবার বিকেলে বৈঠকে বসেছিলেন মেদিনীপুর মেডিকেল
কলেজ কাউন্সিল। সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে রাতে কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী
জানান-” বোর্ডের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানকে
টারমিনেট করা হলো। তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রবেশের ক্ষেত্রে
নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারই এই নির্দেশিকা জারি হয়ে যাবে।”
এটা
আন্দোলনের (junior doctors movement) নৈতিক জয় দেখছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা (Midnapur Hospital)।
সোমবার বেলা 11 টা থেকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে আউটডোর পরিষেবাও চালু হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের সহযোগিতায়। যার নাম
দেওয়া হয়েছে “অভয়া ক্লিনিক”(avaya Clinic)।
rgkar hospital, BJP agitation, Midnapur hospital, Medinipur, midnapur, midnapur town,Paschim Medinipur, Medinipur medical college, Sandip Ghosh, cbi Sandip Ghosh,CBI on RGkar, CBI investigation,