Category: Blog

Your blog category

  • Medinipurlive : সংকুচিত মেদিনীপুর শহর থেকে সরানো হচ্ছে বড়ো অফিস, শুরু হল কাজ

     

    Medinipur কানাঘুশো অনেকদিন ধরেই চলছিল, এবার সত্যিই হলো। হয়তো এক এক করে সরকারি অফিস এবার সরতে
    চলেছে মেদিনীপুর শহরের বাইরে। প্রথমটাতেই সরছে মেদিনীপুরের পরিবহন দপ্তরের অফিস
    তথা আরটিও অফিস। যাচ্ছে মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা খাস জঙ্গল এলাকার ফাঁকা মাঠে।
    প্রস্তাবিত সেই জায়গাতে শনিবার বৃষ্টিতে ভিজেই প্রাচীর এলাকাতে গাছ লাগিয়ে প্রথম
    পদার্পণ করলেন জেলার পরিবহন আধিকারিক তথা আরটিও সন্দীপ সাহা।

     


    মেদিনীপুর
    শহরের কালেক্টরেট চত্বরে থাকা পরিবহন দপ্তরের অফিস তথা আরটিও অফিসটি পুরনো ইংরেজ
    আমলের তৈরি ভবনেই চলছিল। সমস্যা সেখানে খুব একটা হচ্ছিল না
    , কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছিল মেদিনীপুর শহরের প্রবেশ ও বেরিয়ে
    যাওয়ার রাস্তা ক্রমে সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। অথচ পরিবহন দপ্তরের অফিসে কাগুজে
    প্রয়োজনে
    , বা বিভিন্ন বড় বাহন গুলিকে অনুমতির
    প্রয়োজনে আসতে হয়। ভারী লরি থেকে বড় বাহন গুলিকে পরিবহন দপ্তরের অফিসে আসতে
    গেলে একাধিক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ এমনিতেই মেদিনীপুর শহরের রাস্তা
    সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল গত ১ দশকে। তার উপরে দুর্ঘটনা কমাতে বেশ কিছু রাস্তায় বাহন
    নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। বড় গাড়িগুলিকে ঘুর পথে চালানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যে
    সমস্ত বড় গাড়িগুলি পরিবহন দপ্তরে ঢোকার প্রয়োজন ছিল সেগুলিকে শহরের বাইরে দাঁড়
    করিয়ে পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কাগজের
    কাজ পত্র গুলো করতেন। এতে দীর্ঘসূত্রিকা ও জটিলতা একটা দেখা দিচ্ছিল দফতর ও
    বিভিন্ন বাহন গুলির ক্ষেত্রে। তাই হয়তো প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া
    হয়েছে পরিবহন দপ্তরের অফিসকে শহরের বাইরে একটি খোলামেলা জায়গায় তৈরি করার জন্য।
    সেই লক্ষ্যে মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে খাস জঙ্গল এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর
    জমির উপরে সেই দপ্তরের অফিস তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সেই জমিতেই
    যেখানে প্রাচীর হবে সেই স্থানগুলিতে বৃক্ষরোপণ সারলেন জেলার রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট
    অফিসার তথা পরিবহন আধিকারিক সন্দীপ সাহা। শনিবার দুপুরে বৃষ্টিবহুল পরিস্থিতিতে
    বৃষ্টিতে ভিজেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজেদের
    প্রস্তাবিত অফিস এর মাঠে পদার্পণ করে গাছ লাগিয়ে কার্যত কাজ শুরু করে দিলেন বলা
    যায়।



     

    পরিবহন
    দপ্তরের আধিকারিক সন্দীপ সাহা জানিয়েছেন-” অফিসটি শহরের বাইরে চলে আসবে। খুব
    শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই যে সমস্ত স্থানগুলিতে
    অফিস চৌহদ্দির বাইরে প্রাচীর হবে সেখানে গাছ লাগানো হলো।”


    মেদিনীপুর
    শহরের ক্রম সংকুচিত পরিস্থিতি অর্থাৎ জনবহুল অবস্থা দেখে এমনিতেই বিভিন্ন জায়গায়
    আলোচনা হচ্ছিল সম্ভবত প্রধান অফিস গুলি শহরের বাইরে সরে যেতে পারে। সরানো হতে পারে
    সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড টিকেও। না হলে সাধারণ মানুষের চলাফেরা ও বাস লরির মত বড়
    গাড়ি গুলিকে শহরে প্রবেশ করানো র ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই এফসিআই
    গোডাউনের গাড়িগুলি সহ বেশ কিছু গাড়িকে ঘুর পথে চালানো হচ্ছিল। শহরের প্রবেশ পথ
    কেরানী চটি থেকে কালেক্টরেট পর্যন্ত সুপ্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় এক
    মাসের বেশি সময় ধরে। তারপরেও অফিস স্থানান্তরের পদক্ষেপ শুরু হল প্রশাসনের পক্ষ
    থেকে।


    Medinipur, Midnapur, Midnapore town, Paschim Medinipur, Medinipur Sohor,RTO office, Medinipurlive, Medinipur market, Medinipur tour, Khas jangal, Kharagpur, Jangalmahal,


  • E D Raid : দুর্নীতির তদন্তে চাল ব্যাবসায়ীর বাড়িতে সারাদিন অভিযান E D-র

     

    বেলদা:
    দুর্নীতির তদন্তে নেমে এই প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুরে অতর্কিত অভিযান এনফোর্সমেন্ট
    ডিরেক্টরেটর (
    E D)জেলার বেলদা থানার অন্তর্গত ধনেশ্বরপুরে এক চাল ব্যবসায়ীর বাড়িতে হাজির
    হয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সকাল ১১ টার পর হাজির হয়ে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত
    নানান জিজ্ঞাসাবাদ চালালেন একটি পরিবারের সদস্যদের।  রেশন দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার সকাল থেকেই
    একাধিক জায়গায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এর আধিকারিকরা অভিযান শুরু করেছিল রাজ্য
    জুড়ে। কলকাতা মেদিনীপুর ছাড়াও কল্যাণী
    , জয়নগর এর মত মোট সাতটি জায়গায় দিনভর অভিযান চালিয়েছে তারা।

     

     

    বেলা ১১:৩০
    টার পর শুক্রবার হাজির হয়েছিলেন জন পাঁচেক ই ডি অফিসারের সঙ্গে অন্যান্য আধিকারিক
    ও নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে প্রায় ১৫ জন। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিবৃত হয়ে বিশাল এই
    দল হাজির হয়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের এক প্রান্তে থাকা বেলদা থানার অন্তর্গত
    ধনেশ্বর পুর গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা স্বদেশ কান্তি বেরা-র বাড়িতে ঢুকে দিনভর
    জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব সারলেন তারা। তবে কিসের জন্য হাজির হয়েছিলেন
    , কেন এই আগমন তা তারা অন্যরকম প্রতিক্রিয়া জানাননি। জানা
    গিয়েছে খাদ্য দপ্তরের কোন দুর্নীতির খোঁজখবর নিতে হাজির হয়েছিলেন তারা।।

     

     

    স্থানীয়
    বাসিন্দা তথা স্বদেশ কান্তি বেরার মামা সীতানাথ প্রধান বলেন-” স্বদেশ আমার
    ভাগনা হয়। আগে ও হাস্কিং মেশিনের চাল তৈরি করে বিভিন্ন মিলে বিক্রি করতো। এখন তা
    করে না। তাহলেও এই তদন্তকারীরা কেন এলো বুঝতে পারছি না।” স্থানীয় সূত্রে
    জানা গিয়েছে-স্বদেশ কান্তি বেরা বর্তমানে চাল তৈরি করে বিক্রির ব্যবসা না করলেও
    , চাল ব্যবসায়ী মিডিলম্যান এর কাজ করতো। বিভিন্ন মিলে চাল
    বিক্রি করতো এক জায়গা থেকে কিনে অন্যত্র। সেক্ষেত্রে সেই ব্যবসার কোন সূত্র ধরেই
    খাদ্য দপ্তরের দুর্নীতির তদন্তে হাজির হয়েছিলেন এই তদন্তকারী আধিকারিকরা। যা
    দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন স্বদেশ বাবুকে। সারাদিনের তদন্ত প্রক্রিয়ায়
    জিজ্ঞাসাবাদ সেরে আধিকারিকরা যখন বেরিয়ে যান-সংবাদ মাধ্যম তাদের কারণ জানতে
    চাইলেও তারা কোন উত্তর দিতে চাননি। এরপরে স্বদেশ কান্তি বেরার সঙ্গে সাংবাদিকরা
    কথা বলতে গেলে তিনিও কোন মন্তব্য করেননি সংবাদ মাধ্যমের সামনে।


    ED, CBI, ED raid,Belda,Paschim Medinipur, Medinipur, Midnapore town, food depertment investigation, Enforcment Directorate,


  • Medinipurlive : চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে কাটা পড়ার মুহূর্তে রোমহর্ষক উদ্ধার বৃদ্ধা, দেখুন CCTV Footage

     

    Medinipur :
    মেদিনীপুর থেকে হাওড়া গামী ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন এক বৃদ্ধা। শুক্রবার বিকেল
    চারটে দশ নাগাদ সেই লোকাল ট্রেন তখন চালু করে দিয়েছিল। তাতেই কোনক্রমে ওঠার
    চেষ্টা করছিলেন বৃদ্ধা। ট্রেনের গতি বেড়ে যেতেই নিয়ন্ত্রণ হারান বৃদ্ধা। চাকার
    তলায় পড়েই যাচ্ছিলেন
    , সাক্ষাৎ ঈশ্বরের
    দূত এর মত ছুটে এলেন দূরে কর্তব্যরত রেলওয়ে লেডি কনস্টেবল। কোল পাঁজা করে দীর্ঘ
    ছুটে বৃদ্ধাকে মৃত্যুর মুখ থেকে ছিনিয়ে আনলেন তিনি। প্রাণে বাঁচলেন মহিলা। পুরো
    ঘটনার মুহূর্ত ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে।

    চাঞ্চল্যকর
    এই ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর স্টেশনের শুক্রবার বিকেলে। বিকেল ৪:১০ এ মেদিনীপুর
    হাওড়া ডাউন লোকাল ট্রেন এ করে কোথাও যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওই বৃদ্ধা। ট্রেন তখন
    চালু করে দিয়েছিল এক নম্বর প্লাটফর্ম থেকে। ওই বৃদ্ধা প্রাণপণে ওই ট্রেনে ওঠার
    চেষ্টা করছিলেন। তিনি যতই চেষ্টা করছিলেন ট্রেনের গতি ও ততটাই বাড়ছিল। কিন্তু
    তিনি কোনোভাবে ট্রেনের বগির হাতল ধরে ফেলেছিলেন। শেষে ছুটতে না পেরে হাতল ধরা
    অবস্থাতেই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলেন বৃদ্ধা। এবার হয়তো চলন্ত ট্রেনের ফাঁকেই
    পড়ে যেতেন। তাহলেই নির্ঘাত মৃত্যু ছিল। দূর থেকে বিষয়টা বুঝতে পেরে গিয়েছিলেন
    প্রত্যক্ষদর্শী এক লেডি কনস্টেবল এস বিশ্বাস। প্রচন্ড গতিতে ছুটতে ছুটতে এসে
    একেবারে কোলপাঁজা করে ধরে নেন বৃদ্ধাকে। কোলে করে কোনোভাবে ওই হাতল থেকে ছাড়ানোর
    চেষ্টা করেন বৃদ্ধাকে। ওই অবস্থাতেই লেডি কনস্টেবল বৃদ্ধাকে ধরে ছুটতে থাকেন। অনেক
    পরে বৃদ্ধাকে ট্রেন থেকে ছাড়িয়ে নিতে সক্ষম হন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই
    বৃদ্ধা। দ্রুত বাকি রাও ছুটে এসে উদ্ধারের চেষ্টা করেন ততক্ষণে।

     

    ঘটনায়
    প্রত্যক্ষদর্শী স্টেশনের অন্যান্যরা ও রেলওয়ে কর্মী আধিকারিক সকলেই সাক্ষাৎ
    ঈশ্বরের দূত বলেই মনে করছেন ওই লেডি কনস্টেবল কে। তার তৎপরতাতেই প্রাণ পেলেন ওই
    বৃদ্ধা। লেডি কনস্টেবল এস বিশ্বাসকে এর জন্য অনেকটাই ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্টেশনে
    উপস্থিত অন্যান্য যাত্রীরা। সাবাশী কুড়িয়েছেন রেলওয়ে আধিকারিকদের কাছ থেকেও।

     

     

    এই ধরনের
    প্রাণে বাঁচানোর ঘটনা মেদিনীপুর স্টেশনে এর আগেও বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে
    রেলওয়ে পুলিশ কর্মীদের তৎপরতায়। সম্মানিত হয়েছেন রেলকর্তাদের কাছে। এবার সম্ভবত
    সেই তালিকায় স্থান পেলেন দুর্ধর্ষ সাহসী কনস্টেবল এস বিশ্বাস।

    Lady Constable, SE railway, Midnapur station, Medinipur, Medinipurlive, train passenger, Medinipur train, Medinipur Howrah Local, Paschim Medinipur, Railway police, RPF,


  • Scrub typhus :স্ক্রাব টাইফাসে মৃত্যু হলো স্কুল ছাত্রীর, সতর্কতা জেলা জুড়ে

     

    মেদিনীপুর: এবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও থাবা বসালো স্ক্রাব টাইফাস। সতর্ক
    স্বাস্থ্য দপ্তর। স্ক্রাব টাইফাস পজিটিভ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলো এক স্কুল
    ছাত্রীর। ওই ছাত্রীর নাম মৌপ্রিয়া বেরা (১৫)।
    ঘটনার পরেই জেলা জুড়ে সতর্কতা
    জারি স্বাস্থ্যদফতরের ৷ শুক্রবারই মৃত ছাত্রীর গ্রামে যাচ্ছে
    স্বাস্থ্যদফতরের প্রতিনিধিরা ৷ জানালেন জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ
    সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী ৷

     

    মৃতা ছাত্রী
    চাঁদড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার বল্লা গ্রামে
    হলেও পড়াশোনার জন্য মেদিনীপুর সদরের গুড়গুড়িপাল থানার এল্যাবনিতে মামাবাড়িতে
    থাকতো। বুধবার বিকেলে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত
    ছাত্রীর মামাবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে
    , আগস্ট মাসের ২৫ তারিখ তার জ্বর এসেছিল। তখন গ্রামের স্থানীয় কোয়াক ডাক্তারের
    কাছে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। তিনদিন কেটে যাওয়ার পরও জ্বর না ভালো হওয়ায় দেপাড়া
    এলাকায় অন্য এক চিকিৎসককে দেখান। ওই চিকিৎসক রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দেন। রক্ত
    পরীক্ষায় জন্ডিস ধরা পড়েছে বলে জানান ওই ছাত্রীর মামা তারক পাল। তিনি বলেন
    , “জন্ডিসের চিকিৎসা চলছিল। পরেরদিন বমি শুরু হয়। ফের ওই
    চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে বমি বন্ধের ওষুধ দেন।” গত মঙ্গলবার আবার জ্বর এলে
    মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মৌপ্রিয়াকে। বুধবার বিকেলে তার
    মৃত্যু হয়। ওই ছাত্রীর মৃত্যু শংসাপত্রে স্ক্রাব টাইফাস পজিটিভের উল্লেখ রয়েছে।

     

    সাধারণ
    একপ্রকার কীট দ্বারা আক্রান্তের পরেই রোগীর জ্বর আসে। জ্বর
    , বমি, গায়ে, হাত-পায়ে ব্যথা স্ক্রাব টাইফাসের প্রাথমিক লক্ষণ। সাধারণ
    জ্বরের থেকে বেশিদিন থাকে স্ক্রাব টাইফাস আক্রান্তকারীদের জ্বর। ফলে দ্রুত রক্ত
    পরীক্ষার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকরা জানান
    , মূলত মাইট নামক একপ্রকার কীটের কামড়ে এই রোগ হয়। কামড়ানো জায়গায় কালো রঙের
    ক্ষত তৈরি হয়
    , যা এই রোগের সন্দেহের অন্যতম লক্ষণ।
    সাধারণত বর্ষায় এই রোগের প্রকোপ বাড়ে। প্রাথমিক ভাবে
    , এই পোকা কামড়ালে সঙ্গে সঙ্গে কোনও ব্যথা অনুভব হয় না। তবে
    পরে তা শরীরের ভিতরে গিয়ে সমস্যার সৃষ্টি করে। তবে পরিবারে ওই ছাত্রী পোকার
    কামড়ের কথা জানায়নি বলে জানিয়েছেন মৃত ছাত্রীর মামা। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য
    আধিকারিক সৌম্য শংকর সারেঙ্গী বলেন
    , “পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই প্রথম স্ক্রাব টাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু
    হল। সাধারণত গ্রামের জঙ্গল ও কৃষিজমিতে এই ধরনের পোকা দেখা যায়। সচেতনতার অভাব
    অনেক সময় লক্ষ্য করা যায়। জঙ্গল বা জমি থেকে এসে ভালো করে হাত পা ধোয়া বা পোশাক
    পরিষ্কার করা হয় না। সচেতনতার প্রচার বাড়ানো হবে ওই এলাকায়। শুক্রবার
    স্বাস্থ্যকর্মীরাও যাবেন। এই ধরনের সমস্যায় জ্বর হয় ৷ কিন্তু সেই জ্বরে গুরুত্ব না দিয়ে অনেক দেরী করে হাসপাতালে এলে ততক্ষনে বিভিন্ন অঙ্গ হানি করে ফেলে জাবীনুটি ৷ তাই সকলকেই সতর্ক হতে বলবো জ্বর হলেই ৷” ওই ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।


  • Accident : বেপরোয়া ট্রাক পিষে মারলো স্কুটি চালককে, ট্রাক চালককে পিটিয়ে মেরে ফেলল জনতা, বাঁচাতে গিয়ে মার খেলেন পুলিশের আইসি

     

    Kharagpur :
    বেপরোয়া ট্রাক খড়গপুর শহরে প্রবেশ করে বুধবার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিষে দেয়
    এক স্কুটি চালক যুবককে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপরেই ক্ষুব্ধ জনতা লরি
    চালককে ধরে বেধড়ক মারে। খবর পেয়ে ছুটে যায় খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। আইসি
    রাজিব পাল এর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী লরি চালককে বাঁচাতে গিয়ে প্রচন্ডভাবে
    আক্রান্ত হন। প্রচণ্ডভাবে মার খেয়েছেন খড়গপুর টাউন থানার আইসি রাজিব পাল। শেষে
    বিশাল পুলিশ বাহিনী এনে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে গভীর রাতে উদ্ধার হয় সকলকে।
    গণপ্রহার থেকে লরি চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠালেও মৃত্যু হয় তার।
    চিকিৎসাধীন টাউন থানার আইসি-ও। ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সেই
    ঘটনার মুহূর্তের ভিডিও এখন ভাইরাল।

     

     

    বুধবার রাত
    দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে খড়গপুর শহরের নিউ ট্রাফিক এলাকায়। ওই এলাকার স্থানীয়
    বাসিন্দা অর্জুন নায়েক (৩২) স্কুটিতে করে বাড়ি ফিরছিলেন। যেকোনো কারণে দ্রুত
    গতিতে আসা একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পৃষ্ঠ করে দেয় ওই যুবককে। ঘটনাস্থলেই
    মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপরে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা লরিটিকে যে কোন ভাবে আটক
    করে চালককে ধরে ফেলে। তাকে ধরেই শুরু হয় গনপ্রহার। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে
    খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। চালককে উদ্ধার করতে গিয়ে গণপ্রহার খেতে হয় টাউন থানার
    আইসি রাজিব পাল কেও। প্রহৃত হয়েছেন পুলিশের অন্যান্য কর্মীরাও। পরে বিশাল পরিমাণে
    পুলিশ ফোর্স এনে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়েছে।

     

    এই ঘটনায়
    টাউন থানার আইসি সহ গুরুতর আহত লরিচালককে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলেও লরি চালকের
    মৃত্যু হয় কলকাতায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে। ঘটনায় বেশ কিছু ব্যক্তিকে
    আটক করেছে পুলিশ। 


    Kharagpur, Medinipur, accident, police clash, mobe lynching, police beat, police hackle, accident death, kharagpur town, Kharagpur town police, Medinipurlive, 


  • R G Kar : দুষ্কৃতিদের দিকে নজর রাখতে তাকিয়ে থাকবে এক হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা মেদিনীপুর মেডিকেলে, সিদ্ধান্ত বৈঠকে

     

    Medinipur : আর জি কর (R G Kar) ইসুতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে মামলা ওঠার পর সুপ্রিম
    কোর্টের বিচারক ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরীর নির্দেশ
    দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। সেইমতো প্রস্তুতি শুরু হলো পশ্চিম মেদিনীপুরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে
    জেলাশাসক পুলিশ সুপার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের এক বৈঠকে একাধিক নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া
    হল। জেলা জুড়ে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভির সক্রিয় নজরদারি সহ নিরাপত্তার
    বহর বাড়ানো হচ্ছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সক্রিয় করা হচ্ছে এক হাজার
    সিসিটিভি ক্যামেরা। তৈরি হচ্ছে পুলিশের বিশেষ ঘেরাটোপ। জানালেন জেলাশাসক খুরশেদ
    আলী কাদেরী।

    মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর জি কর কাণ্ডের জেরে জুনিয়র ডাক্তারদের
    আন্দোলন শুরু হয়েছিল গত ৩৩ দিন আগে থেকে। এখানকার জুনিয়র ডাক্তাররা শুরুতেই
    জানিয়েছিলেন-” পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পরিকাঠামো নেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ
    হাসপাতালেও। তাই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। না হলে আরজিকর কান্ড এখানেও ঘটতে
    পারে।” এরপর রাজ্যজুড়ে মেডিকেলের পরিস্থিতি নিয়ে একই রকম দাবি উঠেছিল
    সুপ্রিম কোর্টেও। সেখানে বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন অবিলম্বে চিকিৎসকদের জন্য
    পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পরিকাঠামো তৈরি হোক। সেই নির্দেশ মেনে রাজ্যের অন্যান্য জেলার
    আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরে জরুরী বৈঠকে বসলেন জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী
    , পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্য শংকর সারেঙ্গী, মেদিনীপুর মেডিকেলের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী, মেদিনীপুর হাসপাতালের সুপার জয়ন্ত রাউত সহ বিভিন্ন সরকারি
    হাসপাতালে আধিকারিকগণ। ছিলেন মহাকুমা শাসকগণ।

     

     

    বৈঠকের পর জেলাশাসক জানিয়েছেন-” পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরীর একটা দাবি
    উঠেছিল। সেইমতো একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
    ইতিমধ্যে ২৭২ টি সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে
    , আরো ৮১৮টি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। রাতে কর্মরত চিকিৎসকদের জন্য একাধিক আয়োজন
    থাকছে। নিরাপত্তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জেলার সমস্ত হাসপাতাল গুলির
    জন্য পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা ও নিরাপত্তার পরিকাঠামো আরো বাড়ানো হচ্ছে।”

     

     

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্য শংকর সারেঙ্গী বলেন-” রাতে
    কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে।
    নিরাপত্তার কথা সবদিক থেকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত নতুন
    কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে। সব হাসপাতালেই মহিলা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য
    টয়লেট থেকে শুরু করে নিরাপত্তাজনিত যা যা ব্যবস্থা করা দরকার সব তৈরি করা
    হচ্ছে।” পর্যাপ্ত পুলিশের পরিকাঠামো ও 
    ঘেরাটোপ সব হাসপাতালেই দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান
    সরকার।


    RGkar protest,R G Kar, Nabanna , Mamata Banerjee, Junior Doctor,Medinipur Medical college hospital, MMCH, CCTV, Safetey,Doctors agitation, Supreme court, #Medinipurlive, Medinipur Live,Medinipur, Midnapur, Midnapur town, Paschim Medinipur, District Magistrate, Police super, 


  • Medinipurlive : পূজোর আগে উড়িষ্যা থেকে পিকআপ ভ্যান ভর্তি গাঁজা ঢুকছিল রাজ্যে, রাতে ওত পেতে ধরলো পুলিশ

     

    নারায়ণগড়:
    পুজোর আগে বিপুল পরিমাণে গাঁজা রাজ্যে নিয়ে আসা হচ্ছিল উড়িষ্যা থেকে। সন্ধ্যার
    পর পিকআপ ভ্যানে করে জাতীয় সড়কে অন্যান্য গাড়ির ভিড়ে প্রবেশ করছিল। নির্দিষ্ট
    সূত্রে পুলিশ জানতে পেরে ওত পেতে অপেক্ষা করে তা আটক করলো পুলিশ। গ্রেপ্তার করা
    হলো দুই যুবককে। পিকআপ ভ্যান সহ বাজেয়াপ্ত ৯৩ কেজি গাঁজা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম
    মেদিনীপুরের খড়গপুর বালেশ্বর ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। মকরামপুর টোল প্লাজার কাছে
    বুধবার রাতে।

     

     

    গত এক বছরে
    এমন বেশ কয়েকবার বিশাল পরিমাণ গাঁজা উড়িষ্যা থেকে এই রাজ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা
    হয়েছিল। কখনো রেলপথে
    , কখনো বা একইভাবে
    জাতীয় সড়ক ধরে। যেগুলি পুলিশ নির্দিষ্ট সূত্রে খবর পেয়ে সেগুলি আটক করেছিল। তবে
    বেশিরভাগটাই সন্ধ্যার পর এই গাঁজা পাচার করার চেষ্টা হয়েছিল। এবারেও তাই হয়েছে।
    পুজোর আগে এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করল নারায়ণগড় থানার পুলিশ। বুধবার রাতে
    খড়গপুর বালেশ্বর ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের নারায়ণগড় থানার মকরামপুর টোল গেটের
    কাছে ওত পেতে অপেক্ষা করছিল পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে একটি পিক আপ ভ্যান
    গাড়িকে আটক করে প্রথমে। গাড়িটিতে তল্লাশি চালায় নারায়ণগড় থানার পুলিশ।
    তারপরেই গাড়ি থেকে উদ্ধার ধরে ধরে সাজিয়ে রাখা প্যাকেটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে
    গাঁজা। প্রায় ৯৩ কেজি গাঁজা ছিল সেখানে। গ্রেফতার করা হয় দুজনকে।

     

     

     পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে উড়িষ্যা থেকে
    মুর্শিদাবাদে পিকআপ ভ্যান গাড়িতে করে  দুই
    ব্যক্তি গাঁজা নিয়ে যাচ্ছিল। তবে তা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। গ্রেফতার হওয়া
    ব্যক্তিদের নাম- বিষ্ণু ত্রিপাঠি বাড়ি উড়িষ্যা ও সেক  সেন্টু বাড়ি মুর্শিদাবাদ।


    Narayangar, police, NH16, Ganja recovery, police arrest, Makrampur, Cannabis detain, Orissa, Odisha,paschim medinipur, Medinipur, Medinipurlive, police naka,

     


  • R G Kar protest :চিকিৎসাটা বাইরেই হচ্ছিল, এবার পড়াশোনাটাও কলেজের বাইরে শুরু হলো জুনিয়র ডাক্তারদের

     

    মেদিনীপুর:
    আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে ৩২ দিন ধরে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র
    ডাক্তাররা প্রতিবাদে বসেছিলেন। হাসপাতালের পরিষেবা থেকে হাত গুটিয়ে হাসপাতাল
    সুপার এর অফিসের সামনে ধরনা অবস্থান শুরু করেছিলেন দোষীদের শাস্তির দাবি করে। এর
    জেরে ইনডোর পরিষেবার সাথে সাথে আউটডোর পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ২
    সেপ্টেম্বর থেকে “অভয়া ক্লিনিক” নাম দিয়ে আউটডোর পরিষেবা শুরু করেছে
    জুনিয়ার ডাক্তাররা। মঙ্গলবার পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজারের বেশি আউটডোর রোগী দেখা
    হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এবার সেই ধরনা মঞ্চেই নিজেদের
    পড়াশোনাটাও শুরু করলেন তারা। নাম দেওয়া হল “অভয়া পাঠশালা”।

     

     

    মঙ্গলবার
    রাত ৯ টা থেকে এই অভয়া পাঠশালা শুরু হয়েছে। যেখানে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার
    যারা আন্ডারগ্রাজুয়েট রয়েছেন
    , পোস্ট গ্রাজুয়েট
    বা সিনিয়ার পড়ুয়ারা তাদের ক্লাস নিচ্ছেন। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের অন্যতম
    চিকিৎসক অনিক দাস বলেন -” আমরা আন্দোলনে থেকেও আউটডোর পরিষেবাটা চালু রেখেছি।
    আন্দোলন অব্যাহত থাকছে। সাথে পড়াশোনাটাও এই ধর্না মঞ্চ থেকে চালু রাখার জন্য এই
    ধরনা স্থলেই অভয়া পাঠশালা শুরু করেছে। যেখানে সিনিয়ররা জুনিয়রদের পড়াবেন।
    আপাতত এটা চলবে।”

     

     

    অন্যদিকে
    কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ
    জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই আমন্ত্রণে সাড়া দেননি জুনিয়র
    ডাক্তাররা। ফলে অনেকেই যারা মনে করেছিলেন এই আন্দোলন হয়তো আলোচনার মাধ্যমে কিছুটা
    প্রশমিত হবে
    , শেষ পর্যন্ত তা হল না। মেদিনীপুর
    মেডিকেল কলেজে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন-” কলকাতায় আন্দোলনরত
    জুনিয়র ডাক্তাররা যে পথে এগোবেন এখানেও সকলে সেই পথেই এগোবে। অর্থাৎ আন্দোলন চলবে
    দাবী না মেটা পর্যন্ত।”


    r g kar protest, r g kar protest in us, r g kar protest poster,r g kar protest today,r g kar protest news,r g kar protest rally,r g kar protest in Kolkata,r g kar protest in Delhi, r g kar full form,r g kar protest latest news, protest rally, Medinipur Hospital, Medinipur Medical College, Abhya clinic, Abhaya pathshala,


  • Medinipur : যাত্রী তোলা নিয়ে অটো ও টোটো চালকদের সংঘর্ষ, সংঘর্ষে দোকানদাররাও, দোকান ভাঙচুর,

     

    মেদিনীপুর:
    মেদিনীপুর শহরে অটো ও টোটো চালকদের যাত্রীর দখল নিয়ে ফের উত্তেজনা মেদিনীপুর
    শহরে। মেদিনীপুরের কুইকোটা এলাকাতে রাস্তা থেকে টোটো চালক যাত্রী তুলতেই অটোচালক
    গিয়ে বাধা দেয়। তা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। নিজেদের দোকানের সামনে সেই সংঘর্ষে
    বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল দোকানদাররা। তবে অভিযোগ- দোকানদাররাও চড়াও হয় অটো
    চালকের ওপরে। তারপরেই অটোচালকেরা চড়াও হয় ওই দোকানদারদের ওপরে। বেধড়ক মারধর করা
    হয় দোকানদারদের
    , তছনছ করে দেওয়া
    হয় দোকান। রক্তাক্ত দোকানদাররা রাস্তা অবরোধ করে দেয়। সামাল দিতে বিশাল বাহিনী
    মোতায়েন করতে হয় কোতোয়ালি থানার পুলিশকে।

     


    মেদিনীপুর
    শহরে যাত্রীর দখল নিয়ে অটো ও টোটো চালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা এর আগেও বহুবার
    ঘটেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটলো মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা এলাকাতে। স্থানীয়
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন-এক টোটো চালক রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীকে টোটো
    তে তোলার পরেই দূর থেকে এসে এক অটোচালক তা বাধা দেয়। টোটো থেকে প্যাসেঞ্জার
    নামিয়ে দিয়ে তর্কবচশা ও হাতাহাতি শুরু হয়ে যায় টোটো চালকের সাথে। সেই সময়
    পাশে থাকা কয়েকজন দোকানদার টোটো চালকের হয়ে অটো চালকের বিরুদ্ধে কথা বলে বলে
    দাবি অটোচালকদের। একই সাথে অটোর কাঁচ ভাঙচুর করে অটোচালককে মারধর করা হয় বলে
    অভিযোগ। সেই মুহূর্তে দূরে কর্তব্যরত পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামালও দিয়েছিল। পুলিশ
    চলে যেতেই একদল অটোচালক পুনরায় সেখানে হাজির হয়। অতর্কিত ফের সংঘর্ষ শুরু হয়
    সেখানে।  বেধড়ক ভাঙচুর চালানো হয়
    দোকানগুলিতে। মারধর চলে দোকানদারদের ওপরে বলে অভিযোগ। ঘটনার সংঘর্ষের মুহূর্তের
    ভিডিও এখন ভাইরাল। ঘটনায় রক্তাক্ত হয়ে যান দোকানদাররা কয়েকজন। এরপরেই তারা
    মেদিনীপুর শহরে প্রবেশের ওই রাস্তা অবরোধ করে দেয়। সামাল দিতে ছুটে আসতে হয়
    কোতোয়ালি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনীকে। তীব্র উত্তেজনা পূর্ণ পরিস্থিতি কাটে
    মঙ্গলবারের দুপুরটা কুইকোটা এলাকায়।

     

     

    আক্রান্ত ও
    রক্তাক্ত পান দোকান ব্যবসায়ী অপু চক্রবর্তী বলেন-” ওরা যাত্রী তোলা নিয়ে
    দুই পক্ষ সংঘর্ষ শুরু করেছিল। বিষয়টা দোকানের সামনে অস্বস্তিকর মনে হচ্ছিল। তাই
    আমরা দুই পক্ষকেই ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম মাত্র। কিন্তু তাতেই প্রথমে গালাগাল
    পরে অতর্কিত আক্রমণ হয় আমাদের ওপরে। এটা তীব্র বিরোধিতা ও নিন্দা করছি
    আমরা।”

     

     

     

    এ বিষয়ে
    স্থানীয় দু
    নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালী
    ব্যানার্জি বলেন-” এর আগেও অটোচালকেরা এমন কাণ্ড করেছে। টোটো চালকেরা যাত্রী
    তুললেই তার সেখান থেকে জোর করে নামিয়ে দেয়। এর জেরে আগেও অশান্তি হয়েছে। তবে
    আজকে যা ঘটেছে তা নিন্দনীয়। আমরা পুলিশকে বলেছি দোষী আক্রমণকারীদের অবিলম্বে
    শাস্তি ব্যবস্থা করতে হবে। না হলে এই ধরনের ঘটনা চলতেই থাকবে।”

     

     

    এই প্রসঙ্গে
    অটো ইউনিয়নের সম্পাদক সিরাজ আলি বলেন-” রাস্তা থেকে যেখানে অটো রুট সেখান
    থেকে এভাবে টোটো প্যাসেঞ্জার তুলতে পারবে না সেটা আগেই বলা আছে। এটার প্রতিবাদ
    করেছিলেন অটোচালক। তাতেই পাশে থাকা দোকানদাররা একজন হয়ে এসে অটোচালককে মারধর করে
    ,অটোর কাঁচ ভেঙে দেয়। অটো চালক টোটো চালকের মধ্যে সমস্যা
    ছিল। কিন্তু দোকানদাররা এসে সংঘর্ষটা বাধিয়েছে আক্রমণ করে। এমনকি অটোচালক কে অটো
    ভাঙ্গার পর অটো থেকে নামিয়ে মারধর করেছে স্থানীয় দোকানদাররা। আমরা পুলিশকে
    অভিযোগ জানাতে এই অটোতে হামলার ঘটনায় স্থানীয় এক দোকানদারকে আটকও করেছে। পরে
    দোকানদারকে বোঝাতে গিয়েছিল কয়েকজন টোটো চালক যে আপনারা কেন মাঝখানে এসেছিলেন
    ? উল্টে তারা ফের আক্রমণ করে অটোচালকদের ওপরে। আমাদের
    অটোচালকদের ওপর ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। “


    Medinipur, Midnapur town, Paschim Medinipur, Medinipur town, Auto-toto, Auto, TOTO, clash at Midnapur, Kotowali, Kotowali police, Medinipur live, Medinipurlive,


  • R G Kar : চিকিৎসকের অভাবে ২৩ জনের মৃত্যুর তালিকায় আরো বাড়লো ১ জন ? চিকিৎসকের অভাবে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ এবার মেদিনীপুর মেডিকেলে

     

    মেদিনীপুর: R G Kar কাণ্ড নিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের (junior Doctor) আন্দোলন অব্যাহত। এক মাস ধরে এই আন্দোলনের
    কারণে স্বাভাবিক চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে বলে রাজ্য সরকারও (State Government) দাবি করেছে
    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। সেখানে বলা হয়েছে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসকের অভাবে।
    তারপরেই সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে চিকিৎসকদের চিকিৎসা পরিষেবা
    স্বাভাবিক করার নির্দেশ দিয়েছেন।
    মঙ্গলবারের মধ্যে কাজে
    ফিরতে জুনিয়ার ডাক্তারদের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ তবে
    সুপ্রিম কোর্টের দেওয়ার সময় সীমার আগেই আর
    একজনের মৃত্যুর
    ঘটনা ঘটলো মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ম্যালেরিয়াতে (Malaria) আক্রান্ত হয়ে এক
    কিশোর মারা গেল সিসিইউ ইউনিটে (CCU Unit)। পরিবারের দাবি-“চিকিৎসকরা পর্যাপ্ত ছিলেন না
    ধর্মঘটের কারণে। যে কারণে এই সমস্যা হয়েছে। তরতাজা এক কিশোরকে প্রাণ হারাতে হলো
    সঠিক চিকিৎসার অভাবে।”

     

     

    জানা
    গিয়েছে
    ,
    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) খাকুড়দা এলাকার বাসিন্দা কিশোর, সূর্যকান্ত শানকি(১৬) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর
    ভর্তি হয়েছিল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (Medinipur Medical college Hospital)। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন
    ম্যালেরিয়া হয়েছে। ভর্তির পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রবিবার
    কিডনি ফেলিওর হয়। যে কারণে তার ডায়ালিসিস পর্যন্ত করতে হয়েছে। তারপরও আর
    শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার দুপুরে তার মৃত্যু হয় মেদিনীপুর
    মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (MMCH) সি সি ইউ ইউনিটে।

     

    আত্মীয়দের
    পক্ষ থেকে মেদিনীপুর হাসপাতালে (Medinipur Hospital) উপস্থিত দেবব্রত কান্ডারী বলেন-”
    ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিল। ছেলে সুস্থই ছিল। গতকাল থেকে শারীরিক
    অবস্থার অবনতি হয়। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হল। ধর্মঘটের কারণে চিকিৎসক সঠিক ছিল না বা
    চিকিৎসা ভালো হয়নি তাই এই অবস্থা হলো। চার দিনের মধ্যে একটা বাচ্চা ছেলের মৃত্যু
    হল এভাবে।” ঘটনার পর ক্ষোভ উগরে পরিবারের লোকেরা দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে
    রওনা দেয় সোমবার রাতেই। সোমবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে
    আইনজীবী জানিয়েছিলেন ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির কারণে। এবার
    মেদিনীপুর মেডিকেলে মৃতের পরিবারের অভিযোগ অনুসারে ধরা হলে তাহলে সেই তালিকা হয়ে
    গেল ২৪ জন।
    যদিও মুখে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই অভিযোগ করলেও লিখিতভাবে
    তখনই রাতে অভিযোগ কোনো করা হয় নি পরিবারের পক্ষ থেকে৷ ফলে হাসপাতালের পক্ষ থেকেও কোনো
    প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয় নি ৷

     

     

    অন্যদিকে এই
    দিনও রাত নটার পর মেদিনীপুর শহরে রাত দখল (Raat Dokhol) কর্মসূচি পালন করলেন একদল প্রতিবাদী। কোন
    রাজনৈতিক দলের ব্যানার ছাড়াই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখা গেল মেদিনীপুর শহরের
    স্টেশন রোড (Medinipur station Road) এলাকাতে।