Medinipur : কানাঘুশো অনেকদিন ধরেই চলছিল, এবার সত্যিই হলো। হয়তো এক এক করে সরকারি অফিস এবার সরতে
চলেছে মেদিনীপুর শহরের বাইরে। প্রথমটাতেই সরছে মেদিনীপুরের পরিবহন দপ্তরের অফিস
তথা আরটিও অফিস। যাচ্ছে মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা খাস জঙ্গল এলাকার ফাঁকা মাঠে।
প্রস্তাবিত সেই জায়গাতে শনিবার বৃষ্টিতে ভিজেই প্রাচীর এলাকাতে গাছ লাগিয়ে প্রথম
পদার্পণ করলেন জেলার পরিবহন আধিকারিক তথা আরটিও সন্দীপ সাহা।
মেদিনীপুর
শহরের কালেক্টরেট চত্বরে থাকা পরিবহন দপ্তরের অফিস তথা আরটিও অফিসটি পুরনো ইংরেজ
আমলের তৈরি ভবনেই চলছিল। সমস্যা সেখানে খুব একটা হচ্ছিল না, কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছিল মেদিনীপুর শহরের প্রবেশ ও বেরিয়ে
যাওয়ার রাস্তা ক্রমে সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। অথচ পরিবহন দপ্তরের অফিসে কাগুজে
প্রয়োজনে, বা বিভিন্ন বড় বাহন গুলিকে অনুমতির
প্রয়োজনে আসতে হয়। ভারী লরি থেকে বড় বাহন গুলিকে পরিবহন দপ্তরের অফিসে আসতে
গেলে একাধিক জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কারণ এমনিতেই মেদিনীপুর শহরের রাস্তা
সংকীর্ণ হয়ে পড়েছিল গত ১ দশকে। তার উপরে দুর্ঘটনা কমাতে বেশ কিছু রাস্তায় বাহন
নিয়ন্ত্রণ করতে হয়েছে। বড় গাড়িগুলিকে ঘুর পথে চালানো হচ্ছে। সেক্ষেত্রে যে
সমস্ত বড় গাড়িগুলি পরিবহন দপ্তরে ঢোকার প্রয়োজন ছিল সেগুলিকে শহরের বাইরে দাঁড়
করিয়ে পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কাগজের
কাজ পত্র গুলো করতেন। এতে দীর্ঘসূত্রিকা ও জটিলতা একটা দেখা দিচ্ছিল দফতর ও
বিভিন্ন বাহন গুলির ক্ষেত্রে। তাই হয়তো প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে পরিবহন দপ্তরের অফিসকে শহরের বাইরে একটি খোলামেলা জায়গায় তৈরি করার জন্য।
সেই লক্ষ্যে মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে খাস জঙ্গল এলাকায় প্রায় সাড়ে তিন একর
জমির উপরে সেই দপ্তরের অফিস তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত সেই জমিতেই
যেখানে প্রাচীর হবে সেই স্থানগুলিতে বৃক্ষরোপণ সারলেন জেলার রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট
অফিসার তথা পরিবহন আধিকারিক সন্দীপ সাহা। শনিবার দুপুরে বৃষ্টিবহুল পরিস্থিতিতে
বৃষ্টিতে ভিজেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজেদের
প্রস্তাবিত অফিস এর মাঠে পদার্পণ করে গাছ লাগিয়ে কার্যত কাজ শুরু করে দিলেন বলা
যায়।
পরিবহন
দপ্তরের আধিকারিক সন্দীপ সাহা জানিয়েছেন-” অফিসটি শহরের বাইরে চলে আসবে। খুব
শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই যে সমস্ত স্থানগুলিতে
অফিস চৌহদ্দির বাইরে প্রাচীর হবে সেখানে গাছ লাগানো হলো।”
মেদিনীপুর
শহরের ক্রম সংকুচিত পরিস্থিতি অর্থাৎ জনবহুল অবস্থা দেখে এমনিতেই বিভিন্ন জায়গায়
আলোচনা হচ্ছিল সম্ভবত প্রধান অফিস গুলি শহরের বাইরে সরে যেতে পারে। সরানো হতে পারে
সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড টিকেও। না হলে সাধারণ মানুষের চলাফেরা ও বাস লরির মত বড়
গাড়ি গুলিকে শহরে প্রবেশ করানো র ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। ইতিমধ্যেই এফসিআই
গোডাউনের গাড়িগুলি সহ বেশ কিছু গাড়িকে ঘুর পথে চালানো হচ্ছিল। শহরের প্রবেশ পথ
কেরানী চটি থেকে কালেক্টরেট পর্যন্ত সুপ্রশস্ত করার কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় এক
মাসের বেশি সময় ধরে। তারপরেও অফিস স্থানান্তরের পদক্ষেপ শুরু হল প্রশাসনের পক্ষ
থেকে।
Medinipur, Midnapur, Midnapore town, Paschim Medinipur, Medinipur Sohor,RTO office, Medinipurlive, Medinipur market, Medinipur tour, Khas jangal, Kharagpur, Jangalmahal,