Category: Blog

Your blog category

  • Accident:বিকল ট্রেলারকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় খুলে গেল বাঁধন, নিয়ন্ত্রণহীন ট্রেলার গুঁড়িয়ে দিল পরপর তিনটি দোকান

     

    ঘটনার পর ঘটনাস্থল

    খড়গপুর: বিকল হয়ে যাওয়া ট্রেলারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ব্রেকডাউন ভ্যান। বাম্পার পার হওয়ার সময় ঝাকুনি হতেই ভ্যান এর সাথে আটকে রাখা তার খুলে যায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিশাল ট্রেলার বাঁধন আলগা হয়ে পিছিয়ে এলো প্রচন্ড গতিতে। রাস্তার পাশে থাকা চা দোকান ও বাইক মেরামতির গ্যারেজ পরপর গুঁড়িয়ে দিল রূপনারায়নপুর এলাকাতে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা। গাড়ির তলাতে চাপা পড়লেন এক পথচারী। উদ্ধার করে পাঠানো হলো চিকিৎসার জন্য। 

    রবিবার বেলা দুটো নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর গ্রামীণ থানার অন্তর্গত রূপনারায়নপুর এলাকাতে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনু-রূপনারায়ণপুর সংলগ্ন এলাকার একটি কারখানা চত্বর থেকে বিকল হয়ে যাওয়ার ট্রেলার টিকে মেরামতির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল একটি ব্রেকডাউন ভ্যান। শক্ত মোটা ধাতব তারে বেঁধে ট্রেলারকে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল ওই ভ্যানটি। রূপনারায়ণপুর চক এলাকাতে একটি বাম্পার পার হতেই সামনে থাকা ব্রেক ডাউন ভ্যানের হুক থেকে ট্রেলারের বাঁধন তার খুলে যায়। তখনই বিশাল সেই ভারী ট্রেলার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাল বেয়ে প্রচন্ড গতিতে পিছিয়ে যায়। ওই সময় চকের জাতীয় সড়কের পাশে দুটি খাবারের দোকানে অনেকেই বসে ছিলেন। সামনে আরো একটি মোটরসাইকেলের গ্যারেজে অনেকগুলি বাইক দাঁড় করানো ছিল মেরামতির জন্য। প্রচন্ড গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টেলারটি পিছিয়ে যায়। 

    গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা বাইক গুলির ওপর দিয়ে একের পর এক ভেঙ্গে গুড়িয়ে পিছিয়ে যায় পরপর তিনটি দোকান ভেঙে।। এতে দুটি খাবার দোকান ও বাইকের গ্যারেজ ভেঙে একেবারে নষ্ট হয়ে যায়। কোনভাবে দোকানে বসে থাকা লোকজন লাফিয়ে বেরিয়ে পালাতে সক্ষম হলেও একজন চাপা পড়ে যান। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায় খড়গপুর মহাকুমা হাসপাতালে।


  • Bankura : আকাশ থেকে বিকট শব্দে বিশাল সাইজের বরফ আছড়ে পড়লো মাটিতে, ভেঙে খাওয়ার জন্য বাড়িতে নিয়ে ছুটলো বাসিন্দারা, মনে করেই বমি করছেন অনেকে !

    Bankura :  চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম প্রতিবেশী জেলা বাঁকুড়াতে ৷ ঘটনার সাক্ষী থাকলো বাঁকুড়ার সিমলাপাল৷ শনিবার হঠাৎই আকাশ থেকে প্রায় কুইন্টাল ওজনের বরফের চাঁই পড়লো মাটিতে৷ সেই পড়াকে
    কেন্দ্র করে চঞ্চল এলাকায়।
    দুর থেকে লোকজন দেখেই দিলেন দৌড় ৷ প্রথমে অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার ছোটো রামবনী এলাকায়।

    জানা যায়, শনিবার প্রায় সাড়ে দশটা নাগাদ ছোটো রামবনি এলাকার রাস্তার ধারে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত ছিলেন একাধিক মানুষ সেই সময়েই আচমকা আকাশ থেকে বিকট আওয়াজ এর সাথে ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়ল বিশাল এক বরফের চাঙ্গড় আওয়াজ শুনে ওই স্থানে কর্মরত মানুষেরা তৎক্ষণাৎই ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন৷ বোমা জাতীয় কিছু হতে পারে মনে করে প্রান নিয়ে দৌড়ায় সকলে ৷ পরে ধীর ধীরে অনেকটা অপেক্ষা করার পরে কৌতুহল বাড়ে সেটি দেখার ৷ পরে তারা বরফ পড়া স্থানে গিয়ে দেখেন প্রায় এক কুইন্টাল ওজনের গোলাকার বরফ এর অংশ। পড়ার সাথে সাথে ওই স্থানে বরফটি ভেঙে ছড়িয়ে গিয়েছে ৷ বরফ পড়ার আঘাতে মাটিতে তৈরি হয়েছে একটি গর্ত। স্থানীয় জঙ্গলমহলের মানুষের বিশাল ঠান্ডা বরফ সেটি বুঝতে পেরেই ভেঙে নিয়ে দৌড় বাড়ির পথে৷ সেটি খাওয়ার কাজে লাগাতে নিয়ে যেতে শুরু করেন অনেকেই ৷ এরপরই কানাকানি হতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমায় এলাকার মানুষজন। তবে কিভাবে এই বরফের অংশ ওই স্থানে পড়ল আকাশ থেকে তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে সকলেই। 

     এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান ফুট দশেক দূরে তারা কাজ করছিল হঠাৎই আকাশপথে বিকট আওয়াজের সাথে কিছু একটা জিনিস আচমকায় পড়ে গেল মাটিতে। ছুটে গিয়ে দেখেন গোলাকার বরফের অংশ তবে তারা আতঙ্কিত তাদের উপর পড়লে হয়তো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে। তবে দুর্ঘটনা ঘটলেও ঘটল অন্য জিনিস৷ অনেকেই আকাশ থেকে পড়া বিশুদ্ধ শিলখন্ড বা বরফ মনে করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খেয়ে ফেলেছেন৷ সেটা মনে করেই আবার অনেকে বমি করার উপক্রম ৷ কারন বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন- আকাশপথে
    বিমান যাত্রায় থাকা যাত্রীদের টয়লেটের মলমুত্র বিশেষ পদ্ধতিতে জমিয়ে বরফ তৈরী করে চলন্ত বিমান থেকেই মাঝে মধ্যেই আকাশ থেকে ফেলে দেওয়া হয় ৷ এক্ষেত্রেও সবুজ জঙ্গলমহল দেখে হয়তো ফেলা হয়েছিল ৷ কিন্তু তা সুন্দর বরফ মনে করে জঙ্গলমহলের বাসিন্দারা তা চেখে ফেলেছেন৷ 

  • Dilip Ghosh : “ত্রাণ লুট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বন্যাকে ব্যবহার করে রাজ্য সরকার, তারা কখনোই চায় না বন্যা বন্ধ হোক।এটা ওদের বার্ষিক আয়৷”-মেদিনীপুরে বললেন দিলীপ ঘোষ

     

    মেদিনীপুর দলীয় কার্যালয়ে দিলীপ ঘোষ

    মেদিনীপুর:
    বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এবার রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী সহ ঘাটালের সাংসদ দেব কে
    বিভিন্নভাবে আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শনিবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরে
    বিজেপির একটি সদস্য সংগ্রহ অভিযানের প্রস্তুতি বৈঠক করতে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
    সেখানেই সাংবাদিকদের সামনে এমন বিবৃতি দিয়েছেন।

     

     

     

    দিলীপ ঘোষ
    এদিন বলেন-” অন্যান্য স্থানের মত ডিভিসি কেউ জল তো ছাড়তেই হবে। নেপাল থেকে
    জল এখানে আসে
    , আমাদের এখান থেকে বাংলাদেশে যায়।
    মুখ্যমন্ত্রী তো বাংলাদেশের মতো কথা বলছেন। উনি বন্যার সামলাতে পারছেন না। নিজস্ব
    প্ল্যানিং নেই। ১৩ বছর ধরে মিথ্যা কথা বলে চালিয়ে দিলেন। উনি বন্যা নিয়ন্ত্রণে
    কি করেছেন
    ? ডিভিসি জল বেঁধে রাখে। তা থেকে
    বিদ্যুৎ তৈরি করে। সেই বিদ্যুতে পশ্চিমবঙ্গ চলছে। আর যখন বন্যা হবে তিনি ডিভিসি কে
    গালাগালি করবেন। এখানকার লক্ষ লক্ষ এই ডিভিসির ওপরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। এখানে
    সরকারের অনেক লোক রয়েছে। তাদের সাজেশন অনুযায়ী কাজ হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে
    কোন এক্সপার্ট যদি সাজেশন দেয় তিনি তো তা মানেন না। তাই জল এলে বন্যা হয়। আর উনি
    গোড়ালি ডুবিয়ে ফটো তুলে কেন্দ্র ও ঝাড়খন্ডকে গালাগালি করতে থাকেন। আর মানুষ
    জলেই থেকে যান। “

     

     

    বন্যা
    পরিস্থিতি ও ত্রাণ বিলি প্রসঙ্গে আরো সুর ছড়িয়ে দিলীপ ঘোষ শাসক দলকে কটাক্ষ করে
    বলেন-” প্রতি বছর পূজো খারাপ হয় এই শাসকদলের কারণে। মমতার কি কোনো দায়িত্ব
    নেই! খালি ত্রাণ বিলি করা ও ত্রাণ লুট করার জন্য বন্যাকে ব্যবহার করে উনারা। বন্যা
    বন্ধ হলে লুটপাট হবে না। বন্যা হলেই কেন্দ্র সরকারের কাছে হাজার হাজার কোটি টাকার
    আর্জির জন্য চলে যাবেন। বন্যাটা বার্ষিক ইনকামের একটা রাস্তা হয়ে গেছে তৃণমূলের
    জন্য। সেজন্য ইচ্ছা করে বন্যা বন্ধ করতে চাইছে না ।কারণ তাতে তো ওদের লাভ।”

     

     

     

    ঘাটালের
    সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন-” দেব বলেছেন
    দিদি আমাকে কথা দিয়েছেন এরপর না হলে দলের প্রচারে যাব না।-এই সমস্ত বাচ্চাদের মত
    কথা বলছেন। মানুষ তিনবার ওনাকে জিতিয়েছেন মুখ দেখার জন্য নাকি
    ? উনি ভাবছেন আমি হিরো, মুখ দেখালাম লোক খুশি হয়ে গেল। গলা জলে থেকে বোধহয় হাত তালি দেবে। ওটা হতে
    পারে না। মানুষ কি ভুল করেছে ওনাকে ভোট দিয়ে
    ? ঘাটালের জন্য কিছু করেননি। কেন্দ্র সরকার অফার দিয়েছিল তো ঘাটাল মাস্টার
    প্ল্যানের জন্য। তাতেও করেনি ওরা। মানুষকে বোকা বানাচ্ছেন। যে প্রশাসনটা ছিল সেটাও
    ভেঙে পড়েছে। লুটপাট কোন ধর্ষণ ফ্যাশন হয়ে গেছে। নিজেরা প্রশাসন চালাতে পারেনা
    লোককে দোষ দিয়ে শেষ করে। মমতা ও তার সাংসদ ছবি তুলতে আসেন ছবি তোলার রাজনীতি বন্ধ
    হওয়া উচিত।”


  • Jangalmahal : “দশ হাজার টাকা ও তার স্ত্রী রাত কাটালে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া স্বামীদেরকে ছাড়া হবে”, অভিযুক্ত শ্রমীক ঠিকাদারকে মহিলা টোপ দিয়ে আটকালো গ্রামবাসী

     


    গুড়গুড়িপাল: ভালো রোজগার ও কাজের লোভ দেখিয়ে জঙ্গলমহলের শ্রমিক যুবকদের
    নিয়ে গিয়েছিল গুজরাটে। তাদের জানানো হয়েছিল ওখানে শ্রমিকের কাজ রয়েছে। ভালো
    বেতনও পাবে। সেই হিসেবে মেদিনীপুর সদরের ১৪ জন যুবক ঝাড়গ্রামের খালশিউলি এলাকার
    এক শ্রমীক ঠিকাদার ব্যক্তির মারফত পাড়ি দিয়েছিল ভিন রাজ্যে। সেখানে গিয়ে একটি টাইলস
    কোম্পানিতে কাজের পরিস্থিতি দেখে তারা বুঝতে পারেন এখানে কাজ করা যাবে না।নুন্যতম মুল্যে
    কঠিন কাজ ছেড়ে ফিরতে চাইলে তাদের মোটা টাকা জমা দিতে বলে কোম্পানী ৷ বাংলা থেকে সেখানে
    নিয়ে যেতে বিভিন্ন খরচ নাকি হয়েছে ৷ তাই সেই টাকা খালশিউলির যুবক মারফত কোম্পানীতে
    পাঠিয়ে ৭ জন বাড়ি ফিরেছেন ৷ বাকিরা টাকা না পাওয়াতে ফিরতে পারেনি ৷এমনই এক শ্রমীকের
    স্ত্রীকে কুপ্রস্তাবদেয় ওই ঠিকাদার ৷ বলা হয়
    তার সাথে বিশেষ মুহুর্ত
    কাটালেই তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়া ৷ পাড়ার ক্লাবে মহিলা জানালে
    , ক্লাবের ছেলেরা মহিলাকে টোপ হিসেবে ব্যাবহার করে ঠিকাদারকে ডাকে ৷ গ্রামের
    পাশে আসতেই ক্লাবের ছেলেরা ঠিকাদারকে আটকে ফেলে ৷ তাঁকে ঘিরে চলে চরম বিক্ষোভ ৷ সামাল
    দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশকে ৷

     


    ঘটনাটি
    বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের কনকাবতী গ্রাম
    পঞ্চায়েতের খেজুরডাঙ্গা এলাকায়। ওই এলাকা থেকে কয়েকমাসআগে ১৪ জন শ্রমীককে পাঠিয়েছিল
    খালশিউলির শ্রমীক ঠিকাদার রাজু মুখী ৷ ভালো কাজ ও উচ্চ বেতনের লোভ দেখিয়ে জঙ্গলমহলের
    গরীব বেকার যুবকদের গুজরাটের সুরাটে পাঠিয়েছিল ৷ সেখানে সামান্য বেতন ও কঠিন পরিশ্রমের
    কাজ দেখে দু
    মাস পর শ্রমীকেরা বাড়ি ফেরার জন্য
    জানান কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বাড়ি ফিরতে দিতে চাননি বলে অভিযোগ।পরিবারের লোকার
    গ্রামে জানতে পেরে ঠিকাদার রাজু মুখীকে ফেরানোর জন্য জানায় ৷  স্থানীয় রা জানায়
    ঠিকাদার রাজু দশ হাজার করে টাকা চায় বাড়ি ফিরিয়ে আনার জন্য।
    শুধু তাই নয়
    , এক শ্রমীকের স্ত্রীকে ওই ঠিকাদার প্রস্তাব দেয়তার সঙ্গে বিশেষ মুহুর্ত কাটাতে হবে তাহলে টাকা না দিলেও এনে দেবে স্বামীকে৷ এরপরই ওই মহিলা ঠিকাদারের কথোপকথন মোবাইলে রেকর্ড করে স্থানীয়
    ক্লাবের ছেলেদের জানিয়ে দেয় ৷ এরপই ক্লাবের ছেলেরা ছক কষে মহিলাকে দিয়ে ওই ঠিকাদারকে
    নির্জন স্থানে ডাকায় ৷ সেই ঠিকাদার হাজির হতেই তাকে ধরে ফেলেন ক্লাবের ছেলেরা ৷ তাকে
    এনে আটকে রাখা হয় ক্লাবের ভেতরে ৷ আটকে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা
    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ।
    পুলিশকেও হিমশিম খেতে হয় গ্রামবাসীদের হাতে
    আটক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পর তাকে উদ্ধার করে
    থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

     

    গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ অভিযুক্তকে ক্লাবে আটকে


    গুজরাটে যাওয়া
    সাতজন যুবক ছয় হাজার করে টাকা দিয়ে বাড়ি ফিরেছে। তাদের মধ্যে তাপস মন্ডল বলেন
    , “আমরা গরীব মানুষ। কাজের জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে
    গিয়ে যে কাজ দেখলাম তা আমরা পারবো না। তবুও দু
    মাস কাজ করেছি। তারপর বাড়ি ফিরতে চাইলে আমাদের বাড়ি ফিরতে দেওয়া হবে না বলে
    জানায়। বেশি জোর করলে মেরে ফেলা হবে বলেও জানানো হয়েছে। পরে আমরা ছয় হাজার করে
    টাকা দিয়ে ৭ জন বাড়ি ফিরেছি। বাকিরা এখনো আছে।” ওখানে আটকে থাকা সাত জন
    যুবকের মধ্যে এক যুবকের স্ত্রী বলেন
    , “রাজুর মাধ্যমে আমার স্বামী কাজে গিয়েছে। বাকিরা বাড়ি ফিরেছে। পুজোর আগে আমার
    স্বামী সহ বাকিদের বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল। এখন রাজুকে ফোন করতে
    বলছে দশ হাজার টাকা লাগবে। আমরা গরিব মানুষ তাও পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও
    বলছে তার সঙ্গে রাত কাটাতে হবে না। না হলে বাড়ি ছাড়বে না। বিষয়টি গ্রামে এবং
    স্থানীয় ক্লাবে জানায়। গ্রামবাসীদের পরিকল্পনা মতো আজ তার সঙ্গে দেখা করতে
    গিয়েছিলাম। সেখান থেকেই তাকে গ্রামবাসীরা ধরে নিয়ে আসে।” স্থানীয়দের দাবি
    , পুলিশ ওই সাতজন যুবকের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করুক। যতক্ষণ
    না তারা বাড়ি ফিরছে ওই যুবককে ছাড়া যাবে না। পরে তাদের বুঝিয়ে অভিযুক্ত রাজু
    মুখীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা বিনয় মাঝি বলেন
    , “আমরা পুলিশকে পরিস্কার জানিয়েছি আমাদের যে সাতজন ওখানে
    রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা থানায় লিখিত অভিযোগও জানাবো।” যদিও
    অভিযুক্ত রাজু মুখী বলেন
    , “সবাইকে বলা হয়েছে
    তিন চার মাস কাজ করতে হবে। টাকা খরচ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এক-দু
    মাস কাজ করে ফিরে এলে মালিক যে টাকা খরচ করে নিয়ে গিয়েছে
    তার কি হবে। তবে আমার ভুল হয়েছে এক মহিলাকে খারাপ কথা বলা।”


  • snake in flood : বন্যা কমতেই বাড়ছে সাপের উপদ্রব, কামড়ালো ১৫২ জনকে, উদ্ধার প্রায় আড়াইশোর বেশি বিষধর সাপ

     

    ঘাটালে বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে সাপ

    মেদিনীপুর:
    বন্যার জল কমতে শুরু করেছে জেলা জুড়ে। পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তার
    মধ্যেই বিপদও বাড়ছে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের জন্য। জল কমার সঙ্গে সঙ্গে উঁচু
    জায়গায় আশ্রয় নেওয়া বিষধর সাপের আক্রমণ শুরু হয়েছে। গত ৮ দিনে পশ্চিম
    মেদিনীপুর জেলাতে সাপের কামড় হয়েছে ১৫২ জনকে। তবে সকলেই সুস্থ ও চিকিৎসাধীন বলে
    জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। জেলা জুড়ে ২০০ বেশি বিষধর সাপকে ধরে
    অন্যত্র ছাড়া হয়েছে। বন্যার্তদের বাঁচাতে ব্লিচিং ছড়ানোতে জোর দেওয়া হয়েছে।

     

    বন্যা কবলিত
    এলাকার সমস্যা গুলির মধ্যে সবথেকে বড় সমস্যা সাপের কামড়। ঘাটালে যেহেতু সবথেকে
    বড় বন্যা হয়েছে
    , সেখানে সবথেকে বেশি
    ডুবে যাওয়া স্থান বিচার করে সাপের উপদ্রব বেশি হওয়ার আশঙ্কা আগেই করেছিল
    প্রশাসন। সেই আশঙ্কা মত সত্যিই সাপের উপদ্রব এবার ঘাটাল মহকুমাতে ছিল সবথেকে বেশি।
    বনদপ্তর এর কাছে তাই শুরুতেই জেলাশাসক সাপ উদ্ধারকারী লোকজনকে প্রস্তুত রাখার
    নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঘাটাল মহকুমা তে কয়েকজন লাগাতার সাপ উদ্ধার করেছেন দিন রাত
    জেগে। যার মধ্যে অন্যতম মলয় ঘোষ নামে এক ব্যক্তি। মলয় ঘোষ জানিয়েছেন-” গত
    ৮ দিনে ঘাটাল এলাকাতে তিনি ১০৩ টি বিভিন্ন রকম বিষধর সাপকে উদ্ধার করেছেন। এরমধ্যে
    এশিয়া মহাদেশের সবথেকে বিষধর যে সাপ সেই কালাচ সাপ উদ্ধার করেছেন ৯ টি। ঘাটাল
    মহকুমার সবথেকে বেশি এই সাপের উদ্ধার হয়েছে ঘাটাল পৌর এলাকা ও খড়ার পৌর এলাকাতে।
    সবথেকে একদিনে বেশি সাপ উদ্ধার হয়েছে বড় বন্যার দিন। সেদিন একদিনে ১৯ টি সাপ
    উদ্ধার হয়েছিল। সেই ঘাটালেই সাপের কামড়ে অসুস্থ হয়েছিলেন ১৯ জন। তাদের সকলেই
    বেশিরভাগ সুস্থ রয়েছেন। বন্যা কমলে এই সাপের উপদ্রব বেশি বাড়বে। কারণ উঁচু
    জায়গাতে আশ্রয় নেওয়া সাপেরা এবার খাবারের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে
    পড়বে।”

     

     

     

    জেলা পুলিশ
    সুপার ধৃতিমান সরকার জানিয়েছেন-” জেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথ উদ্যোগে যে
    উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছিল তাতে মোট ১৫২ জন জেলা জুড়ে সাপের কামড় খাওয়া ব্যক্তিকে
    উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে। সকলেই সুস্থ্য ও চিকিৎসাধীন। প্রসূতি উদ্ধার করা
    হয়েছিল বন্যা কবলিত এলাকা থেকে ৪০৪ জনকে। যাদের মধ্যে ২৭০ জনের সন্তান হয়েছে
    ইতিমধ্যে।”

     

     

    ঘাটালের
    মহাকুমা শাসক জানিয়েছেন-” জলের স্তর নেমে গিয়েছে। তাই সর্বত্র এখন নৌকো বা
    বোটের প্রয়োজন হচ্ছে না। তবে উদ্ধারকারী টিম সবসময় প্রস্তুত থাকছে। কমিউনিটি
    কিচেন ১১৪ টা চলছে। সাপের কামড়ে অসুস্থ যারা হয়েছিলেন তারা সকলেই প্রায় সুস্থ
    রয়েছেন চিকিৎসাধীন হয়ে। ঘাটালে কমিউনিটি কিচেন চলছে ১১৪ টা।”

     

     

    জেলাশাসক
    খুরশেদ আলী কাদেরী জানিয়েছেন-” প্রচুর পরিমাণে হ্যালোজেন ট্যাবলেট
    , ব্লিচিং ও অন্যান্য জিনিসপত্র পাঠানো হয়েছে। বনদপ্তরের
    কাছে অনুরোধ করা হয়েছে সাপ উদ্ধারকারী ব্যক্তিদের তৎপর রাখার জন্য। মানুষদের জন্য
    পানীয় জল কমিউনিটি কিচেন পর্যাপ্ত রাখা হয়েছে। বিদ্যুৎ পরিষেবা সর্বত্রই ১০০
    শতাংশ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে।”


  • Suvendu Adhikari : “সিপিআইএম মমতা ব্যানার্জীর থেকে ভালো ছিল,ত্রান নিয়ে অন্ত:ত রাজনীতি করেনি”-ঘাটালে বললেন শুভেন্দু অধিকারী

     

    ঘাটালে বন্যার্তদের মাঝে শুভেন্দু অধিকারী

    ঘাটাল : বন্যা কবলিত ঘাটালে গিয়ে বন্যা ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে
    মমতা বন্দোপাধ্যযায় থেকে সংসদ দিপক অধিকারীকে নানা মন্তব্য করে আক্রমন করলেন রাজ্যের
    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ মমতার তুলনায় সিপিআইএম নাকি অনেকটাই ভালো ছিল-তার
    বর্ননা দিয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ একই সঙ্গে আরজিকরে ইস্যুতে নির্মল ঘোষকে সিবিআই
    এর তলব প্রসঙ্গেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷

     

     সোমবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুর
    জেলার ঘাটালের বরদা বিশালাক্ষী এলাকায় যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু
    অধিকারী। বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনের পাশাপাশি বিশালাক্ষী মন্দির সংলগ্ন এলাকায়
    বন্যার্তদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।বিশালাক্ষী এলাকায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু
    অধিকারীর উদ্যেগে বন্যাদুর্গতের জন্য ত্রাণ বন্টন শিবির খোলা হয়
    সেখান থেকেই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। ঘাটাল
    থেকে দাসপুরেও যান শুভেন্দু অধিকারী
    ,সেখানে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন
    করেন স্থানীয় নেতৃত্বদের সাথে নিয়ে।

     

    ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
    খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন- ” ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হয়নি
    , মমতা ব্যানার্জির জন্য। আর আগের সিপিআইএমের জন্য। মমতা ব্যানার্জি চাইলে সাড়ে
    ১৩ বছরে করে ফেলতে পারতো। সিপিআইএম আর যাই হোক ত্রানে কখনো রাজনীতি করে নি। এটা
    মমতা ব্যানার্জি নিজে করেছেন।”

     

     

    এদিন দাসপুরে পুলিশের ত্রাণ বিলি ইস্যুকেও ব্যঙ্গ করে
    শুভেন্দু অধিকারী বলেন-” আমাদের দলের পক্ষ থেকেও বিধায়ক শীতলকপাট ও
    অন্যান্যরা কয়েকদিনে প্রায় আট হাজার মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেছে। কিন্তু
    এখানে সরকার কিছু করেনি। আমি আসছি শুনে দাসপুর থানার পুলিশ সামান্য একটুকু করে
    খাবার বিলি করছিল। যার মূল্য ৭০ টাকাও হবে না। দরকার হলে যাওয়ার সময় এর থেকে
    একটু বেশি চাঁদা দিয়ে চলে যাবো দাসপুর থানাকে।”

     

     

    ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ইস্যুতে সাংসদ দীপক অধিকারী তথা
    দেব-কে খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন-“চিটিংবাজী করে জয়ী হয়েছেন
    এখানকার সাংসদ। ঘাটালের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী এখনকার সরকার। আর এখানকার সাংসদ
    সম্বন্ধে না বলাই ভালো। গতকাল শুটিং বন্ধ ছিল তাই এখানে এসেছিলেন উনি। বন্যা এসেছে
    সাত দিন আগে। সরকারের কোন ভূমিকা নেই এখানে। মমতা ব্যানার্জি এসেও কোন পরিবর্তন
    হয়নি। বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ বা কোন খাবার নেই। সরকার এখানে পুরোপুরি ফেল। “

     

     

    এদিন নিজাম প্যালাসে নির্মল ঘোষকে সিবিআইয়ের তলব প্রসঙ্গে
    শুভেন্দু অধিকারী বলেন-“নির্মল ঘোষ কে ধরলেই মমতা ব্যানার্জি এসে যাবে।
    সঞ্জীব মুখার্জি প্রাক্তন সিপিআইএম নেতা ঠিকই কিন্তু বর্তমানের তৃণমূল নেতা।
    সঞ্জীবকে পাঠিয়েছে নির্মল ঘোষ। নির্মল ঘোষ গেছে মমতা ব্যানার্জির নির্দেশে।
    নির্মলের মোবাইল শুধু নিয়ে নির্মল ঘোষকে হেফাজতে নিয়ে নিক
    , আরেকটু আপ্যায়ন করে দিক সিবিআই। তাহলেই বলে দেবে কতবার ফোন করেছে মমতা
    বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ঘটনার দিন।”


  • Ghatal flood : বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল সংকট তীব্র ঘাটালে, চার ঘন্টা ধরে রাজ্য সড়ক অবরোধ, পুলিশের সাথে দীর্ঘ বচসা বন্যার্তদের

     

    দাসপুরের সামাটে বিক্ষোভ

    Ghatal : ৮১
    হাজারের বেশি গ্রাহকের বিদ্যুৎ ছিহ্ন করতে হয়েছিল প্লাবিত হয়ে যাওয়ার কারণে।
    সেই প্লাবনের জল কমতে শুরু করেছে। তার সাথে তীব্র হয়েছে পানীয় জলসঙ্কট। যোগাযোগ
    করার মোবাইলে পর্যন্ত চার্জ দেওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ
    ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি প্লাবিত এলাকার লোকজনের। তাদের দাবি-পরিস্থিতি অনেকটাই
    স্বাভাবিক থাকলেও বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক নেই। তাই অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগ
    স্বাভাবিক করার দাবি করে দাসপুরের সামাট এলাকায় চার ঘন্টার বেশি রাজ্য সড়ক অবরোধ
    করে রাখলেন প্লাবিত এলাকার লোকজন। পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে তাদের সঙ্গেও তর্ক শুরু
    হয় বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের। অনেক বুঝিয়ে সাড়ে দশটা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক
    করতে পেরেছে পুলিশ। জেলাশাসক জানালেন-৮৫ শতাংশ বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া
    হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাকিটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

     

     

     

    পশ্চিম
    মেদিনীপুরের ১২ লক্ষের বেশি মানুষ প্লাবিত হয়েছিলেন। বন্যার জলের সীমা গত ১৫
    বছরের বন্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল। চরম সংকট পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর
    ডেবরা ছাড়াও ঘাটাল এলাকার জন্য। প্লাবিত এলাকার লোকজনের খাবার জোগাতে ইতিমধ্যেই
    ৫৫টি কমিউনিটি কিচেন চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন ৩ লক্ষের বেশি পানীয় জলের পাউচ
    তৈরি করে বিলি করা হচ্ছে। ত্রাণ বিলি অব্যাহত রয়েছে। ত্রিশটির বেশি ভ্রাম্যমান
    মেডিকেল টিম চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক রেখেছে। এরপরেও প্লাবিত এলাকার জল নামতেই
    ওই এলাকার জন্য হ্যালোজেন ট্যাবলেট
    , অ্যান্টি ভেনাম, বিভিন্ন ওষুধ ও
    জিনিসপত্র সরবরাহের তালিকা রাজ্যে পাঠালেন জেলা শাসক খুরশেদ আলী কাদরী।

     

     

    তবে এর
    মাঝেই তীব্র পানীয় জল সংকট তৈরি হয়েছে প্লাবিত এলাকায়। বন্যার জলে ডুবে থাকা
    পাম্প ও বিভিন্ন টিউবওয়েল এর কারণে পানীয় জল তোলা যাচ্ছে না। অনেক স্থানে পাম্প
    গুলি জল কমে গেল বিদ্যুৎ না থাকাতে চালু করা যাচ্ছে। যোগাযোগ করার মোবাইলে পর্যন্ত
    চার্জ দেওয়ার যাচ্ছে না টানা এক সপ্তাহের বেশি বিদ্যুৎ না থাকায়। এই পরিস্থিতিতে
    সোমবার সকাল থেকে বেলা সাড়ে দশটা পর্যন্ত রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন
    প্লাবিত এলাকার লোকজন। তাদের দাবি অবিলম্বে বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক না করলে চরম
    সংকট তৈরি হয়েছে এলাকায়। বিদ্যুৎ দপ্তর গতি বাড়াচ্ছে না বলেই দাবি তাদের। চার
    ঘণ্টার বেশি অবরোধে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় ঘাটাল পাঁশকুড়া রাজ্য সড়কে। পরিস্থিতি
    সামাল দিতে দাসপুর থানার পুলিশ সেখানে হাজির হলে তাদের সঙ্গে দীর্ঘ তর্কবচসা শুরু
    করে দেন প্লাবিত এলাকার লোকজন। অনেক চেষ্টা করে বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে
    পেরেছে পুলিশ।

     

     

    তবে
    জেলাশাসক ফোনে জানিয়েছেন-“ইতিমধ্যেই ৮৫ শতাংশ বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করা
    হয়েছে যেখানে জল নেমেছিল। বিদ্যুৎ দপ্তরে প্রচুর পরিমাণে কর্মীকে কাজে লাগানো
    হয়েছে। আশা করছি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাকি পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ৯৫
    শতাংশ কমপ্লিট করে নিতে পারব বাকি ২৪ ঘন্টার মধ্যে। যেখানে প্লাবিত পরিস্থিতি
    স্বাভাবিক হয়েছে সেখানে বিভিন্ন ঔষধ ও খাদ্য সামগ্রী দ্রুত তৎপরতার সঙ্গে সরবরাহ
    করা হচ্ছে। একাধিক জিনিসপত্র নতুন করে চাওয়া হয়েছে বিভাগীয় দপ্তরে।”


    daspur flood,Ghatal dev, agitation, dev, paschim medinipur, medinipur, daspur polce,Medinipurlive,


  • Ghatal Dev : এখন কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের সময় নয়, ভাষণ দিয়ে মানুষকে বাঁচানো যাবে না,এখন লক্ষ্য মানুষকে বাঁচানো: বললেন দেব

     

    ঘাটাল:
    বন্যা প্লাবিত ঘাটালে ফের হাজির হলেন সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব। এবার সঙ্গে
    ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী জাবেদ খান। তাকে নিয়ে প্লাবিত ঘাটালের
    আজবনগর এলাকায় গিয়ে প্রাণের সামগ্রী বিলি করলেন সাংসদ। বর্তমান বন্যা ইসুতে যে
    রাজনৈতিক চাপানো তোর চলছে সেই প্রসঙ্গে দেব বলেন-এখন কেন্দ্ররাজ্য সংঘাতের সময়
    নয়। এখন মানুষকে উদ্ধার করাটাই বড় লক্ষ্য।

     

     

    রবিবার
    দুপুরে ঘাটালে হাজির হয়েছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে পশ্চিম মেদিনীপুরের সব থেকে
    প্লাবিত এলাকা ঘাটাল মহকুমা। এই মহকুমা তে বহু স্বাস্থ্য কেন্দ্র বিদ্যালয়
    মানুষের বাড়িঘর জলের তলাতে এখনো। ঘাটাল থানা এখনো জলমগ্ন পরিস্থিতিতেই। প্রশাসনিক
    আধিকারিকরা ত্রাণ বিলি অব্যাহত রেখে মেডিকেল টিম কুড়িটি চালিয়ে যাচ্ছেন।
    পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহ অব্যাহত রেখেছেন সকলেই। বন্যার শুরুতেই একবার ঘাটালে
    এসে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে গিয়েছিলেন দেব। রবিবার দুপুরে পুনরায় হাজির হলেন
    নিজের সংসদ এলাকা ঘাটালে। সঙ্গে নিয়েছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মন্ত্রী
    জাভেদ খান কেও। দুজনে নৌকাতে ত্রাণের সামগ্রী নিয়ে ঘাটালের আজবনগর এলাকার বেশ
    কিছু স্থানে বিলি করলেন।

     

    এদিন দেব
    বলেন-” মানুষ প্লাবিত পরিস্থিতির মধ্যে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। আমরা
    যথাসম্ভব মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। তাদের সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা করব।
    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছেন। এই মুহূর্তে আমরা সংবাদ
    মাধ্যমের সামনে ভাষণ দিয়ে মানুষকে বাঁচাতে পারবো না। এখন লক্ষ যেকোনোভাবে মানুষের
    কাছে পৌঁছানোর তাদের উদ্ধার করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে আমরা লড়াই কিছুতেই
    করতে পারব না। তবে তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।”


  • Flood: পরিবারের সাথেই পড়ুয়ারা স্কুলে থাকছে ২৪ ঘন্টা, তবে পড়াশোনা জলে ডুবে। কারণ ৩৮৬ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলে ডুবে রয়েছে-Flood Situation in Bengal

     

    ডুবে থাকা ঘাটালের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

    ঘাটাল: যে
    বিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীরা থাকতো ৬ ঘন্টা
    , সেখানে সপরিবারে থাকে ২৪ ঘন্টা। কিন্তু পঠন পাঠন এখন জলে
    ভেসে গিয়েছে। শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে-ঘাটালের তিনটি ব্লকেই বেশিরভাগ ডুবে রয়েছে
    ৩৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেখানে এখন ত্রাণ শিবির। যেখানে হয়তো শিক্ষার্থীরাই
    সপরিবারে ত্রাণ শিবিরের হিসেবে রয়েছে। কবে স্বাভাবিক হবে তার কোন ঠিক নেই।

     

     

    স্কুল
    বিল্ডিং ডুবেছে জলে
    , ডুবেছে আই সি ডি এস
    সেন্টার
    ,
    হেলথ সেন্টার, ডুবেছে বহু ঘর বাড়ি । তাই পরিবারের সাথে অনেক পড়ুয়া আশ্রয় নিয়েছে ত্রাণ
    শিবিরে
    ,
    কোথাও আবার স্কুলের মধ্যে আশ্রয় নেওয়া ছোট পড়ুয়ারা
    পড়ছে বই। কবে স্কুল খুলবে তা জানে না কেউ। এমনই ছবি ঘাটাল ব্লক ও পৌর এলাকা
    জুড়ে।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত
    এলাকা এখনো জলের তলায়। এছাড়াও ঘাটাল পৌরসভার ১৩ টি ওয়ার্ড এখনো প্লাবিত। বন্যা
    প্লাবিত ঘাটালে প্রাইমারি স্কুল মোট ২৩০ তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ১৫০ টি।হাইস্কুল
    মোট ৫৬ তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ২১।অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র মোট ৩৩৯ টি। তার মধ্যে জলে
    ডুবে আছে ২১৫ টি।

    প্লাবিত ডেবরা-র ভয়ঙ্কর ছবি

      

    স্বাস্থ্যকেন্দ্র
    মোট ৪৫ টি। তার মধ্যে জলে ডুবে আছে ১৪টি।এছাড়াও ঘাটাল পৌর এলাকার ১৩ টি ওয়ার্ডের
    সবকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়
    ,উচ্চ বিদ্যালয়আই সি ডি এস
    সেন্টার
    ,
    হেল্থ সেন্টার ডুবে রয়েছে জলে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের
    উদ্যোগে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে এলাকায় এলাকায় চলছে
    স্বাস্থ্য শিবির। আর কতদিন পর জল নামবে বিদ্যালয় গুলি থেকে
    , কবে বাড়ি ফিরবেন,কবে স্কুল
    খুলবে তা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকের।
    ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির
    সহ সভাপতি বিকাশ কর
    বলেন-“ আমরা খুবই খারাপ পরিস্থিতির
    মধ্যে রয়েছি ৷ জল নামছে ঠিকই, কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি এখনও ৷ আমরা বিদ্যালয়গুলি
    ডোবা অবস্থা থেকে ফিরলেই সেগুলি পরিচ্ছন্ন করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেবো ৷ তবে কবে সাট
    হবে তার ঠিক নেই ৷”



  • RG Kar Case : কেশপুরের ডুবে যাওয়া গ্রামে Abhaya Clinic নিয়ে হাজির হলেন RG Kar-এর জুনিয়র ডাক্তাররা

     

    Keshpur :
    বন্যায় প্লাবিত লোকজনদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হাজির হলো অভয়া ক্লিনিক। আর জি
    কর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার ও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা
    যৌথভাবে ঔষধ ও ত্রাণের সামগ্রী নিয়ে হাজির হয়েছিলেন প্লাবিত এলাকা কেশপুরে।
    সারাদিন মেডিকেল ক্যাম্প করে আগত লোকজনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওষুধ দিলেন তারা।
    তুলে দেওয়া হল ত্রাণের সামগ্রীও।
    দুপুরের পরে জুনিয়ার
    ডাক্তাররা গেলেন প্লাবিত থাকা গ্রামেও৷ খোঁজ নিলেন গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যের৷ অন্যদিকে প্লাবিত ঘাটালে কুড়িটি মেডিকেল ক্যাম্প চালু করল জেলা প্রশাসন।
    ক্যাম্প গুলিতে পর্যাপ্ত ঔষধ রয়েছে কিনা ঘুরে দেখলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার।

     

     

     

    পূর্ব নির্ধারিত
    কর্মসূচি অনুসারে-বন্যায় প্লাবিত এলাকার গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় শনিবার
    হাজির হয়ে গেল জুনিয়র ডাক্তারদের দল। আর জি কর কাণ্ডের কথা স্মরণ করিয়ে
    স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের নাম দেওয়া হয়েছে অভয়া ক্লিনিক ও অভয়া ত্রাণ শিবির।
    কেশপুরের
    টাবাগেড়িয়া এলাকাতে এই ত্রাণ
    শিবিরে কয়েক হাজার মানুষ শনিবার বেলা এগারোটার পর ভিড় করেছিলেন। গ্রামবাসীদের
    বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা খতিয়ে দেখে তাদের ঔষধ লিখে দিলেন। অনেককে ঔষধও দিলেন
    জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই সঙ্গে শিবিরে আগত বন্যা ক্লিষ্ট গ্রামবাসীদের চাল ও
    বিভিন্ন শুকনো খাবার ত্রাণ হিসেবে তুলে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
    দুপুরের পরে
    জুনিয়ার ডাক্তারদের টিম জলে ডুবে থাকা কানাখালি গ্রামে হাজির হয় ৷ সেখানেও প্লাবিত
    থাকা গ্রামবাসীর স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে চিকিত্সা পরামর্শ দিয়েছেন ৷

     

     

    জুনিয়র
    ডাক্তারদের পক্ষ থেকে দত্তশা গুপ্ত বলেন-” আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও মেদিনীপুর
    মেডিকেল কলেজের যৌথ উদ্যোগে এই শিবির করা হয়েছে। প্লাবিত এলাকার লোকজনদের
    স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা হচ্ছে। তাদের জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঔষধ দেওয়া হচ্ছে
    যথা সম্ভব। সেই সঙ্গে প্রাণের যথাসম্ভব সামগ্রী আমরা এনেছিলাম সেই সামগ্রী
    গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দিয়েছি।”প্লাবিত এলাকা থেকে যারা স্বাস্থ্য পরীক্ষার
    জন্য হাজির হয়েছিলেন তাদের মধ্য থেকে রাজেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন-” এমনিতেই
    বন্যার পরবর্তীকালে অনেকেরই আমাদের স্বাস্থ্য সমস্যা হয়েছিল। পেটের সমস্যা থেকে
    ঠান্ডা লেগে যাওয়া সব দেখা দিয়েছিল। তাই ঔষধ আনতে এসেছিলাম। চিকিৎসাও পেয়েছি
    ত্রাণের সামগ্রী ও পেলাম।” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মীরা দোলুই বলেন-”
    অঞ্চল প্রধানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল এখানে উপস্থিত হওয়ার জন্য। আমরা এসেছি।
    স্বাস্থ্য পরীক্ষাটা করিয়ে নিয়েছি। বহু মানুষ উপস্থিত হয়েছেন এখানে।”

     

     

    অন্যদিকে
    ঘাটালের প্লাবিত এলাকাতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে প্লাবিত এলাকার
    লোকজনদের নানান শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই কুড়িটি মেডিকেল ক্যাম্প করে
    গ্রামবাসীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই সেই শিবির
    গুলি শুরু হয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্য শংকর সারেঙ্গী
    জানিয়েছেন-” শিবির গুলিতে যথা সম্ভব ঔষধ রেখে চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করা হয়েছে।
    এখন চলবে এই শিবির গুলি প্লাবিত এলাকায়। মানুষের যাতে কোথাও কোনো রকম সমস্যা না
    হয় সেদিকে দেখা হচ্ছে। আপাতত সাত দিন এই শিবির কন্টিনিউ চলবে প্লাবিত এলাকার
    লোকজনদের স্বার্থে।”

     

     

     

    এদিনের এই
    শিবির গুলি পরিদর্শন করেন জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী ও পুলিশ সুপার ধৃতিমান
    সরকার। গ্রামবাসীরা সঠিক চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছে কিনা
    ,ত্রান সামগ্রীও সরবরাহ রয়েছে কিনা সবটাই খতিয়ে দেখেছেন
    তারা।