Election: “এক হাজারের লক্ষীভান্ডারে বিক্রি হবেন না,” বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারে বললেন অগ্নিমিত্রা
মেদিনীপুর: দিন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে উপনির্বাচনের। কেউ ছাড়তে রাজি নয় এক ইঞ্চি জায়গা। গত লোকসভা ভোটে ২৭০০ ভোটে পিছিয়ে ছিল বিজেপি এই বিধানসভায়। ফলে আশা জাগিয়ে লড়াইয়ের ময়দানে তারাও। অন্যদিকে জয় ধরে রাখতে মরিয়া শাসক দল তৃণমূল। একই ময়দানে নিজেদের দাবি নিয়ে লড়ছে কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট।
বুধবার মেদিনীপুর শহর ও গ্রামীণে প্রচারে শাসক বিরোধী দুই শিবির। তবে দুই দলেরই লক্ষ্য গ্রামীণ ভোট। গত লোকসভা ভোটে শাসক দল গ্রামীণ ভোটে এগিয়ে ছিল। এবার বিরোধীরা সেই ভোটে থাবা বসাতে বাড়ি বাড়ি প্রচারে খামতি রাখছে চাইছে না। আবার গ্রামীণ ভোট বৃদ্ধি করতে তৃণমূলের জেলা নেতারাও সকাল থেকে বাড়ি বাড়ি প্রচারে ব্যস্ত। এদিন সকাল থেকে গ্রামীণ এলাকা চষে বেড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। মেদিনীপুর সদরের কঙ্কাবতী ও মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামে মিছিল করে তৃণমূল প্রার্থী। বিকেলে ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বাড়ি বাড়ি প্রচারে সামিল হন জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা রানী মাইতি।
বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়ের সমর্থনে মেদিনীপুর শহরে মিছিল করেন অগ্নিমিত্রা পল। ধেড়ুয়া, চাঁদড়া, মনিদহ, কঙ্কাবতী এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার করেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “এবারে বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত। গত লোকসভা ভোটে মাত্র ২৭০০ ভোটে হেরেছিলাম। এবারে বাংলায় মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা, তৃণমূলের স্বৈরাচারের বিপক্ষে মানুষ ভোট দেবে। মমতা বন্দোপাধ্যায় মনে রাখুন এক হাজার টাকার লক্ষীভান্ডারে সকলে মেরুদন্ড বিক্রি করে দেয় না ৷ যে সমস্ত মানুষের পরিবারে মা-বোন রয়েছে তারা এবার টিএমসিকে ভোট দেবে না ৷”
বৃহস্পতিবার বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে শহরে মিছিল করতে আসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কংগ্রেস প্রার্থী শ্যামল কুমার ঘোষের প্রচারে উপস্থিত হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তিনি বলেন, “রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। যার ফলে ক্রমাগত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তৃণমূলের লোকেরা বাড়ি চুরি, চাল চুরি এটা তো করছেই পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে কাটমানি খাওয়ার জন্য। এর প্রতিবাদে কংগ্রেসকে ভোট দেবে মানুষ।”