BJP :দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির প্রতিবাদী মিছিলের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “ডাকাতরাণী” সাজানো, মেদিনীপুরে পুলিশ আটক করলো মহিলাকে
মেদিনীপুর:
বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে “চোর
ধরো জেল ভরো” শীর্ষক প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করা হয়েছিল
মেদিনীপুর শহরে রাস্তায়। কয়েকশো বিজেপি কর্মী উপস্থিত হয়েছিলেন এই মিছিলে। শনিবার দুপুরে
আয়োজিত এই মিছিলের সামনের সারিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেজেছিলেন এক মহিলা বিজেপি
কর্মী। গলায় ঝুলানো ছিল “ডাকাতরানী” নামের প্ল্যাকার্ড। পাশেই
জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অনুব্রত মণ্ডল,পার্থ
চ্যাটার্জি সাজানো হয়েছিল কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে । তাদের কোমরে দড়ি বেঁধে
মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় মারতে মারতে ঘুরিয়ে কটাক্ষ প্রতিবাদ করা হয়। প্রতিবাদ
কদর্য মনে হওয়াতে মিছিল স্থল থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রুপী মহিলাকে আটক করল
কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জেরা করে পুলিশ ৷
এদিন মেদিনীপুর
শহরের কলেজ মাঠ থেকে বেরিয়ে এই প্রতিবাদী মিছিল মেদিনীপুর শহরের রিং রোড পরিক্রমা
করে। পরে ছোট্ট একটি পথসভা করা হয় শহরে। পথসভা থেকে দিলীপ ঘোষ পুলিশ সুপার সহ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভিন্ন
ব্যক্তিত্বকে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করেন। সেই সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইসুতেও
নানারকম মন্তব্য করেছেন তিনি।
তবে
মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় অনুব্রত মণ্ডল পার্থ চ্যাটার্জি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে প্রতিকী চাবুক মেরে কোমরে দড়ি বেঁধে
ঘোরানোটার প্রতিবাদ অনেকখানি কদর্য হয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন। সেই সঙ্গে মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায় সেজে তার গলায় ডাকাত রানীর প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান আরও
কদর্য হয়েছে বলেই মনে করেছেন অনেকে। তাই এদিন দুপুরে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ওই
মহিলাকে মিছিলস্থল থেকেই আটক করে। জেরা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার
জানিয়েছেন। অন্যদিকে তণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন- “দিলীপ ঘোষেদের যেমন সংস্কৃতি তেমন কাজ করেছে ৷ ওদের নোংরামো মানুষ পছন্দ
করেনা বলেই ওদেরা বিতাড়িত করেছে নির্বাচনে৷ এর প্রতিবাদ মানুষ করবে ৷”
রাতে এই কান্ডের জেরে আটক করা বিজেপি কর্মীদের মুক্তির দাবিতে কতোয়ালী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা । পরিস্থিতি উত্তেজনাপুর্ণ তৈরী হয় । অন্যদিকে নানা রকমের জেরা শেষে আটক করা বিজেপি কর্মীদের রাত ৯টার পরে ছেড়ে দেয় কতোয়ালী পুলিশ ।