কেশপুর: “১৯৯৮ সালের পর এবার আরো বড় বন্যার মুখোমুখি কেশপুর ব্লক। চার জায়গাতে বাঁধ ভেঙেছে শনিবারই। প্রশাসনের নজর শুধু কেশপুর ব্লকের দিকেই এই মুহূর্তে দেওয়া প্রয়োজন।”- কেশপুরে বললেন পঞ্চায়েত দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা। এই বিষয়ে জেলাশাসক থেকে শুরু করে দপ্তরের বিভিন্ন শীর্ষক কর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানালেন কেশপুরে শনিবার বিকেলে।
শনিবার সকাল থেকেই কেশপুরের মুগবাসান সরই ইছাইপুর সহ বিভিন্ন এলাকাতে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হতে শুরু করেছিল। দানা ঘূর্ণিঝড়ে যতখানি ক্ষতি হয়েছে, তার তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতি হতে শুরু করেছে দুদিনের প্রবল বর্ষণের জমে যাওয়া জলে। কয়েকশো হেক্টর চাষের জমি এখন জলের তলায়। তার উপর দিয়ে বইছে স্রোত। চন্দ্রকোনা থেকে আনন্দপুর যাওয়ার রাজ্য সড়ক জনমগ্ন সকাল থেকেই।
আনন্দপুর থানার অন্তর্গত বেশ কিছু গ্রাম শুক্রবার গভীর রাত থেকেই ডুবতে শুরু করেছিল। শনিবার সকালে প্লাবনের পরিমাণ বাড়তে থাকে। গ্রামবাসীরা অনেকেই নির্দিষ্ট সুরক্ষিত স্থানে সরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সব জায়গাতে পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ও পাঠানো শুরু করে প্রশাসন।
এদিন প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা কেশপুরে বলেন-” ১৯৯৮ সালের পর বড় বন্যার মুখোমুখি এবার হতে চলেছে কেশপুর। একসঙ্গে অনেকগুলি জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। কেশপুর ব্লকের প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়েত কমবেশি জলমগ্ন। বাঁধ ভেঙেছে কুবাই , পারাং ও তমাল নদীর। বহু জায়গাতে এই বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা আরো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাচ্ছি। জেলা প্রশাসনকে অন্যান্য স্থানের তুলনায় এবার কেশপুরের দিকেই নজর দিতে বেশি করে অনুরোধ করেছি।”