Durgapuja carnival : দুর্গাপুজো শেষ হতেই কার্নিভালের ধুম, মেদিনীপুরে এবার পাল্টাচ্ছে চিত্র

মেদিনীপুর: দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই কার্নিভালের প্রস্তুতি। বলা ভালো কার্নিভাল শুরুই হয়ে গেল। মেদিনীপুর শহরের বটতলা চকে এবারও একইভাবে কার্নিভালের আয়োজন করছে মেদিনীপুর পৌরসভা। গতবারের থেকে এবার জাঁকজমক একটু বেশি আছে। কিন্তু পুজো কমিটির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। প্রশাসনের নির্দেশ-” ব্যস্ততম ওই রাস্তাকে বেশিক্ষণ এনগেজ করে রাখা যাবেনা। গতবারের মতো অনেক রাত পর্যন্ত যে সংকীর্ণ রাস্তায় অনুষ্ঠান চলেছিল এবারে তার সময়সীমা সীমিত করতে হবে। তাই কমাতে হবে পুজো কমিটির সংখ্যা।”রাত পোহালেই সোমবার বিকেলে এই কার্নিভালের অনুষ্ঠান।
পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান জানিয়েছেন-” প্রশাসনের বিধি নিষেধ ও নির্দেশ মত সেই সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতবারে পঞ্চাশটির বেশি পুজো মণ্ডপ অংশ নিয়েছিল। অনেকেই ফর্ম ফিলাপ করেছিল। এবারেও অনেকেই ফর্ম ফিলাপ করেছেন এই কার্নিভালের রোড শোতে অংশ নেওয়ার জন্য। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশমতো মাত্র ১৬ টি পূজো কমিটিকে আমরা অংশ গ্রহণ করাতে পারবো। তবে অনুষ্ঠানের কোন খামতি থাকছে না।”
কি থাকছে এবারের উৎসবে? মেদিনীপুর পৌরসভা এবারো এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। বটতলা চক এলাকায় এই মঞ্চ তৈরীর কাজ করছে পূর্ত দপ্তর। জেলাশাসকের নির্দেশে বিভিন্ন দায়িত্ব এই অনুষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন দপ্তর ভাগ করে নিয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ঘনঘটা তৈরি করতে জেলার তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তর একাধিক শিল্পীদের নিয়ে কলা কৌশলের আয়োজন করছে। সোমবার বিকেল পাঁচটা থেকেই বটতলা চক এলাকার ওই রাস্তা আটকে দিয়ে মূল অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত করে দেওয়া হবে। এবারও জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী ছাড়াও পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার ও অন্যান্যরা উপস্থিত থাকছেন। থাকার কথা রয়েছে এরা রাজ্যের মন্ত্রী ও সাংসদের।
২০২৩ এ দুর্গাপুজোর কার্নিভাল এ প্রথমবার জমাটি অনুষ্ঠানের কারণে প্রচন্ড ভিড় তৈরি হয়ে গিয়েছিল মেদিনীপুর শহর জুড়ে। একাধিক রাস্তায় যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অনেক পুজো কমিটি সঠিকভাবে নিজেদের পারফরমেন্স করতে পারেনি বলে ক্ষোভ পর্যন্ত তৈরি হয়েছিল। বহু রাস্তায় মানুষের স্বাভাবিক যান চলাচল ব্যাহত হয়েছিল।সেই সমস্ত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনুষ্ঠানের বহর ছোট করা হয়েছে। বিভিন্ন বাহনের গতিপথ নিয়ন্ত্রণের একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকেও