Animal lovers: পশু প্রেমী সাংসদ জুন মালিয়া, অসুস্থ্য পথ কুকুর ও বেড়ালদের জন্য মেদিনীপুরে তৈরী করছেন সেবা কেন্দ্র
মেদিনীপুর: আদালত আগেই নির্দেশ দিয়েছে ৷ এবার সেই সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছেন পশু প্রমী সাংসদ জুন মালিয়া৷ বরাবরই পশু,পথের অবলা প্রাণীদের প্রতি নায়িকা জুন মালিয়ার একটা মায়া ছিল ৷ এবার সাংসদ হয়েই মেদিনীপুরে অসুস্থ্য পথ কুকুর থেকে বেড়ালদের জন্য সেবা কেন্দ্র তৈরীর উদ্যোগের কথা ঘোষনা করলেন তিনি ৷ এজন্য নিজের খাতে বরাদ্দ হওয়া ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলেন প্রথম ধাপে সেই সেবা কেন্দ্র নির্মানে ৷ পরবর্তীকালে আরও বরাদ্দ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি ৷ সেই সেবাকেন্দ্রে অসু্স্থ্য পথ কুকুর থেকে বেড়ালদের নিয়ে এলেই বিনামুল্যে চিকিত্সা করা হবে ৷ হবে নির্বীজকরন ৷ মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে ডিএভি ঘাটে তা করা হবে জানিয়েছেন পৌরপ্রধান৷
মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জুন মালিয়া ৷ নির্বাচিত হয়েই চিরাচরিত পথ থেকে সরে গিয়ে শুরুতেই আলাদা কিছু করার চেষ্টা করেছিলেন মেদিনীপুরের জন্য ৷ সংসদে জীবনের প্রথম ভাষনেই তুলে ধরেছিলেন খড়্গপুর রেলওয়ে বস্তির কথা ৷ যা অন্য সাংসদেরা সেভাবে সরব হননি এতোদিন ৷ সেই বস্তির মানুষদের জন্য নিশ্চিত আশ্রয়ের আস্বাস আদায় করার চেষ্টা করেছিলেন সংসদে৷ মেদিনীপুর লোকসভার বেশ কিছু পুরনো জটিল সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছিলেন৷ তার মধ্যে অন্যতম হল রেল শহরের পুরনো কিছু সমস্যা ৷
সেগুলি নিয়ে এগোনোর সাথে সাথে এবার মেদিনীপুর শহরে পথের কুকুর বেড়ালদের চিকিত্সা তথা সেবা কেন্দ্র তৈরীর উদ্যোগ নিলেন তিনি ৷ সেজন্য নিজের সাংসদ কোটার বরাদ্দ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন মেদিনীপুর পৌরসভাকে ৷
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন- “প্রথামিক ভাবে ২৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হল এই সেবা কেন্দ্র নির্মানে ৷ পরে প্রয়োজনে আরও দেওয়া হবে ৷ এই কেন্দ্রের মেদিনীপুর শালবনী সহ বিভিন্ন স্থানে অসুস্থ্য পথ কুকুর থেকে বেড়ালদের নিয়ে এসে চিকিত্সা করানো হবে পশু প্রেমীদের নিয়ে ৷ আমি বরাবরাই এই সমস্ত পশুদের প্রতি একটু মায়াবী৷ এটা নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম করবো বলে ৷ এখন তো আদালতও নির্দেশ দিয়েছে প্রতিটি পৌরএলাকাতে তৈরী করার জন্য ৷ তাই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ৷ ”

এই নির্বাচনের কাজ করবে মেদিনীপুর পৌরসভা ৷ তাই এই বিষয়ে পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন-“আমাদের সাংসদ পশুদের প্রতি খুবই সদয় ৷ তাই তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন এই নির্মানের জন্য ৷ সেই কাজের জন্য আপাতত ২৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছেন ৷ এর আগে পশু প্রেমী সংগঠনের সাথে বহুবার আলোচনা করেছিলেন এই বিষয়ে ৷ এখন পৌরসভা এই কাজটা করবে পশুপ্রেমীদের সাথে নিয়ে ৷ সরকারের সাথে আলোচনা করে যত তা়ড়াতাড়ি শুরু করবো ৷ ডিএভি ঘাটের সামনে এটা করবো ৷ রাজ্য সরকারের আর্বান ডেভেলপম্যান্ট বিভাগও উদ্যোগ নিয়েছিল হাইকোর্টের নির্দেশে এই কাজ করার জন্য৷”