Accident: চালকের চোখে ঘুম, কটকে ডাম্পারের পেছনে ধাক্কা মারল মেদিনীপুরের অ্যাম্বুলেন্স, ঘটনাস্থলেই শেষ

মেদিনীপুর: মেদিনীপুর শহরের মির্জা বাজার এলাকার বাসিন্দা আরতী বিবি। ষাটোর্ধ ওই মহিলার শ্বাসকষ্ট সহ বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। যার ভালো চিকিৎসা ভুবনেশ্বরে হবে বলে মনে করেছিলেন পরিবারের লোকেরা। রাতেই মেদিনীপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আর অতি বিবি সহ পরিবারের দুই মেয়ে ও নাতিকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছিল ভুবনেশ্বর। ভোর সাড়ে চারটা নাগাদ কটকে পৌঁছে হাসপাতালে প্রবেশ করার আগে তাদের গতিতে থাকা অ্যাম্বুলেন্স ধাক্কা মারলো জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারের পেছনে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হল অ্যাম্বুলেন্সের সামনে বসে থাকা বছর বাইশের নাতির। বাকি গাড়িতে থাকা আরো চারজন চালক সহ আশঙ্কাজনক অবস্থায়। সকলের চিকিৎসাধীন কটকের হাসপাতালে।



এনারা সকলেই মেদিনীপুর শহরের মীর্জাবাজার এলাকার বাসিন্দা। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ। বুধবার রাতেই তারা মেদিনীপুর শহর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেরিয়ে গিয়েছিলেন কটকের উদ্দেশ্যে। ১৬ নাম্বার জাতীয় সড়ক ধরেই সারারাত অ্যাম্বুলেন্সটি চলেছে। ভোরের বেলা উড়িষ্যার কটকের কাছে প্রবেশ করে যায় তাদের অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিগড়ে যায় পরিস্থিতি ।


স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চালকের চোখের সম্ভবত ঘুম এসে গিয়েছিল। নেউলপুর রেলওয়ে ওভারব্রিজের সামনে চান্দিখোল এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটি প্রচন্ড জোরে যাওয়ার সময় ১৬ নাম্বার জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ডাম্পারের পেছনে গিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে গাড়ির সামনে বসে ছিলেন অসুস্থ ঐ বৃদ্ধার ২২ বছরের নাতি সামাদ আজাদ। দুর্ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বৃদ্ধার সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স এর পেছনে ছিলেন দুই মেয়ে মনোয়ারা ও সানোয়ারা। তিনজনেই গুরুতর আহত হয়ে যান। আহত হয়েছেন গাড়ির চালকও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সকলকে উদ্ধার করে স্থানীয় ধর্মশালা থানার পুলিশ তাদের কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।




তিনজনের অবস্থায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর মির্জা বাজার এলাকার ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মোহাম্মদ সাইফুল। আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে ছুটে যান কটকের সেই ঘটনাস্থল এলাকায়। সকলের জন্য প্রয়োজনীয় কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তিনি। সাইফুল জানান-” মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সকলে। পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। তবে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর বাড়িতে হয়তো ফিরবে শুক্রবার। কটকের পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত আয়োজন করা হচ্ছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page