খড়গপুর: রেলওয়ের খড়গপুর ডিভিশনের ডিআরএম এর অপসারণ দাবি করে ফের উত্তাল হল খড়গপুর শহর। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ খড়গপুর শহরের হাসপাতাল রোড এলাকাতে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন রেল শহরের। রেলের পক্ষ থেকে খড়গপুর এলাকায় যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা ডি আর এম মস্তিষ্কপ্রসূত এবং জনস্বার্থ বিরোধী এমন দাবি করে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। যার নেতৃত্বে ছিল বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি। যার নেপথ্য ছিল তৃণমূল।
উল্লেখ করা যায়, কয়েক মাস আগেই খড়গপুর শহরের বিভিন্ন এলাকাতে রেলের জায়গা নিশ্চিত করতে রেলওয়ের আধিকারিকদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো রেলের জমিতে যে সমস্ত বস্তি রয়েছে সেই সমস্ত বস্তির বাড়িঘর উচ্ছেদ করা। নোটিশ দেওয়া শুরু হয় বিভিন্ন বস্তি গুলিতে। তখন থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল বস্তির বাসিন্দাদের। কারণ খড়গপুর শহরজুড়ে এমন বেশ কিছু বস্তি রয়েছে যা পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় বসবাস করে আসছে। এই বস্তিবাসীদের আন্দোলনে পাশে দাঁড়িয়ে ছিল খড়গপুর শহর তৃণমূল। তবে তাতে দলের ব্যানার নয়, ব্যানার ছিল “বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি”র।
এই প্রতিবাদ আন্দোলন খুব ধীরগতিতে চললেও হঠাৎ করে রেলের নতুন পদক্ষেপে আন্দোলনের তীব্রতা বেড়ে যায়। সম্প্রতি খড়গপুর শহরের বিভিন্ন প্রধান রাস্তাগুলির ওপর প্রাচীর দেওয়া শুরু করেছিল রেল। তাদের জমির উপর দিয়ে অবাধ রাস্তা দেওয়া হবে না এমন উল্লেখ করে কংক্রিটের প্রাচীর তুলে দেওয়া শুরু হয়েছিল। যার ফলে সমস্যা শুরু হয়েছিল সাধারন মানুষ ছাড়াও রেল কর্মী পরিবারের লোকজনদেরও। তার কারণ বহু কোয়াটার থেকে স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করতে পারছেন না তারা। তাই বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির সঙ্গে রেল কর্মী পরিবারের লোকজনেরাও বিক্ষোভ শুরু করে।
১১ ই জুন, খড়্গপুরের ডিআরএম কে আর চৌধুরী র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে তার খড়গপুর শহরের বাংলো ঘেরাও করে বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটি। খড়গপুর শহরের সম্প্রতি যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হচ্ছে তার সবটাই ডিআরএমের মস্তিষ্কপ্রসূত এমন দাবি করে ডিআরএম এর অপসারণ দাবি করেন তারা। যা নিয়ে তুমুল উত্তেজনা বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। আরপিএফ এর সাথে ধস্তাধস্তি থেকে লাঠিচার্জ পর্যন্ত হয়েছিল বলে দাবি বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফের বস্তি বাঁচাও সংগ্রাম কমিটির হাজারের বেশি লোকজন একত্রিত হয়ে ফের প্রতিবাদ মিছিল করেন খড়গপুর শহরে। খড়গপুর হাসপাতালের সামনে থেকে এই মিছিল হাজির হয় খড়গপুর ডিআরএম অফিসের সামনে। একটাই স্লোগান-“ডিআরএম এর অপসারণ চাই।”পরিস্থিতির আঁচ করেই প্রচুর পরিমাণে আরপিএফ বাহিনী মোতায়েন রাখতে হয়েছিল অফিস চত্বরে।