Adeno virus: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে এডিনো ভাইরাসে প্রথম মৃত্যু, আতঙ্ক বাড়িয়ে জেলা জুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হল ৪৯ জন
মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর
জেলাতে এডিনো ভাইরাসের প্রথম বলি ১ বালিকা। খড়্গপুরের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির
ছাত্রী শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। শরীরের হাড় সহ বিভিন্ন সমস্যা ছিল তার। spinal muscular
atrophy রোগে আক্রান্ত 13 বছর বয়সী ওই
ছাত্রীর নাম উহ্যস্বতী রায় চৌধুরীর। ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার পিয়ারলেস
হাসপাতালে ভর্তি ছিল উহ্যস্বতী । জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বৃহস্পতিবার
জানান “বালিকার মারা যাওয়ার বিষয়টি শুনেছি, জেলাতে এই
মুহূর্তে ৪৯ জন ভর্তি রয়েছে। তার মধ্যে চারজন একটু কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে। সকলকে
সতর্ক করা হয়েছে।”
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা জুড়ে
করোনা ভাইরাসের পর কিছুদিন স্বাভাবিক কাটলেও এডিনো ভাইরাস নিয়ে অতিসতর্কতা শুরু
হয়েছিল স্বাস্থ্য দপ্তরের। জেলার বারোটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে প্রস্তুত
করা হয়েছিল এই ভাইরাস মোকাবিলার জন্য । আই সি ইউ, সি সি ইউ,
এস এন সি ইউ, পিকু বিভাগগুলিকে প্রস্তুত করা
হয়েছিল। এর মাঝেই জ্বর ও অন্যান্য উপসর্গগুলি নিয়ে জেলা জুড়ে ভর্তি হয়ে
গিয়েছে ৪৯ জন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সৌম্য শংকর সারেঙ্গী
জানান-” ৪৯ জন ভর্তি হয়েছে বিভিন্ন হাসপাতালে। চারজনের অবস্থা একটু
ক্রিটিকাল রয়েছে। বুধবার একদিনেই ভর্তি হয়েছে ৩০ জনের বেশি। সমস্ত স্তরকে সতর্ক
করা হয়েছে।”
তবে ইতিমধ্যেই পিয়ারলেস
হাসপাতালে খড়্গপুরের এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বুধবার। ৫
ফেব্রুয়ারি থেকে শরীরের একাধিক উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিল সে।উহ্যস্বতী রায় চৌধুরীর
হাড়ের এক বিরল রোগে আক্রান্ত ছিল। ওই ছাত্রীর বাবা জানান -” বিরল এই রোগের
কারণে শরীরের একাধিক অঙ্গ দুর্বল ছিল। এর মাঝেই অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার
কারণে হার্ট ফেল হয়।”