Accident: প্রচন্ড জোরে বাইক চালিয়ে দরজা ভেঙে দোকানে ঢুকলো মেদিনীপুর মেডিক্যালের মদ্যপ জুনিয়ার ডাক্তাররা, প্রকাশ্যে সিসিটিভি ফুটেজ, ক্ষোভ সর্বত্র
মেদিনীপুর: ভোর চারটে নাগাদ প্রচন্ড গতিতে
বেপরোয়া বাইক নিয়ে দোকান ভেঙ্গে ঢুকে গেল দুই বাইক আরোহী, পড়ে
রইল অচৈতন্য অবস্থায়, কয়েক মিনিটের মধ্যেই পেছনে আসা দুটি
চার চাকার গাড়ি থেকে কয়েকজন যুবতী ও যুবক নেমে তাদের তুলে নিয়ে ফেরার হলেন।
জানা গেল মদ্যপ অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের এই তান্ডব।
ঘটনার পর ভেঙে যাওয়া দোকানে এসে ক্ষোভ উগরে দিলেন দোকানের মালিক থেকে পৌরপ্রধান ও
বিরোধী দলের নেতারাও। সকলেই পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানান রবিবার৷
তবে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিত্সাধীন জুনিয়ার ডাক্তারেরা ৷
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর চারটে
নাগাদ মেদিনীপুর শহরে জগন্নাথ মন্দির চক এলাকায়। ওই সময় চকে কিছু লোক তখন বাস
ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ নিমেষের মধ্যে বিশাল গতিতে একটি বাইক সোজা এসে
দোকানের দরজা ভেঙে ঢুকে যায়। এরপরেই ছিটকে পড়ে যান দুদিকে দুজন। দুজনেরই
রক্তাক্ত ও অচৈতন্য। প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে সাথে দোকানের মালিক ও খবর পেয়ে পাশের
বাড়ি থেকে ছুটে আসেন। দুজনকে নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই কয়েক মিনিটের মধ্যে
দুটি চার চাকার গাড়িতে চলে আসে আরও বেশ কয়েকজন যুবক-যুবতী। দেখা গেল তারা সকলেই
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার। দ্রুত তাদের তুলে নিয়ে এলাকা
ছাড়ে। পড়ে থাকে তাদের ধাক্কা মারা দুমড়ে যাওয়া বাইকটি। দোকানের মালিক শ্যামল
পোদ্দার কোতোয়ালি থানায় জানালে পুলিশ এসে বাইকটি উদ্ধার করে ব্যবস্থা নেওয়া
শুরু করে।
শ্যামল পোদ্দার বলেন-”
ধাক্কা মেরে পড়ে থাকা লোকজন অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় ছিলেন। প্রচন্ড গতিতে এসে ধাক্কা
মেরে দুজনের অবস্থাই খারাপ হয়ে যায়। আমার দোকানেরও ক্ষতি করেছে। আমি পুলিশের
কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।”
এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশে
আসতে ক্ষোভ আরো বেড়ে গিয়েছে এলাকায়। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পৌর প্রধান সৌমেন
খান বলেন-” যে ডাক্তারদের ভরোসায় রোগীরা চিকিৎসা করাতে আসেন, তারা যদি এভাবে মদ্যপ অবস্থায় তাণ্ডব করে তাহলে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে
ভাবতে হচ্ছে। আমি মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ উভয়কেই ব্যবস্থা নিতে
জানিয়েছি। কিভাবে এত রাতে মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা এই মদ্যপ অবস্থায়
তান্ডব করার সুযোগ পায় ? তার নজরদারি কোথায়? “
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির
সহ-সভাপতি অরূপ দাস বলেন-” এমনিতেই রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বেহাল, তার ওপরে জুনিয়র ডাক্তাররা যদি এভাবে মদ্যপ অবস্থায় থাকে, তারা কি চিকিৎসা দেবে? মানুষকে মেরে ফেলবে তারা। এই
মেডিক্যাল কলেজে পড়ার নাম করে এসে মোচ্ছব চালাচ্ছে মেডিকেলের পড়ুয়ারা।পুলিশী নজরদারিরও
প্রয়োজন রয়েছে ৷ এই জগন্নাথমন্দির চক এলাকায় একবছরে তিনবার এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে ৷ প্রতিবারেই
মারা গিয়েছে ৷”